Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Volkswagen Experience-এ বেরিয়ে মিলল জোড়া রত্নের খোঁজ

অপূর্ব সুন্দর দৃশ্যের সঙ্গে প্রাপ্তি মহাবালেশ্বরের ৫০০০ বছরের পুরনো পান্ডব মন্দির। কেউ কেউ এটিকে কৃষ্ণ মন্দির বলেও ডাকেন। সেই মন্দিরের অদ্ভুত সুন্দর ভাস্কর্য, আপনাকে মুগ্ধ করবে।

Volkswagen Experience-এ বেরিয়ে মিলল জোড়া রত্নের খোঁজ
Image Credit source: Captain Pinkman / 500px/Getty Images
Follow Us:
| Updated on: Jan 02, 2025 | 10:36 PM

ভারতের বৈচিত্র্যই ভারতের শক্তি। কোথাও মালভূমি, কোথাও পাহাড়, কোথাও টিলা তো কোথাও আবার সমুদ্র। প্রত্যেক জায়গার আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তেমনই ভারতের পশ্চিমঘাট পর্বতমালা। মহারাষ্ট্র থেকে কেরালা পর্যন্ত বিস্তৃত এই পর্বতের সৌন্দর্যে জুড়িয়ে যায় প্রাণ মন।

সেখানেই সবুজের কোলে অবস্থিত ছিমছাম অথচ অপূর্ব সুন্দর হিল স্টেশন মহাবালেশ্বর। এই সুন্দর হিল স্টেশনের আনন্দ উপভোগ করতে আমরা বেরিয়ে পড়েছিলাম। আমাদের সঙ্গী ছিল ভক্সওয়াগেন তাইগুন। অপূর্ব সুন্দর দৃশ্যের সঙ্গে প্রাপ্তি মহাবালেশ্বরের ৫০০০ বছরের পুরনো পান্ডব মন্দির। কেউ কেউ এটিকে কৃষ্ণ মন্দির বলেও ডাকেন। সেই মন্দিরের অদ্ভুত সুন্দর ভাস্কর্য, আপনাকে মুগ্ধ করবে। চলুন আমাদের সঙ্গে ঘুরে আসবেন সেই মন্দিরে।

এখানে একটা কথা বলে রাখি, মহাবালেশ্বর আমাদের তালিকায় ছিল না, কিন্তু যখন আমরা ভক্সওয়াগেন এক্সপেরিয়েন্স থেকে ফোন পেলাম, তখন আমরা তৈরি হয়ে গেলাম। আমাদের কাছে এই জায়গাটি সম্পর্কে কিছু প্রাথমিক তথ্য ছিল। আমরা জানতাম ছোট এই হিল স্টেশন খুব বেশি এক্সপ্লোর করা হয়নি। তবে আমরা যখন এখানকার ৫০০০ বছরের পুরানো পান্ডব মন্দিরের দিকে তাকালাম আমরা মুগ্ধ হয়ে যাই। Volkswagen Experience এর জন্য আমাদের ইচ্ছে মতো যে কোনও গাড়ি বেছে নিতে বলেছিল। আমরা ড্রাইভের জন্য তাইগুনকে বেছে নিয়েছি। ভেবেছিলাম এই অজুহাতে গাড়ির টেস্ট ড্রাইভ নেওয়া হয়ে যাবে।

আমরা মহাবালেশ্বর সম্পর্কে খুব বেশি গবেষণা করিনি। ভেবেছিলাম সেখানে পৌঁছে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জায়গাটা সম্পর্কে জানব, চিনবো, বুঝবো, জায়গাটাকে এক্সপ্লোর করব। আমরা মহাবালেশ্বরে কৃষ্ণাই মন্দিরে গিয়েছিলাম। কেউ একে কৃষ্ণাই মন্দির বলে, আবার কেউ পাণ্ডব মন্দির বলে। এই মন্দিরটি প্রায় ৫০০০ বছরের পুরানো। পাঁচ হাজার বছরের পুরনো কাঠামো, ইটস টাইমলেস। এটাকে কীভাবে ব্যাখ্যা করব জানি না। কোনও মাপকাঠি নেই। কী স্ট্রাকচার? কী ডিজাইন? সবথেকে বড় ব্যাপার, এটা নন কমার্শিয়াল।

পাঁচ হাজার বছরের পুরনো একটা মন্দির… যার বাইরে কেউ ফুল বিক্রি করে না, প্রসাদ বিক্রিও করে না। ভেতরে কোনও পুরোহিত নেই। ঢুকতে ১ টাকারও টিকিট লাগবে না। কতটা আনএক্সপ্লোরড একবার ভাবুন। তা বলে যে রিলিজিয়াস সেন্টিমেন্ট নেই তা নয় কিন্তু।

তবে সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল, এর টাইমলেস ইঞ্জিনিয়ারিং। কী অদ্ভুতভাবে পাথরের উপর পাথর রেখে তৈরি করা হয়েছিল এই মন্দির।

৫০০০ বছর আগে এক ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিং ছিল। আজ মর্ডাণ ইঞ্জিনিয়ারিং। তবে কোথাও গিয়ে যেন মিলে মিশে যায় এই ৫০০০ বছরের প্রাচীন ইঞ্জিনিয়ারিং আর আজকের মডার্ণ ইঞ্জিনিয়ারিং। সেই ছোঁয়া আমি এই গাড়ির ভিতরে দেখতে পাচ্ছি।

কোন গাড়ি কতটা ভাল, তার কী কী প্রবলেম, সে সব বোঝা যায় পাহাড়ে আসলে। গাড়িটার টর্ক কত ভাল, কেমন পাওয়ার? কত ভাল কাট নিচ্ছে? Taigun অদ্ভুত স্মুদ একটি গাড়ি। কোনও আওয়াজ নেই। তাইগুন আমাদের সমস্ত প্যারামিটার পূরণ করেছে এবং এটা চালানোর সময় একজন আত্মবিশ্বাসী বোধ করে। যে কোনো গাড়ি কিনতে পারেন। নির্ভরযোগ্যতা শুধুমাত্ সেটাই যা বছরের পর বছর স্থায়ী হয়, তাইগুনের সেই জিনিসটা আছে।