বাঙালির পুজো মানেই খাওয়াদাওয়া। পুজোর মেনুতে খিচুড়ি থাকবে না তা কখনও হয় বলুন। নবমীর দুপুরে পাতে খিচুড়ি না পড়লে তো পুজোটাই অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তবে শুধু খিচুড়ি তো খাওয়া যায় না বলুন। বেগুনি বা ডিম ভাজা দিয়ে খিচুড়ি তো সারা বছর খান। পুজোয় বরং বেগুনির বদলে ঝটপট বানিয়ে নিন এই সব বড়া।
১। পলতা পাতার বা ধনেপাতার বড়া –
উপকরণ – ১ কাপ কুঁচোনো ধনেপাতা বা পলতা পাতা, ১টা ছোট লঙ্কা, ১টা পেঁয়াজ, প্রয়োজন মতো হলুদ গুঁড়ো, নুন, এক টেবিল চামচ রাইস ফ্লাওয়ার, সাড়ে ৩ টেবিল চামচ বেসন।
সব উপকরণ একসঙ্গে একটি বাটিতে নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। ১০-২০ মিনিট রেখে দিন। একটু পরে ১/২ চামচ জল দিয়ে দিন মিশ্রণে। তার পরে একটু জল টেনে নিলে কড়াইয়ে তেল দিয়ে গরম হলে ভাল করে ভেজে নিন। তাহলেই তৈরি বড়া।
২। পুঁই শাকের বড়া –
উপকরণ – কুঁচনো পুঁই শাক এক কাপ, আদা-রসুন বাটা ১/২ চা চামচ, রাইস ফ্লাওয়ার, হলুদ, জিরে, ২টো লঙ্কা ও এক কাপ পেঁয়াজ কুঁচি। ভেজানো মুগ ডাল এক কাপ।
একসঙ্গে সবটা মিশিয়ে নিন একটা বাটিতে। মুগ ডাল ভিজিয়ে রেখে ভাল করে বেটে নেবেন। তার পরে দুটো মিশ্রণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এ বার অল্প অল্প করে দিয়ে গরম তেলে বাদামি হওয়া অবধি ভেজে নিন। কম থেকে মাঝারি আঁচে ভাজবেন নাহলে পুরোটা ভাল করে ভাজা হবে না।
৩। পাট পাতার বড়া –
উপকরণ – বাঙালির হেঁশেলে খুব পরিচিত পদ পাট পাতার বড়া। গোটা গোটা পাট পাতা ভাল করে ধুয়ে রাখুন। রাইস ফ্লাওয়ার, হলুদ গুঁড়ো, কালো জিরে, শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো, বেকিং সোডা, স্বাদ মতো নুন।
আর একটা বাটিতে সব উপকরণ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। তাতে অল্প জল দিয়ে ভারী মিশ্রণ বানিয়ে নিন। তার পরে গোটা পাট পাতা সেই মিশ্রণে মাখিয়ে সর্ষের তেলে ভেজে নিলেই তৈরি পাট পাতার বড়া।
৪। কিমা বড়া –
উপকরণ – ২০০ গ্রাম মতো চিকেন অথবা মাটন কিমা অল্প নুন দিয়ে একটু সেদ্ধ করে নিন। একটা ছোট আলু সেদ্ধ, একটা মাঝারি পেঁয়াজ কুচি, এক চা চামচ রসুন কুচি ,এক চা চামচ ধনেপাতা কুচি, একটা শুকনো লঙ্কার কুচি, একটা কাঁচা লঙ্কার কুচি, হাফ চা চামচ বেকিং পাউডার, এক টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার, এক চা চামচ ময়দা ,স্বাদ অনুযায়ী লবণ, এক চিমটি চিনি, ছোট এলাচ ও দারচিনির গুঁড়ো এক চিমটি।
এবার সেদ্ধ করে রাখার কিমা থেকে জল ঝরিয়ে নিন। তার পর উপরের সব উপকরণগুলি ভাল করে একসঙ্গে মিশিয়ে মেখে নিন। হাতে একটি তেল নিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটিকে চ্যাপ্টা চ্যাপ্টা বড়ার আকারে গড়ে নিন। কড়াইয়ে সাদা তেল দিয়ে মাঝারি আঁচে একটু সময় নিয়ে ভেজে নিন। ব্যস তৈরি কিমা বড়া। পুজোর দিনে নিরামিষ বড়া খেতে মন না চাইলে, কিমা বড়া করে নিতেই পারেন।