বড়দিনে কলকাতার পুরনো চার্চে গিয়েছেন, এবার শীতের আমেজ গায়ে মেখে এই ৩ জায়গায় ঢুঁ মারুন
Offbeat Kolkata: রবীন্দ্র সদন থেকে শুরু করে নিউ মার্কেট পর্যন্ত রাজপথ সেজে উঠেছে আলোকমালায়। গোটা সপ্তাহ জুড়ে মানুষ ভিড় করছে পার্কস্ট্রিট চত্বরে। কলকাতার পুরনো চার্চগুলোতেও মানুষের আনাগোনা রয়েছে। এগুলো ছাড়াও এই শহরের আনাচেকানাচে ছড়িয়ে রয়েছে, যা হয়তো সহজে চোখে পড়ে না।
শহর জুড়ে যেন প্রেম, ভালবাসা, আনন্দের মরশুম। রবীন্দ্র সদন থেকে শুরু করে নিউ মার্কেট পর্যন্ত রাজপথ সেজে উঠেছে আলোকমালায়। গোটা সপ্তাহ জুড়ে মানুষ ভিড় করছে পার্কস্ট্রিট চত্বরে। বিকেলের আড্ডা জমে উঠছে গড়ের মাঠে। তার সঙ্গে কলকাতার পুরনো চার্চগুলোতেও মানুষের আনাগোনা রয়েছে। এগুলো ছাড়াও এই শহরের আনাচেকানাচে ছড়িয়ে রয়েছে, যা হয়তো সহজে চোখে পড়ে না। কিংবা এই শীতের মরশুমে বাঙালি খুব বেশি ভিড় করে না সেখানে। কিন্তু কলকাতার শিকড় রয়েছে সেসব জায়গাতেও। ২০২৩ শেষ হওয়ার আগে আপনিও ঘুরে দেখতে পারেন কলকাতার এই ৩ জায়গা, যেগুলো হয়তো প্রবল খ্যাতি পায়নি, অথচ ঐতিহাসিক গুরুত্ব কম নয়।
নিপ্পনজান মায়োহোজি বৌদ্ধ মন্দির
বড়দিনের আমেজে বেশিরভাগ মানুষ ভিড় করেন কলকাতার পুরনো গির্জাগুলোতে। চার্চের পাশাপাশি আপনি ঢুঁ মারতে পারেন কলকাতার জাপানি বৌদ্ধ মন্দিরে। দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়ার লেক রোডে অবস্থিত নিপ্পনজান মায়োহোজি বৌদ্ধ মন্দির আজও অনেকের কাছে অজানা। এটি কলকাতার অন্যতম সুন্দর বৌদ্ধ মন্দিরগুলোর মধ্যে একটি। এখানে নিয়মিত সকাল ৬টা এবং সন্ধ্যা ৬টায় প্রার্থনা হয়। নতুন বছর যাতে ভাল যায় তার জন্য আপনিও প্রার্থনা করতে পারেন এখানে।
লেক মসজিদ
কখনও বন্ধুদের সঙ্গে, কখনও সঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে রবীন্দ্র সরোবর লেকে গিয়েছে বহুবার। কিন্তু লেকের ঠিক মধ্যিখানে অবস্থিত মসজিদে পা রেখেছেন কখনও? রবীন্দ্র সরোবর লেকের মধ্যে ছোট্ট দ্বীপে অবস্থিত এই লেক মসজিদ। এখানে পৌঁছানোর জন্য একটি সেতুও করা রয়েছে। কিন্তু খুব বেশি মানুষ যান না মসজিদে। তবে, এটি কলকাতার প্রাচীন মসজিদগুলোর মধ্যে একটি। ১৮২৪ সালে তৈরি মসজিদ অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী। তবে, এই মসজিদের ইতিহাস এখনও অস্পষ্ট।
মল্লিক বাজার
হাওড়া ব্রিজ দিয়ে রোজের আনাগোনা। দেখেন শ’য়ে শ’য়ে মানুষ ফুলের বস্তা নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে ব্রিজের মুখে। আরেকটু এগোলে রাস্তার উপরই চলছে ফুলের বিকিকিনি। এটাই ভারতে বৃহত্তম ফুলের বাজার—মল্লিক ঘাট। এটি হল এশিয়ার বৃহত্তম ফুলের বাজারগুলির মধ্যে একটি। ১৮৫৫ সালে রামমোহন মল্লিক গঙ্গার ধারে এই ঘাটতি তৈরি করেন। আর এখন এখানে দেশের নানা প্রান্ত থেকে বিভিন্ন ধরনের ফুল এসে জড়ো হয়। আবার পৌঁছে যায় রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায়। ভোর ৪টে থেকে মানুষ মল্লিক ঘাটে জড়ো হন। সারাদিন ধরে চলে ফুলের বিকিকিনি। গাঁদা, গোলাপ, রজনীগন্ধা থেকে শুরু করে ব্যাঙ্গালোর রোজ়, অর্কিড সব ধরনের ফুল পাওয়া যায় এখানে। যাঁরা ছবি তুলতে ভালবাসেন, তাঁদের আনাগোনা লেগেই থাকে মল্লিক ঘাটে।