একসময়ে বড় কোনও অসুখ বা সার্জারির পর রোগীকে হাওয়া বদল করতে যাওয়ার পরামর্শ দিতেন চিকিৎসকেরা। এখন অবশ্য চিকিৎসকের পরামর্শ দেওয়ার আগেই বেড়ানোর পরিকল্পনা করে ফেলেন অনেকে। কেবল অসুস্থতা নয়, একঘেয়েমি কাটাতে মাঝেমধ্যে বেড়াতে যাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকের। অনেকে আবার অত্যন্ত ব্যস্ততার মধ্যেও দু-একদিনের জন্য হলেও ছুটি বের করে বেড়াতে বেরিয়ে পড়েন। এটা কেবল হাওয়া বদল নয়, শরীর ও মনের জন্য খুবই কার্যকরী।
যদিও অনেকেই বেড়াতে যাওয়ার থেকে ঘরে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন। বেড়াতে যাওয়া অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বলে মনে করেন। কিন্তু, কেবল বেড়ানোর জন্য নয়, বেড়াতে যাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে।
১) মানসিক চাপ কমে- আপনি যদি প্রতিদিনের কোলাহল থেকে কিছুটা শান্তি বা স্বস্তি পেতে চান তাহলে অবশ্যই অল্প দিনের জন্য হলেও বেড়াতে বেরোন। ভ্রমণের মাধ্যমে আপনি নতুন জায়গায় যেতে পারবেন এবং প্রকৃতির সান্নিধ্য পাবেন। যা মানসিক চাপ অনেকাংশে কমাতে পারে। তাই বেড়াতে যাওয়ার জন্য পরিবার বা বন্ধু সঙ্গে না পেলেও একাকী বেরিয়ে পড়ুন এবং প্রকৃতির সান্নিধ্য উপভোগ করুন। তাহলে মানসিক চাপ যেমন কমবে, তেমনই চিন্তা করার ক্ষমতা ও সৃজনশীলতা বাড়বে।
২) পরিবার-বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ- অফিসের চাপে অনেকেই পরিবারকে সেভাবে সময় দিতে পারেন না। ফলে নিজের অজান্তেই পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। অন্তত কয়েকদিনের জন্য পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গেলে সেই দূরত্ব দূর হয়।
২) নতুন জিনিস শেখার সুযোগ পান- ভ্রমণ মানেই অনেক কিছু শিখতে পারবেন। বিশেষত, নতুন কোনও স্থানে গেলে সেখানকার ভৌগোলিক অবস্থান থেকে জীবনযাত্রা, লোকজন সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন। বাস, ট্রেন, বিমানপথের বিষয়েও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হবে। যা কর্মক্ষেত্র থেকে ভবিষ্যৎ জীবনে কাজে লাগতে পারে। প্রতিটি ভ্রমণ আপনার জীবনে একটি নতুন পাঠ নিয়ে আসে, যা আপনি সারা জীবন মনে রাখবেন।
৩) ফিট থাকবেন- ভ্রমণ মানেই এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে বেড়ানো। আর যদি পাহাড়ে যান, তাহলে প্রশ্বাসের সঙ্গে বিশুদ্ধ বাতাস পাবেন। যা আপনাকে আরও সক্রিয় এবং ফিট করে তুলবে। মানসিক দিক থেকেও প্রশান্তি নিয়ে আসবে।
৪) নতুন সংস্কৃতি জানবেন- নতুন নতুন জায়গায় বেড়াতে গেলে সেই জায়গার সংস্কৃতি ও সভ্যতা খুব কাছ থেকে জানতে পারেন। পাশাপাশি সেখানকার খাবার, লোকজনের ভাষাও জানতে পারবেন।