Pre Independence Eateries in Kolkata: প্রাক-স্বাধীনতার এইসব রেস্তোরাঁর জনপ্রিয়তা আজও তুঙ্গে
TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস
Aug 15, 2021 | 7:21 AM
কলকাতা- দ্য সিটি অফ জয়। এই আনন্দের অনেকটা জুড়ে রয়েছে খাবার-দাবার এবং কলকাতার বিখ্যাত সব রেস্তোরাঁ। অনেক রেস্তোরাঁর জন্ম স্বাধীনতারও অনেক আগে। তবে এত বছর পরেও তাদের রমরমা একচুলও কমেনি।
1 / 13
কলকাতা- দ্য সিটি অফ জয়। এই আনন্দের অনেকটা জুড়ে রয়েছে খাবার-দাবার এবং কলকাতার বিখ্যাত সব রেস্তোরাঁ। অনেক রেস্তোরাঁর জন্ম স্বাধীনতারও অনেক আগে। তবে এত বছর পরেও তাদের রমরমা একচুলও কমেনি। বরং বয়সের সঙ্গে সঙ্গে স্বাদ বেড়েছে এইসব রেস্তোরাঁর খাবারের। তারই মধ্যে অন্যতম আমিনিয়া। বর্তমানে কলকাতা জুড়ে আমিনিয়ার একাধিক দোকান থাকলেও সবচেয়ে পুরনো হল এসপ্ল্যানেড অর্থাৎ নিউ মার্কেট চত্বরের আমিনিয়া। দরদাম করে শপিং সেরে আমিনিয়ার বিরিয়ানি না খেয়ে বাড়ি ফিরেছেন এমন লোকের সংখ্যা কিন্তু হাতে গোনা।
2 / 13
শ্যামবাজারে জমজমাট পাঁচ মাথায় মোড়। আর তার শোভা বাড়াতে দাঁড়িয়ে রয়েছে গোলবাড়ি। এ দোকানের পাশ দিয়ে হাঁটলেও মন ভাল করে দেয় কষা মাংসের সুগন্ধ। এখানকার পরোটা-কষা মাংসের সুখ্যাতি রয়েছে শহরের বাইরেও।
3 / 13
কলকাতায় কেউ বেড়াতে আসবেন, আর মিষ্টিমুখ করবেন না, তাই আবার হয় নাকি। সেজন্য রয়েছে গিরীশ চন্দ্র দে এবং নকুড় চন্দ্র দে। চলতি ভাষায় নকুড়ের সন্দেশ কিন্তু ভারত বিখ্যাত। স্বাধীনতার আগে জন্ম এই দোকানের। ৭৫ বছর পরেও মিষ্টির স্বাদে হেরফের হয়নি একটুও।
4 / 13
উত্তর কলকাতার আর একটি প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকান পুঁটীরাম। কলেজ স্ট্রিট চত্বের যাঁদের নিত্য যাতায়াত তাঁদের কাছে এ দোকান বড় প্রিয়। শুধু মিষ্টি নয়, নোনতা আইটেমেও পুঁটীরাম এককথায় লাজবাব।
5 / 13
দিলখুসা কেবিন- নামেই জড়িয়ে আছে হৃদয় খুশি হয়ে যাওয়ার কথা। এখানকার কবিরাজি, কাটলেট এখনও আদি কলকাতার কেবিন-কালচারের ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। জেন ওয়াইয়ের অন্যতম প্রিয় কথা 'সস্তায় পুষ্টিকর'- এর আদর্শ উদাহরণ এই দিলখুসা কেবিন।
6 / 13
বাগবাজার আর শোভাবাজারের মাঝে রয়েছে মিত্র কাফে। দেখতে ছোট হলে কী হবে, এই দোকানের সবই পদই জিভে জল আনার মতো। কবিরাজি, কাটলেট কোনটা ছেড়ে কোনটা খবেন বুঝতেই পারবেন না।
7 / 13
আমিনিয়া ছাড়াও কলকাতায় রয়েছে একাধিক বিরিয়ানির নামকরা সব দোকান। তবে বিরিয়ানি প্রেমীদের অনেকেরই প্রথম পছন্দ সিরাজের বিরিয়ানি। এখানকার বিরিয়ানির গন্ধেই নাকি অর্ধেক খাওয়া হয়ে যায়।
8 / 13
বিরিয়ানির কথা যখন উঠেইছে, তখন একটু কাবাব বা রোলের সন্ধান পেলে মন্দ হয় না। নিজামের কাঠি কাবাব রোল এখনও যাঁরা চেখে দেখেননি, এই বেলা আর দেরি করবেন না। স্বাধীনতা দিবসেই না হয় খেয়ে ফেলুন নিজামের এই বিখ্যাত রোল।
9 / 13
মোগলাই খানা মানে কিন্তু কেবলই বিরিয়ানি আর কাবাব নয়। নরম তুলতুলে মোগলাই পরোটাও এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত। কলকাতায় শতাব্দী প্রাচীন অনাদি কেবিন এই মোগলাই পরোটার জন্যই প্রসিদ্ধ।
10 / 13
স্বাধীন ভারত হিন্দু হোটেল- কলকাতা শহরে আজও ভাতের হোটেলের চল রয়েছে সমানতালে। বিশেষ করে অফিস পাড়ায় এই জাতীয় হোটেলের চল বেশি। ওড়িশা থেকে বাংলায় আসা এক পরিবার এই স্বাধীন ভারত হিন্দু হোটেল গড়ে তুলেছিলেন। স্বাধীনতার আগে সেই কবে এই দোকান তৈরি হয়েছিল। এত বছর পরেও জনপ্রিয়তা কিন্তু সমান আছে।
11 / 13
কলকাতার পুরনো হোটেল রেস্তোরাঁ নিয়ে আলোচনা হবে, আর অ্যালেন কিচেনের নাম উঠবে না, তা কেমন করে সম্ভব। আদি কলকাতার পরিচিত হোটেলগুলোর মধ্যে অন্যতম হল এই অ্যালেন কিচেন।
12 / 13
প্যারামাউন্ট- শরবতের এই ছোট্ট দোকানের সম্ভারে যা কী সাংঘাতিক প্রাচুর্য রয়েছে, সেটা এখানে না গেলে বোঝা সম্ভব নয়। একদা নামকরা সব তারকাদের যাতায়াত ছিল এই দোকানে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অতিথিদের পরিচয় বদলেছে বটে। তবে শরবতের স্বাদ রয়েছে একই রকম, অতুলনীয়।
13 / 13
ইন্ডিয়ান কফি হাউস- খাওয়া-দাওয়ার সঙ্গে রাজনীতি চর্চা, বুদ্ধির গোড়ায় ধোঁয়া দিয়ে মগজাস্ত্র শান দেওয়া, খেলায় মাঠের আলোচনা--- সবের মিশেল পাওয়া যায় কফি হাউসে। এ জায়গার চার্মই আলাদা। না গেলে বোঝা যাবে না।