Gwalior Fort: মধ্যপ্রদেশের এই ঐতিহাসিক দুর্গকে ‘জিব্রাল্টার অফ ইন্ডিয়া’ কেন বলা হয় জানেন?

TV9 Bangla Digital | Edited By: megha

Dec 09, 2021 | 7:52 AM

দুর্গটি তিন বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। ভারতের অন্যতম বৃহত্তম দুর্গ হিসাবে বিবেচিত হয় এটি। এই দুর্গের কাঠামোটি সুন্দর লাল পাথর দিয়ে তৈরি।

Gwalior Fort: মধ্যপ্রদেশের এই ঐতিহাসিক দুর্গকে জিব্রাল্টার অফ ইন্ডিয়া কেন বলা হয় জানেন?
মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র দুর্গ

Follow Us

মধ্যপ্রদেশকে ভারতের হৃদয় বলা হয় কারণ, এটি শুধুমাত্র দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্য নয়, বরং খুব সুন্দরও। তাই প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক এই রাজ্যের সৌন্দর্য দেখতে আসেন। এ ছাড়া আরও ইতিহাসবিদরা আসেন এই রাজ্যের সৌন্দর্য দেখতে। কারণ প্রাচীনকাল থেকে মধ্যযুগ পর্যন্ত মধ্যপ্রদেশে এমন অনেক দুর্গ তৈরি হয়েছিল, যেগুলো শুধু ভারতেই নয় বরং সমগ্র বিশ্বে বিখ্যাত।

এই মধ্যপ্রদেশের স্থাপত্য যেমন আকর্ষণীয়, তাদের ইতিহাসও একই রকম ভাবে আকর্ষণীয়। মধ্যপ্রদেশের এমনই একটি জনপ্রিয় দুর্গ হল গোয়ালিয়র। পর্যটকদের কাছে এই দুর্গ বেশ জনপ্রিয়। শুধু কি স্থাপত্যের জন্য নাকি এর পিছনে থাকা ইতিহাস? চলুন জানা যাক…

গোয়ালিয়র দুর্গ মধ্যপ্রদেশের অন্যতম ঐতিহাসিক স্থান। এমনকি গোয়ালিয়র নামে একটি সম্পূর্ণ শহর রয়েছে মধ্যপ্রদেশে। যদিও গোয়ালিয়র শহরের গোপাঞ্চাল নামক একটি ছোট পাহাড়ের উপর অবস্থিত এই দুর্গটি। এই ঐতিহাসিক নিদর্শনটি 8ম শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল। এই দুর্গে‌র উচ্চতা প্রায় ৩৫০ ফুট।

অষ্টম শতাব্দীতে নির্মিত এই দুর্গটি ভারতের অন্যতম বৃহত্তম দুর্গ হিসাবে বিবেচিত হয়। এই দুর্গটি সূর্যসেন নামে একজন স্থানীয় সর্দার দ্বারা নির্মাণ করেছিলেন। তবে বহু ঐতিহাসিকবিদ এও দাবি জানান যে এই দুর্গটি থেকে বহু বছর ধরে পাল রাজবংশ, মুঘল রাজবংশ, ভীম সিং, মহারাজা দেবরাম প্রভৃতি রাজ্য শাসন করেছিল।

দুর্গটি তিন বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এই দুর্গের কাঠামোটি সুন্দর লাল পাথর দিয়ে তৈরি। এছাড়াও, এই দুর্গের স্থাপত্য খুব সুন্দর, দুর্গের দেয়ালগুলি সুন্দর নকশা এবং শিলালিপি দিয়ে সজ্জিত। এই কারণেই একে ভারতের জিব্রাল্টার বলা হয়। কারণ আরবি শব্দ জিব্রাল্টারের আক্ষরিক অর্থ হল তারিকের পাথর/শিলা/পাহাড়।

আপনি যদি ইতিহাস জানতে আগ্রহী হন, তাহলে এই অবশ্যই এই দুর্গটি অন্বেষণ করুন। এই দুর্গের স্থাপত্য বেশ সুন্দর। এছাড়াও, এর গঠন বেশ শক্তিশালী এবং চিত্তাকর্ষক। এই দুর্গের প্রধান ফটকটি এলিফ্যান্ট ব্রিজ নামে পরিচিত। এই ফটকটি সরাসরি মন মন্দির প্রাসাদের দিকে নিয়ে যায়।

এই দুর্গের অভ্যন্তরে একটি পুকুর রয়েছে। স্থানীয় মানুষের ধারণা এই পুকুরের জল পান করলে নাকি দুরারোগ্য নিরাময় হয়ে যায়। একই ভাবে মানুষের ধারণা রয়েছে যে এই দুর্গে‌র মধ্যে নাকি লুকিয়ে রয়েছে বহু ধন সম্পত্তি। যদি এর হদিস আজ অবধি কোনও ঐতিহাসিক বিদ দেননি।

এই দুর্গের অভ্যন্তরে অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে। এর ভিতরে আপনি বুদ্ধ-জৈন মন্দির, গুজারি মহল, মানসিংহ মহল, জাহাঙ্গীর মহল, করণ মহল, শাহ জাহান মহল প্রাসাদগুলি দেখতে পাবেন। বর্তমানে এটি এখন একটি প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরে পরিণত হয়েছে। এই দুর্গ পরিদর্শন ছাড়াও, আপনি গোয়ালিয়রের সংস্কৃতি এবং বিখ্যাত খাবার উপভোগ করতে পারেন। এই শহরটি তার হস্তশিল্পের জন্যও বিশ্বব্যাপী পরিচিত।

আরও পড়ুন: একাধিক ধর্মীয় বিশ্বাস জড়িত রয়েছে এই গ্রামের সঙ্গে! জেনে নিন ভারতের সেই শেষ গ্রামের ঠিকানা

Next Article