Fact Check: কোভিড ভ্যাকসিনে ছিল AIDS-এর ভাইরাস? চাঞ্চল্যকর দাবি ঘিরে শুরু হইচই
Fact Check: শরীরের ক্ষতিকারক করোনা ভাইরাসকে চিনে তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। ভিডিয়োর দাবি অনুসারে এই স্পাইক প্রোটিন স্টেবিলাইজারে রয়েছে এইচআইভি।
1 / 8
চিনে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস বা এইচএমপি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্ক ছড়িয়েছিল ভারতেও। কোভিডের কালো দিন আবার ফিরে আসবে না তো? মনে মনে যখন এই নিয়ে চিন্তিত বহু মানুষ তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওর কারণে শুরু হয় নতুন করে আতঙ্ক।
2 / 8
@haybags73 ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল থেকে শেয়ার করা একটি ভিডিয়োয় দাবি কর হয়, কোভিড ১৯ রোগকে আটকাতে যে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে নাকি হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস বা এইচআইভির উপস্থিতি রয়েছে।
3 / 8
সমাজ মাধ্য়মে ভিডিওটির ১০ লাখ ভিউ রয়েছে। মাত্র ৩ সপ্তাহ আগে প্রকাশিত ভিডিওটিতে ২২,০০০ লাইক পড়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল এই ভিডিয়োর দাবি কতটা যুক্ত? চলুন, জেনে নেওয়া যাক আসল সত্যিটা কী?
4 / 8
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি অনুসারে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনে এক ধরনের বিশেষ স্পাইক প্রোটিন থাকে। যা শরীরে প্রবেশ করে, কোষে কোষে গিয়ে সেই ভাইরাসের প্রতিলিপি গড়ে তোলে। এবং শরীরের ক্ষতিকারক করোনা ভাইরাসকে চিনে তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। ভিডিয়োর দাবি অনুসারে এই স্পাইক প্রোটিন স্টেবিলাইজারে রয়েছে এইচআইভি।
5 / 8
ভিডিওটির শেষে দেখা যায় ডক্টর রিচার্ড এম ফ্লেমিং কোভিড ভ্যাকসিনে কোভিড স্পাইক প্রোটিনে এইচআইভি উপাদান থাকার কথা জানিয়েছেন। যদিও এই রিচার্ডের বিরুদ্ধে আগে স্বাস্থ্যসেবা এবং মেল ফ্রড করার অভিযোগ উঠেছিল। এই ভিডিওর দাবি কি সত্যি?
6 / 8
ফার্স্ট চেকের তদন্ত অনুসারে ভিডিওটি বিভ্রান্তিকর এবং একাধিক অসম্পর্কিত বিষয়বস্তুকে একত্রিত করে ফেক নিউজ ছড়ানোর জন্য বানানো হয়েছে। ভিডিয়োর প্রথম অংশটি একটি ডকুমেন্টারি 'হরাইজন স্পেশাল: দ্য ভ্যাকসিন' থেকে নেওয়া। জুন ২০২১-এ প্রথম সম্প্রচার হয় সেই ডকুমেন্টারি। সেই ভ্যাকসিন গবেষণা প্রথম পর্যায়ের পরে আর এগোয়নি। সাধারণ মানুষের কাছে বিতরণ করা হয়।
7 / 8
শেষের অংশটি অন্য জায়গা থেকে নেওয়া। রিলের দ্বিতীয় বিভাগটি প্রথম বিভাগের ভ্যাকসিন আলোচনা বা COVID ভ্যাকসিনে এইচআইভি উপস্থিতির সঙ্গে কোন সম্পর্ক রাখে না। 'ইস কোভিড-১৯ এ বায়োওয়েপন? এ সাইন্স অ্যান্ড ফরেন্সিক ইনভেস্টিগেশন' বই থেকে নেওয়া।
8 / 8
এই সব প্রমাণের ভিত্তিতে, ফার্স্ট চেক জানায় ভিডিওটি বিভ্রান্তিকর এবং প্রতারণামূলক। এই ভিডিয়োর কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। (সব ছবি - Getty Images)