দুর্গাপুজো মানেই জমিয়ে খাওয়াদাওয়া, পরিবার, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া আর বাঙালিয়ানায় মেতে ওঠা। পুজো মানেই সব ভুলে বেহিসাবি হয়ে ওঠার দিন। পুজো মানে কটা দিন রাজকীয় মেজাজে পুজোর আনন্দ উপভোগ করার দিন। তবে যদি বলি কেবল রাজকীয় মেজাজেই নয়, পুজোর কটা দিন চাইলেই কিন্তু আপনি অনায়াসে থাকতে পারেন রাজবাড়িতে। তাও আবার একদম রাজকীয় আদবকায়দায়। খরচ কম, কলকাতা থেকে স্বল্প দূরে কটা দিন ছুটি কাটাতে চাইলে এই পুজোয় বরং ঘুরে আসুন এই সব জায়গায়।
রাজবাড়ি বাওয়ালি
প্রায় তিনশো বছরের পুরনো এই রাজবাড়ি। বহু ইতিহাসের স্বাক্ষী। এই বাড়ির কোণায় কোণায় রয়েছে রাজকীয়তার অগুনতি নজির। বিশাল ঘর, উচ্চমানের রেঁস্তোরা, সুইমিং পুল, পিয়ানো ঘর পাবেন প্রায় সব কিছুই। আরও কত কী! কলকাতা থেকে মাত্র ঘন্টাখানেকের দূরত্বে এই বিশাল রাজবাড়ি আজ রিসর্টে পরিণত হয়েছে। দু’দিনের জন্য কলকাতার কাছে-পিঠে কোথাও ঘুত্রে আসতে চাইলে ছুটি কাটানোর আদর্শ জায়গা এই রাজবাড়ি বাওয়ালি। রয়েছে ব্যাঙ্কোয়েট হল। চাইলে আপনার ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’-এর ঠিকানাও কিন্তু হতে পারে রাজবাড়ি বাওয়ালি।
ইটাচুনা রাজবাড়ি
কলকাতার কাছেই মাত্র ৭০ কিমি দূরত্বে খন্যান স্টেশনের কাছেই রয়েছে ইটাচুনা রাজবাড়ি। ৮ একর জমি নিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাগান ও পুকুরে ঘেরা এই রাজবাড়ি সুবিশাল ও ভারী মনোরম। এর তিনটি অংশ আছে, দেব মহল, অন্দরমহল, এবং বাহির মহল। সিংহ দুয়ার দিয়ে ভিতরে ঢুকে দুই পাশে বিস্তার করে থাকে রাজবাড়ির নানা অংশ। ইটাচুনা রাজবাড়িতে মূলত সাধারণ মানুষ ভিড় করেন রাজকীয়তার স্বাদ উপভোগ করতে। বিশাল ঘর, টানা বারান্দা, সাবেকি ধাঁচে সাজানো ঘর ও কুণ্ডু বংশের পূর্বসুরীদের ইতিহাসে ঘেরা এই রাজবাড়িতে গেলে আপনিও এক ঝটকায় পৌঁছে যাবেন রাজ-রাজরাদের যুগে।
বাড়ি কোঠী
মুর্শিদাবাদের আজিমগঞ্জের এই রাজবাড়ি নির্মাণ হয়েছিল ১৭৭৪ সালে। সম্প্রতি নজর কেড়েছে ভ্রমণপিপাসুদের। গ্রাম্য পরিবেশের বুকে জমিদারীর স্বাদ পেতে হলে এই জায়গা আদর্শ। হেরিটেজ এই হোটেলে পৌঁছলেই প্রথমে স্বাদরে বরণ করে নেবে আপনাকে। কয়েক একর জমি নিয়ে বিস্তৃত সুবিধাল এই রাজাবড়ি ঘুরে দেখতেই কেটে যায় প্রায় একটা দিন। এখানে আছে শিসমহল, লাইব্রেরি, জলসাঘর, দরবার হল, জনানা চৌক আরও অনেক কিছুই। ঐতিহাসিক শহরে মুর্শিদাবাদে বসে নবাবী আমেজে দুটো দিন কাটাতে চাইলে বাড়ি কোঠী কিন্তু আদর্শ জায়গা।