AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Himachal Pradesh: বিশ্বের কিছু সেরা দৃশ্যের সাক্ষী হতে পারেন এই উপত্যকায়!

"স্পিতি" নামের অর্থ হল "মধ্যভূমি"। এই উপত্যকা তিব্বত ও ভারতের মধ্যবর্তী ভূমি তাই এর নাম স্পিতি।

Himachal Pradesh: বিশ্বের কিছু সেরা দৃশ্যের সাক্ষী হতে পারেন এই উপত্যকায়!
স্পিতি উপত্যকা
| Edited By: | Updated on: Sep 05, 2021 | 3:52 PM
Share

ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় লাহুল ও স্পিতি। হিমাচল প্রদেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র এই স্পিতি। চন্দ্রভাগা নদীর তীরে অবস্থিত এই স্পিতি উপত্যকার সৌন্দর্য্য সারা জীবনের অভিজ্ঞতা তৈরি করে।

স্পিতি উপত্যকা হল একটি শীতল মরুভূমি পর্বত উপত্যকা যা ভারতের হিমাচল প্রদেশের উত্তর-পূর্ব অংশে হিমালয় পর্বতমালায় উঁচুতে অবস্থিত। “স্পিতি” নামের অর্থ হল “মধ্যভূমি”। এই উপত্যকা তিব্বত ও ভারতের মধ্যবর্তী ভূমি তাই এর নাম স্পিতি।

ছবির দৃশ্যের থেকে সুন্দর এই উপত্যকার প্রাকৃতিক দৃশ্য। “লিটল তিব্বত” এবং “তুষার মরুভূমি” নামে পরিচিত এই হিমালয় উপত্যকাটি আর্কিটেক্টের একটি প্রাণবন্ত এবং ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য শিল্পকর্ম। মানসিক শান্তি খুঁজে পেতে গেলে অনাহাসে চলে যেতে পারেন এই উপত্যকায়। এখানে ১০০০ বছর পুরোনো একটি বৌদ্ধিক মঠ রয়েছে, যা স্থানীয় ভাবে গোম্পাস নামে পরিচিত। তাছাড়াও এখানে ধনকর লি নামক একটি মঠ রয়েছে যা সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র।

বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম অ-মেরু হিমবাহ বারা শিগরি এই উপত্যকাতেই অবস্থিত। এই উপত্যকা জুড়ে কয়েকটি জায়গায় জীবাশ্ম দেখা যায়। এই কারণেই স্পিতিকে বলা হয় বিশ্বের জীবাশ্ম উদ্যান। ল্যাংজা এমন একটি জায়গা যেখানে সামুদ্রিক জীবাশ্ম পাওয়া যায়।

চিচাম ব্রিজ

কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না, এশিয়ার বৃহত্তম সেতু এই স্পিতি উপত্যকাতেই অবস্থিত। চিচাম ব্রিজ, যা এশিয়ার বৃহত্তম সেতু এবং সেটি স্পিতি উপত্যকার একটি পর্যটন কেন্দ্রও বটে। এই সেতুটি ১৩৫৯৬ ফুট উচ্চ। এই ব্রিজটি চিচাম এবং কিবার নামের দুটি গ্রামকে সংযুক্ত করেছে। আপনি যদি ব্রিজের ওপর থেকে লক্ষ করেন তাহলে এর প্রায় ১০০০ ফুট গভীরতা আপনি উপলব্ধ করতে পারবেন। এই গিরিখাত সাম্বা লাম্বা নাল্লাহ নামে পরিচিত।

এই সেতু তৈরির পিছনে মূল কারণ এটি ব্রিজটি কিবার থেকে লোসার পর্যন্ত যাত্রা প্রায় ৮০ কিলোমিটার কমিয়ে দেয়। এই সেতুটি প্রায় ১৫ বছর ধরে নির্মিত হয়েছিল এবং সেতুটি নির্মাণ করতে প্রায় ৪৮৫.৫০ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছিল। অবশেষে ২০১৭ সালে উদ্বোধন হয় চিচাম ব্রিজের।

এই বিষয়গুলি ভ্রমণকারীদের মধ্যে আরও স্পিতির প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে তুলেছে। ভ্রমণকারীরা সেতু পার হয়ে চন্দ্রতাল হ্রদের দিকে যেতে গেলে খুঁজে পাবেন হিমাচলের আরেকটি সুন্দর রূপ। কাজা, কোমিক, ল্যাংজা, ধনকর, তাবো এবং নাকো ভ্রমণ করার সময় এই চিচাম ব্রিজের দৃশ্য অন্বেষণ করতে পারেন।

আরও পড়ুন: রাজস্থানের ভানগড়কে কেন ভুতুড়ে দুর্গ বলা হয় জানেন?

আরও পড়ুন: পুজোয় সোলো ট্রিপের জন্য কোথায় যাবেন? রইল আদর্শ ৪ জায়াগার খোঁজ