Skin Care During Pregnancy: গর্ভাবস্থাতেও ত্বক থাকতে পারে বলি তারকার মতো উজ্জ্বল! শুধু মেনে চলুন এই টিপস
Parineeti Chopra Skin Care Tips: যদিও এই সময় শরীরে নানা পরিবর্তন ঘটে। হরমোন, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা এবং বিপাকীয় ক্রিয়ার পরিবর্তনের কারণে ত্বকের আচরণ কখনও কখনও নতুন রূপ নিতে পারে। তাই সামান্য স্কিনকেয়ার রুটিনে রাখা ভাল। তাহলেই কিন্তু গর্ভবতী মায়েরা নিরাপদ। ত্বকের গ্লো ধরে রাখতে কী করবেন?

সদ্য মা হতে চলেছেন বলি অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া। অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছেন তিনি এবং রাজনীতিবিদ রাঘব চাড্ডা তাঁদের প্রথম সন্তানের প্রত্যাশা করছেন। ২৫ অগস্ট দম্পতি এই সুখবর নিজেদের সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন। অনেকেই মনে করেন অন্তঃসত্ত্বা হলেই বারোটা বাজবে চেহারার। হারিয়ে যাবে ত্বকের উজ্জ্বলতাও। এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ভুল। বরং এই সময় মা হওয়ার উত্তেজনা, খুশি আমাদের মনকে ভাল রাখে।
যদিও এই সময় শরীরে নানা পরিবর্তন ঘটে। হরমোন, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা এবং বিপাকীয় ক্রিয়ার পরিবর্তনের কারণে ত্বকের আচরণ কখনও কখনও নতুন রূপ নিতে পারে। তাই সামান্য স্কিনকেয়ার রুটিনে রাখা ভাল। তাহলেই কিন্তু গর্ভবতী মায়েরা নিরাপদ। ত্বকের গ্লো ধরে রাখতে কী করবেন?
ক্লিনজার: দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য হালকা ও পিএইচ-ব্যালান্সড ক্লিনজার সবচেয়ে উপযুক্ত। এটি ত্বক পরিষ্কার রাখে কিন্তু প্রাকৃতিক তেল শুষে নেয় না।
হাইড্রেশন: আর্দ্রতা বজায় রাখা সমান গুরুত্বপূর্ণ। সিরাম, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড বা গ্লিসারিনযুক্ত ময়শ্চারাইজার ত্বকের সুরক্ষা দেয়ালকে শক্ত রাখে এবং শুষ্কতা রোধ করে।
সানস্ক্রিন: এই জিনিসটি কখনও বাদ দেওয়া উচিত নয়। জিঙ্ক অক্সাইড বা টাইটানিয়াম ডাই-অক্সাইডযুক্ত মিনারেল সানস্ক্রিন গর্ভাবস্থায় নিরাপদ এবং ইউভি রশ্মির ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
স্ট্রেচ মার্ক প্রতিরোধ করুন –
গর্ভাবস্থায় সবচেয়ে সাধারণ সমস্যাগুলির একটি হল স্ট্রেচ মার্ক। এগুলি পুরোপুরি এড়ানো সম্ভব না হলেও দ্রুত বা অস্বাস্থ্যকর ওজন বৃদ্ধিতে এগুলির ঝুঁকি বেড়ে যায়। নিয়মিত ইমোলিয়েন্ট, কোকো বা শিয়া বাটার ব্যবহার করলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ে এবং ত্বক নরম থাকে।
ব্রণ হলে ব্যবস্থা নিন –
গর্ভাবস্থায় পিগমেন্টেশন ও ব্রণও সাধারণ সমস্যা। পিগমেন্টেশনের জন্য ল্যাকটিক অ্যাসিড, গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ও ভিটামিন সি-এর মতো মৃদু ও গর্ভাবস্থায় নিরাপদ উপাদান কার্যকর। ব্রণের ক্ষেত্রে আজেলাইক অ্যাসিড বা নিয়াসিনামাইড সাধারণত নিরাপদ বলে ধরা হয়। যা অবশ্যই এড়িয়ে চলা উচিত তা হল রেটিনয়েড, হাইড্রোকুইনোন এবং ক্লিনিক-ভিত্তিক কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট— এগুলি মা ও শিশুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। গর্ভাবস্থার স্কিনকেয়ার মানে বিলাসী রুটিন নয়, বরং সুরক্ষা ও পুষ্টি।
