
হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্ম মতে, বৈশাখ পূর্ণিমাকেই বুদ্ধ পূর্ণিমা বলা হয়। প্রতি বছর বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত হয়। বৌদ্ধদের মতে, এই শুভ ও পবিত্র দিনেই গোতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, এবছর আগামী ২৩ মে বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত হবে। নিয়ম অনুযায়ী, ভগবান বুদ্ধের আরাধনার পাশাপাশি বেশ কিছু শুভ জিনিসপত্র দান করাও শ্রেয়। এদিন বিশেষ কিছু দানকর্ম কর্ম করলে বেজায় খুশি হন পিতৃপুরুষরাও।

বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে, ভগবান বুদ্ধ বোধগয়ায় জ্ঞানলাভ করেছিলেন, তাই বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে, সারা বিশ্ব থেকে বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী ভক্তরা বোধগয়ায় পৌঁছে বোধিবৃক্ষের পুজো করেন।

এছাড়া পূর্ণিমার দিনে বেশ কিছু জিনিস দান করলে পিতৃপুরুষের দিনে অপার আশীর্বাদ পাওয়া যায়। পূর্বপুরুষরা খুশি হয়ে আশীর্বাদ প্রদান করেন। তাই বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে নদীতে স্নান করে দুঃস্থদের দান করা উচিত।

বৈশাখ পূর্ণিমার দিনে গঙ্গা নদীতে স্নানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। যদি বাড়ির কাছাকাছি গঙ্গানদী না থাকে তাহলে, স্নানের জলে গঙ্গা জল মিশিয়ে স্নান করলেও শুভ ফল পাওয়া যায়। এমনটা করলে ভগবান বিষ্ণুরও আশীর্বাদ বর্ষণ হবে।

বুদ্ধ পূর্ণিমায় একটি হাতপাখা, একটি মাটির পাত্র জল ভর্তি, হলুদ কাপড়, জুতো, ছাতা, শস্য, ফল দান করা খুবই উপকারী। তাতে পূর্বপুরুষরাও অত্যন্ত খুশি হন। এছাড়াও দেব-দেবীর আশীর্বাদ বজায় থাকে।

বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে স্নান-দান করার পাশাপাশি ভগবান বিষ্ণু, দেবী লক্ষ্মী ও তুলসীরও আরাধনা করা উচিত। এছাড়াও ভগবান বুদ্ধের উপাসনা করলে ভাল হয়।