নস্টালজিয়া প্রিয় বাঙালির সঙ্গে ঠাকুরবাড়ির একটা ওতপ্রোত যোগ রয়েছে। সংস্কৃতি চর্চার গন্ডি ছাড়িয়েও তাই ঠাকুরবাড়ির প্রভাব গিয়ে পড়েছে বাঙালির হেঁশেলেও।
রান্নাবান্না নিয়ে পরীক্ষানীরিক্ষাও ঠাকুরবাড়িতে বহু কাল আগে থেকে হয়ে আসছে। সামান্য মশলার হেরফেরে রোজের অতিপরিচিত রান্নাও হয়ে ওঠে অপরূপ স্বাদের অধিকারী। তাই পুজোর খাওয়াদাওয়াকে জমিয়ে তুলতে হলেও ঠাকুরবাড়ির উপর ভরসা করাই যায়। তাই আমিষ আর নিরামিষ ঠাকুরবাড়ির এই দুই পদেই জমিয়ে দিন অষ্টমীর সকাল বিকেলে। রইল রেসিপি।
আলু পটলের ডালনা – আলু-পটল বড় বড় করে কেটে ভাল করে ভেজে নিন। এবার একটি পাত্রে ঘি নিয়ে তাতে সাদা জিরে, তেজপাতা, কাঁচা লঙ্কা, ধনে ও জিরে বাটা, স্বাদ মতো নুন ও চিনি দিয়ে আবার ভাজুন। মাঝে মাঝে যাতে লেগে না যায় তার জন্য অল্প অল্প করে জলের ছিটে দিন। ভাল মতো মশলা কষানো হয়ে গেলে সেদ্ধ করার জন্য জল দিয়ে দিন। হয়ে গেলে আবার একটু ঘি ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
পোস্ত মাংস – পাঁঠার মাংস ভাল করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। এবার তাতে রসুন এবং আদা বাটা মাখিয়ে ম্যারিনেট করে রেখে দিন। একটি পাত্রে তেল দিয়ে তাতে গোটা গরম মশলা, শা জিরে বাটা, পোস্ত বাটা দিয়ে দিন। মশলা কষা হয়ে গেলে মাংসে টুকরো দিয়ে দিন। কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে কষিয়ে নিন। এবার অল্প জল দিয়ে ভাল করে সেদ্ধ করে নিন। মশলা আর মাংসের টুকরো ভাল করে সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। ব্যস তৈরি ঠাকুরবাড়ি স্পেশাল পোস্ত মাংস।