
গরমের তপ্তদিনগুলিতে শরীরকে ফিট রাখাই দুষ্কর। অতিরিক্ত গরমে হিটস্ট্রোকে মৃত্যুর ঘটনা প্রায়শই শোনা যায়। তাহলে এই হিটস্ট্রোক আসলে কী? বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরের তাপমাত্রা হঠাত করে বেড়ে গেলে তখনই হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হন। গরমে যে কোনও সময়েই যে কেউ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারেন।

হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন, বুঝবেন কীভাবে? দাঁড়ালেই হালকা মাথাঘোরা হল ডিহাইড্রেশনের প্রাথমিক সূচক। অন্যান্য উপসর্গও রয়েছে, সেগুলি হল, শুষ্ক ঠোঁট, জিভ শুকিয়ে যাওয়া, মাথাব্যথা, অত্যাধিক ক্লান্তি, বমি বমি ভাব ও পেশিতে ক্র্যাম্প।

গ্রীষ্মকালে সবসময় ঢিলেঢালা, হালকা সুতির পোশাক পরাই উচিত। তাতে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে ঠান্ডা থাকে। গরমে কাজ বা ব্যায়াম করা জন্য সীমিত সময় মেনে চলুন। গরমে যাঁরা থাকতে অভ্যস্ত নন, তাঁরা এই সময় বেশি অসুস্থবোধ করেন।

বাটারমিল্ক: গরমের সময় বাটারমিল্ক একটি প্রয়োজনীয় পানীয়। তেষ্টা মেটানোর পাশাপাশি শরীরকে ঠান্ডা রাখে। একই সঙ্গে গরমে ডিহাইড্রেশন এড়াতেও বাটারমিল্ক পান করা প্রয়োজন।

হাইড্রেটেড থাকুন: এই সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ জল ও প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট জাতীয়, যেমন নারকেলের জল পান করুন। তপ্তদিনে ফিট থাকতে শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখা বেশ কঠিন। স্বাস্থ্যকর, পুষ্টিকর থাকতে ডায়েট মেনে খাবার ও টজল পান করেন।

ফল ও শাকসবজি- গ্রীষ্মকালে মরশুমি ফল ও শাকসবজি খাওয়া অপরিহার্য। আম ও তরমুজে ফাইবার বেশি। চিনির পরিমাণ কম ও জলের পরিমাণ বেশি। খাবারের আগে এই ফলগুলি খেলে দীর্ঘসময়ের জন্য তৃপ্ত রাখে। এই সময় হজমের জন্য সবচেয়ে ভাল ফল হল পেঁপে। স্যালাদে রাকুন শসা, তাজা লেটুস পাতা।

মাস্কমেলন: গ্রীষ্মে আরও একটি তাজা ও সরস ফল হল এটি। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, বি৬ , আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম। শুধু হাইড্রেটিং নয়, কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও মুক্ত দিতে সাহায্য করে।

স্মুদিজ- দই ও বরফের টুকরো দিয়ে তৈরি স্মুদিজ গরমকালে ঠান্ডা রাখার সহজ একটি উপায়। আপনার পছন্দের ফল দিয়ে নানা স্বাদের স্মুদিজ বানাতে পারেন।