Naga Sadhu Rituals: কেন স্নান করেন না, কী ভাবে কাম জয় করেন নাগা সন্ন্যাসীরা?
Naga Sadhu Rituals: অনেক নাগা সাধুই, পূর্ব জীবন ত্যাগ করার সময় বস্ত্র ত্যাগ করেন। সম্পূর্ণ উলঙ্গ থাকেন। গুহায় থেকে কঠোর তপস্যা করেন। নাগা সাধুদের অনেক বিশেষ আচারের মধ্যে একটি হল কামেন্দ্রিয় ভঙ্গ।
1 / 8
চলছে মহাকুম্ভ ২০২৫। এই মহাকুম্ভে অন্যতম বড় আকর্ষণ নাগা সাধুরা। তাঁদের ছাড়া মহাকুম্ভ শুরু হতে পারে না। ঐতিহ্য অনুসারে, সাধুরাই প্রথম অমৃতস্নান করেন। তারপর বাকি ভক্তরা স্নান করেন। এমন বহু নাগা সাধু আছেন যাঁরা কয়েক মাস বা কয়েক বছর স্নান করেন না। এর নেপথ্যে কী কারণ জানেন?
2 / 8
স্নান না করার পিছনে কিন্তু একটি বিশেষ কারণ রয়েছে। নাগা সাধুরা বিশ্বাস করেন যে শুধুমাত্র ছাই-ভস্ম এবং ধ্যান-যোগ প্রয়োগের মাধ্যমে শুদ্ধি অর্জিত হয়। তাই সারা শরীরে শুধু ভস্ম বা ধুনি লাগান। নাগা সাধুরা তাঁদের সাধনায় শরীরের বাহ্যিক বিশুদ্ধতার চেয়ে অভ্যন্তরীণ বিশুদ্ধতার দিকে বেশি মনোযোগ দেন। এতেই শেষ নয়।
3 / 8
অনেক সাধু আছেন যাঁরা নিয়মিত একটি নির্দিষ্ট বিরতিতে স্নান করেন। বিশেষ সাধনার নিয়ম অনুসারে নির্দিষ্ট নিয়মের অন্তরে স্নান করেন তাঁরা। নাগা সাধুদের স্নানের কোন সঠিক নিয়ম বা সময়ও নেই। তাঁদের সাধনা, ব্যক্তিগত তপস্যার ধারার উপর নির্ভর করে তাঁদের স্নান করা না করা।
4 / 8
অনেক নাগা সাধুই, পূর্ব জীবন ত্যাগ করার সময় বস্ত্র ত্যাগ করেন। সম্পূর্ণ উলঙ্গ থাকেন। গুহায় থেকে কঠোর তপস্যা করেন। নাগা সাধুদের অনেক বিশেষ আচারের মধ্যে একটি হল কামেন্দ্রিয় ভঙ্গ। এই প্রক্রিয়া চলার সময় নাগের আকারে আখড়ার পতাকার নীচে ২৪ ঘন্টা কিছু না খেয়ে, না পান করে দাঁড়িয়ে থাকেন তাঁরা। এই সময় তাঁদের কাঁধে একটি লাঠি এবং হাতে একটি মাটির পাত্রও থাকে।
5 / 8
আখড়ার রক্ষীরা সেই সাধুর উপরে নজর রাখেন। এর পর আখড়ার সাধু বৈদিক মন্ত্রসহ ধাক্কা দিয়ে তাঁর লিঙ্গ নিষ্ক্রিয় করে দেয়। এই কাজটিও হয় আখড়ার পতাকা তলাতেই হয়। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরেই নাগা সাধু হয়ে ওঠেন তিনি।
6 / 8
যদি একজন ব্যক্তি সফলভাবে ব্রহ্মচর্য জীবন পালন করতে পারে তবেই সে সাধু হওয়ার পরবর্তী পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হন। ব্রহ্মচারী থেকে মহাপুরুষে রূপান্তরিত হন। পাঁচ জন গুরু প্রস্তুত করা হয়। এই পাঁচ গুরু হলেন পঞ্চ দেব বা পঞ্চ পরমেশ্বর (শিব, বিষ্ণু, শক্তি, সূর্য এবং গণেশ)।
7 / 8
মহাপুরুষের পর নাগাদের অবধূত করা হয়। এর পদ্ধতিতে সবার আগে তাঁদের চুল কাটা হয়। এ জন্য আখড়া পরিষদের রশিদও কাটা হয়। অবধূত রূপে দীক্ষা গ্রহণকারী ব্যক্তিকে নিজের তর্পণ ও পিন্ডদান করতে হয়। এই পিন্ড দান আখড়ার পুরোহিতরাই করে থাকেন। এরপর থেকে সাধুদের জীবনে একমাত্র উদ্দেশ্য সনাতন ও বৈদিক ধর্ম রক্ষা করা।
8 / 8
নাগা সাধুরা সাধারণত চুলও কাটে না। তাঁরা একে তপস্যা ও সাধনার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক হিসেবে মনে করে। চুল না কাটা পার্থিব বন্ধন, আকাঙ্ক্ষা এবং বস্তুগত আরাম ত্যাগ করার প্রতীক। (সব ছবি -PTI)