ওজন কমাতে গেলে শরীরচর্চা যথেষ্ট নয়। ডায়েটও করতে হবে নিয়ম মেনে। তবেই ওজন কমানো সহজ হয়। চটজলদি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের ক্ষেত্রে ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা উপোস করে থাকতে হয়। ৬ থেকে ৮ ঘণ্টার মধ্যেই আপনাকে যাবতীয় খাবার খেয়ে নিতে হয়। এই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং মেনে চললে সহজেই ওজন কমানো যায়।
১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা কিছু না খেয়ে খুবই কঠিন। কিন্তু ওজন কমাতে গেলে এটুকু কষ্ট করতেই হবে। কিন্তু এর মাঝে খিদে পেলে কী করবেন? রইল ৫ পানীয়ের খোঁজ, যা খেলে পেট ভরবে এবং ওজনও কমবে। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করলেও শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা জরুরি। তাই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের মাঝে প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে থাকুন। এতে আপনার শরীরে জমে থাকা সমস্ত দূষিত পদার্থ বের হয়ে যাবে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে গ্রিন টি। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করলেও চুমুক দিতে পারেন গ্রিন টিতে। গ্রিন টি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ, তাই এই চা মুক্ত র্যাডিকেলের হাত থেকে রক্ষা করে। গ্রিন টি মেটাবলিজম হারকে বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করছেন, সকালে কী খাবেন বুঝতে পারছেন না? ব্ল্যাক কফিতে চুমুক দিতে পারেন। কফির মধ্যে উপস্থিত ক্যাফেইন আপনার মেটাবলিজম হার বাড়াতে সাহায্য করে। তাছাড়া ব্ল্যাক কফি ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে।
১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টার ব্যবধানে চুমুক দিতে পারেন ভেষজ চায়ে। আদা, লেবু, পুদিনা পাতা, জিরে, জোয়ান ইত্যাদি ভেষজ উপাদান দিয়ে চা বানানো যায়। পছন্দের ভেষজ উপাদান বেছে নিয়ে চা বানিয়ে পান করুন। ভেষজ চা খিদে কমাতে, ইমিউনিটি বাড়াতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করলে রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। এক্ষেত্রে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার আপনাকে সাহায্য করতে পারে। এতে আপনার হজম স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে। ১ গ্লাস জলে ১ চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে পান করতে পারেন।