Belpatra Rules: শিবের মাসে শিবলিঙ্গে বেলপাতা অর্পন করার সময় মেনে চলুন এই পদ্ধতি, পাবেন এক কোটি কন্যাদানের পুণ্যলাভ
Belpatra on Shivling: মহাদেব একটি বেলপাতাতেই সন্তুষ্ট। তাই একখানা বেলপাতা নিবেদন করা অত্যন্ত শুভ। পণ্ডিতদের মতে, শ্রাবণ মাসে শিবলিঙ্গে বেলপত্র নিবেদন করলে মহা পুণ্য লাভ করা যায়। কীভাবে মহাদেবকে বেলপত্র নিবেদন করা যায়, তার জন্য রয়েছে বিশেষ পদ্ধতি। বেলপাতা অর্পণেরও রয়েছে গুরুত্ব।
মহাদেব একটি বেলপাতাতেই সন্তুষ্ট। তাই একখানা বেলপাতা নিবেদন করা অত্যন্ত শুভ। পণ্ডিতদের মতে, শ্রাবণ মাসে শিবলিঙ্গে বেলপত্র নিবেদন করলে মহা পুণ্য লাভ করা যায়। কীভাবে মহাদেবকে বেলপত্র নিবেদন করা যায়, তার জন্য রয়েছে বিশেষ পদ্ধতি। বেলপাতা অর্পণেরও রয়েছে গুরুত্ব।
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ৪ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র মাস। শ্রাবণ মাসে সনাতন ধর্মের ভক্তরা ভগবান শিবের পূজা করে থাকেন।
শঙ্কর মহাদেবকে তুষ্ট করতে এই সময় শিবলিঙ্গে ভাঙ, ধাতুরা ও বেলপত্র দিয়ে জলাভিষেক করেন।
মহাদেব একটি বেলপাতাতেই সন্তুষ্ট। তাই একখানা বেলপাতা নিবেদন করা অত্যন্ত শুভ। পণ্ডিতদের মতে, শ্রাবণ মাসে শিবলিঙ্গে বেলপত্র নিবেদন করলে মহা পুণ্য লাভ করা যায়। কীভাবে মহাদেবকে বেলপত্র নিবেদন করা যায়, তার জন্য রয়েছে বিশেষ পদ্ধতি। বেলপাতা অর্পণেরও রয়েছে গুরুত্ব।
পণ্ডিতদের মতে, শ্রাবণ মাসে বেল গাছের নিচে শিবলিঙ্গের পুজো ও বেলপত্র নিবেদন করলে এক কোটি কন্যাকে দান করার সমান ফল পাওয়া যায়।
শ্রাবণ মাসে বেল গাছের নীচে ভগবান শিবের পূজা করার সময় শিব তান্ডব স্তোত্র পাঠ করা খুবই ফলদায়ক। এই পবিত্র মাসে শিবকে বেলপত্র নিবেদন করা হয় কেন, এর গুরুত্ব কী?
পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, বেল গাছ জীবনের সমস্ত অর্জনের সবচেয়ে পবিত্র স্থান। এই গাছের নিচে ভগবান শিবের পূজা করলে বহুগুণ ফল পাওয়া যায়। শ্রাবণ মাসে বেল গাছের নীচে বসে জ্যোতিষশাস্ত্র ও তান্ত্রিক মন্ত্র সাধিত হয়।
শ্রাবণ মাসের প্রতি সোমবার বেলপত্র নিবেদন করা খুবই শুভ। কিন্তু সোমবার বেলপত্র নিবেদনের একদিন আগে তা ভেঙ্গে গুছিয়ে রাখতে হবে। বেলপাতা তোলার সময় বিশেষ কিছু জিনিস খেয়াল রাখতে হবে।
বেলপাতা সবসময় তিনপাতার হতে হবে। কোথাও কাঁটা বা ছেঁড়া হলে সেই পাতা বাতিল করে দিতে হবে। যদি পাঁচটি পাতা বিশিষ্ট একটি বেলপাত্র পাওয়া যায় তাহলের তার গুরুত্ব অনেক বেশি। বেশি ফল পাওয়া যায় তাতে। তবে বেলপত্র কিনে আনলে যে কোনও সময় কিনতে পারবেন।
স্কন্দপুরাণ অনুসারে, একবার দেবী পার্বতীর ঘামের এক ফোঁটা মান্দারাচল পর্বতে পড়ে। সেই ঘামবিন্দু থেকে বের হয় একটি বেল গাছ। পার্বতীর ঘাম থেকে এই বৃক্ষের উৎপত্তি হওয়ায় পার্বতীর সমস্ত রূপ এতে বিরাজ করে বলে মনে করা হয়। দেবী পার্বতী কান্ডে মহেশ্বরী, শাখায় দক্ষিণায়ণী ও পাতায় পার্বতী, ফুলে গৌরী, ফলে কাত্যায়নী রূপে বিরাজ করেন।
এর সঙ্গে সঙ্গে দেবী লক্ষ্মীও সব রূপে বিরাজ করেন। পার্বতীর সমস্ত রূপের আবাস হওয়ায়, শিবকে বেলপত্র নিবেদন করলে খুব খুশি হন। এতে ভক্তদের সমস্ত ইচ্ছাপূরণ করেন দেবাদিদেব।
জ্যোতিষীদের মতে, যে ভক্ত শ্রাবণ মাসে বেল গাছ রোপণ করেন , সেই গাছের বি্শেষ যত্ন নেন, তিনি এক কোটি কন্যাদানের সমান ফল লাভ করবেন।