বর্ষ বরণ হোক সাবধানে

শুভঙ্কর চক্রবর্তী | Edited By: স্বরলিপি ভট্টাচার্য

Dec 30, 2020 | 3:03 PM

বছর শেষের উদযাপনে কী কী এড়িয়ে চলা যেতে পারে তা নিয়ে রইল TV9 বাংলা ডিডিটালের চার পরামর্শ।

বর্ষ বরণ হোক সাবধানে

Follow Us

করোনা বিধি ভুলেই চলতি বছরের বড়দিন পালন করেছে শহর কলকাতা। অধিকাংশ মুখে ছিল না মাস্ক আর না ছিল পার্কস্ট্রিটের রাস্তায় কোনও দূরত্ববিধি মানার চেষ্টা। তাই এ বছর শেষের উদযাপনে কী কী এড়িয়ে চলা যেতে পারে তা নিয়ে রইল TV9 বাংলা ডিডিটালের চার পরামর্শ।

 কোভিড গুডবাই বলেনি

কোভিড ভাইরাসমাঝরাতের জমকালো সেলিব্রেশনে ‘মাস্ক’ এর মুখ কম দেখা গেছে। আর দূরত্ববিধি! আছে খুব কম দেখা গেছে। পার্ক স্ট্রিটে গলায় গলায় হয়তো হেঁটে বেড়িয়েছে ‘তিন দোস্ত, আপ ম্যায় অউর করোনা ভাইরাস’। বড়দিনে করোনাকে ভুলে গিয়ে জনমত উঠেছে ‘করে নিই’!

তাই শুধু পার্ক স্ট্রিট নয়, রাসেল স্ট্রিট থেকে অ্যালেন পার্ক কোভিড তোমায় বুড়ো আঙুল দেখানো মানুষের ঢল যা নেমেছিল। পরদিন খবরের কাগজের পাতায় সে সকল মানুষদের দেখে আতকে উঠেছেন সে-ই মানুষেরই দল। মাস্ক পরা আর সেদিন ‘টাস্ক’-এর মধ্যে পড়েনি। আর আশা করা যায় আগামী দিন-দুয়েক মাস্ক পরার চান্স একেবারেই নিম্নগামী। তা-ই পার্ক স্ট্রিটের মতো আলো-রোশনাইয়ের রাস্তায় হাতে হাত ধরে না পেরনোই শ্রেয়। আর যদি পেরোতেই হয় দূরত্ববিধি মানুন। আলো বড্ড ভাল লাগলে, অনলাইনে টুনিলাইট অর্ডার দিন। বাড়িতে লাগান। শরীরের কোভিড লাগাবেন না।

পকেট না গড়ের মাঠ!

ফাঁকা মানি ব্যাগগোটা বছর টাকাপয়সার ব্যালেন্স শিট মেলাতে বসলে কালঘাম ছোটার জোগার। এই ঢুকল মাইনে তো এই নেই। এ ছাড়াও আরও যা যা হয়েছে, চাকরি হারিয়ছেন মানুষ, শাকসবজির দাম বেড়েছে। মাসকাবারি আইটেমে ঢুকে পড়েছে মাস্ক-স্যানিটাইজার, ফেস শিল্ড, ডিসেনফেকটেন্ট, গ্লাভস এমকি কিনতে হয়েছে এয়ার পিউরিফায়ারও। আর করোনার ‘বার্থ মান্থ’গুলোয় তো পরিচারিকাকেও দিতে হয়েছে পারিশ্রমিক। এর পরে বর্ষ শেষে সান্তা ক্লজের টুপি কিনতে ইচ্ছে করে। কিন্তু ওই যে আনলকে তো রেস্তোরাঁর বিরিয়ানির গন্ধটাও পাচ্ছেন। তাই সপরিবারে বড় নামজাদা রেস্তোরাঁয় যেতে তো ‘দিল মাঙ্গে মোর’। কিন্তু এবার পকেটের কথা ভাবুন। ইউটিউবে কুকিং ভিডিও দেখুন, বিরিয়ানি বাড়িতে হোক। ঠিক যেমন লকডাউনে ‘ডালগোনা’ শিখেছিলেন। 

সেকেন্ড ওয়েভ প্রাইমারিও হয়ে যেতে পারে

সেকেন্ড ওয়েভসেকেন্ড ওয়েভ আসছে কি আসছে না এ নিয়ে ‘জয়-বীরু’ হয়ে টস করবেন না। সতর্ক হতে খরচ নেই। তা-ই উদযাপন করুন তবে সাবধান হয়ে। তা-ই ঘুরুন ফিরুন এমনভাবে যেন ভাইরাস ভয় পাওযাতে না পারে। ভিড়ভাট্টা এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে সপরিবারে ‘দীপুদা’ বেড়াতে পারেন (দীঘা, পুরী, দার্জিলিং)। কিন্তু গড়িয়াহাটের রাস্তায় স্ট্রিট শপিং থেকে বিরত থাকতে পারলে, ভাল হয়।

বার নয় বারান্দা

লেটস চিল!

নতুন বছরে কয়েক গ্লাস ‘জল’ তো থাকতে হবে। চিয়ার্স হবে, ওয়ান সিপ আপও হবে। চেষ্টা করুন ঘর ‘বার’ এক করে দিতে। বার কস্টলি। বারান্দা বাজেট ফ্রেন্ডলি। আগে থেকে ‘স্টক’ করুন। তাহলে বন্ধুদের ‘স্টক শেষ?’ এর উত্তর দিতে হবে না। আর নাচ-গান-ডিজে বাড়িতেও সম্ভব। প্লে-লিস্ট তৈরি করুন। বারান্দা কিংবা খোলা ছাতে হোক জমায়েত আর বর্ষশেষ আর বর্ষশুরুর ‘জাম’ উঠুক গ্লাসে গ্লাসে।

Next Article