বলিউডে এমন অনেক তারকাই রয়েছেন, যাঁদের শুরু ও শেষের মধ্যে বিস্তর ফারাক। তেমনই এক সেলেব হলেন পরভিন ববি। যাঁকে এক কথায় বলিউডের অন্যতম বোল্ড অভিনেত্রীর তকমা দেওয়া হত, সেই শেষে কি না এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলেন!
৭০ থেকে ৮০-র দশকে পর্দায় যাঁর দাপট ছিল চোখে পড়ের মত, শেষে সেই মানুষটাকেই ঘিরে ঘরে ছিল একাকিত্ব। সরে এসেছিলেন পর্দা থেকে। ধীরে ধীরে মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি।
একটা সময় জানা যায় তিনি প্যারানয়েড সিজ়োফ্রেনিয়ায় ভুগছেন। সেই সময়ই তিনি দাবি করে বসেন অমিতাভ বচ্চন ও বিল ক্লিন্টন তাঁকে খুন করার চেষ্টা করছেন। চেয়েছিলেন সাহায্যও।
চলছিল চিকিৎসা। তবে সময়টা কাটত তাঁর একাই। সকলের অজান্তেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন তিনি। টানা তিনদিন পর দর্জায় পড়ে থাকা খবরের কাগজ, দুধ দেখে সকলে অনুমান করেন, কিছু একটা ঘটে গিয়েছে।
এরপরই উদ্ধার হয় তাঁর মৃত দেহ। কিন্তু তারপরও হচ্ছিল না সৎকার। টানা দুদিন কেউ নিতে আসেনি তাঁর দেহ। শেষ মহেশ ভাট এগিয়ে যান শেষকৃত্যের জন্য। এভাবেই জীবনের শেষ কটাদিন যুদ্ধ চালিয়েছিলেন বলিউড কুইন।