Chhath Puja 2023: এতটুকু ভুল হলেই মহাবিপদ! ছট পুজোয় কী কী রীতি মেনে চলতেই হবে

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Nov 16, 2023 | 7:30 AM

Puja Vidhi: উত্‍সবের গোটা পদ্ধতি ভেঙে , উপবাস রক্ষা করতে না পারলে পরিবার ও সন্তানের উপর কুনজর ও অশুভ প্রভাব পড়ে বলে মনে করা হয়। তাই এই ব্রত ও উপবাস পালন করতে হয় অত্যন্ত নিষ্ঠাভরে ও শক্তি সঞ্চয় করে। ছট পুজোর রয়েছে বেশ কিছব বিধি।

1 / 9
হিন্দুদের আরও এক গুরুত্বপূর্ণ উত্‍সবপালিত হবে আগামী ১৮ নভেম্বর। আর মাত্র ২দিন পরই শুরু হবে ছট মহাপর্ব। এই উত্‍সবে কোনও প্রতিমা বা মূর্তি পুজো করা হয় না। ছট উত্‍সব এমন একটি কঠিন ও ঐতিহ্যশালী উত্‍সব বলেই মনে করা হয়।

হিন্দুদের আরও এক গুরুত্বপূর্ণ উত্‍সবপালিত হবে আগামী ১৮ নভেম্বর। আর মাত্র ২দিন পরই শুরু হবে ছট মহাপর্ব। এই উত্‍সবে কোনও প্রতিমা বা মূর্তি পুজো করা হয় না। ছট উত্‍সব এমন একটি কঠিন ও ঐতিহ্যশালী উত্‍সব বলেই মনে করা হয়।

2 / 9
লোকবিশ্বাস অনুযায়ী এই উত্‍সব চলে টানা চারদিন ধরে। সন্তানের স্বাস্থ্য, সাফল্য, দীর্ঘায়ুর জন্য এক কঠোর উপবাস পালন করা হয়ে থাকে। এই পুজোয় শুধু মহিলারাই নয়, পরিবারের সকলেই করতে পারেন। নারী-পুরুষ উভয়য়েই উপবাস পালন করতে পারেন। সন্তানের মঙ্গলকামনায় টানা ৩৬ ঘণ্টা উপবাস করার নিয়ম রয়েছে।

লোকবিশ্বাস অনুযায়ী এই উত্‍সব চলে টানা চারদিন ধরে। সন্তানের স্বাস্থ্য, সাফল্য, দীর্ঘায়ুর জন্য এক কঠোর উপবাস পালন করা হয়ে থাকে। এই পুজোয় শুধু মহিলারাই নয়, পরিবারের সকলেই করতে পারেন। নারী-পুরুষ উভয়য়েই উপবাস পালন করতে পারেন। সন্তানের মঙ্গলকামনায় টানা ৩৬ ঘণ্টা উপবাস করার নিয়ম রয়েছে।

3 / 9
সাধারণত, ছট উত্‍সবের প্রথম দিনে স্নানপর্ব, দ্বিতীয় দিনে খরনা ও তৃতীয় দিনে সূর্যাস্তের আগে অর্ঘ্য দান ও চতুর্থ দিনে ভোরে সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন করে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এই নিয়মগুলি পালনের পরই উপবাস ভঙ্গ করা সম্ভব।

সাধারণত, ছট উত্‍সবের প্রথম দিনে স্নানপর্ব, দ্বিতীয় দিনে খরনা ও তৃতীয় দিনে সূর্যাস্তের আগে অর্ঘ্য দান ও চতুর্থ দিনে ভোরে সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন করে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এই নিয়মগুলি পালনের পরই উপবাস ভঙ্গ করা সম্ভব।

4 / 9
উত্‍সবের গোটা পদ্ধতি ভেঙে , উপবাস রক্ষা করতে না পারলে পরিবার ও সন্তানের উপর কুনজর ও অশুভ প্রভাব পড়ে বলে মনে করা হয়। তাই এই ব্রত ও উপবাস পালন করতে হয় অত্যন্ত নিষ্ঠাভরে ও শক্তি সঞ্চয় করে। ছট পুজোর রয়েছে বেশ কিছব বিধি।

উত্‍সবের গোটা পদ্ধতি ভেঙে , উপবাস রক্ষা করতে না পারলে পরিবার ও সন্তানের উপর কুনজর ও অশুভ প্রভাব পড়ে বলে মনে করা হয়। তাই এই ব্রত ও উপবাস পালন করতে হয় অত্যন্ত নিষ্ঠাভরে ও শক্তি সঞ্চয় করে। ছট পুজোর রয়েছে বেশ কিছব বিধি।

5 / 9
এদিন একসঙ্গে খাবার খেয়ে মনকে শুদ্ধ করা হয়। নারী-পুরুষ উভয়েই এই নিয়ম পালন করতে পারেন। পবিত্র পুজোর জন্য পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে যত্ন নেওয়া শুরু হয়। ঘর পরিষ্কার করা, স্নান সেরে পরিষ্কার পোশাক পরিধান করে খাবার গ্রহণ করা হয় ইত্যাদি।

এদিন একসঙ্গে খাবার খেয়ে মনকে শুদ্ধ করা হয়। নারী-পুরুষ উভয়েই এই নিয়ম পালন করতে পারেন। পবিত্র পুজোর জন্য পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে যত্ন নেওয়া শুরু হয়। ঘর পরিষ্কার করা, স্নান সেরে পরিষ্কার পোশাক পরিধান করে খাবার গ্রহণ করা হয় ইত্যাদি।

6 / 9
খাবার গ্রহণের আগে সূর্যদেবকে ভোগ নিবেদন করা হয়। যে উপবাস রেখেছেন তিনি ছট পুজোর প্রথমদিনে সবজি হিসেবে খাঁটি ঘিতে ছোলার জাল ও করলা তৈরি করে খেয়ে থাকেন। শুধু উপবাসকারীই নয়, পরিবারের সকলেই এই খাবার খেতে পারে।

খাবার গ্রহণের আগে সূর্যদেবকে ভোগ নিবেদন করা হয়। যে উপবাস রেখেছেন তিনি ছট পুজোর প্রথমদিনে সবজি হিসেবে খাঁটি ঘিতে ছোলার জাল ও করলা তৈরি করে খেয়ে থাকেন। শুধু উপবাসকারীই নয়, পরিবারের সকলেই এই খাবার খেতে পারে।

7 / 9
মহাপর্বের দ্বিতীয় দিনের উপবাসের সময় খরনা অনুষ্ঠিত হয়। খরনার অর্থ হল শুদ্ধিকরণ। এদিন সন্ধ্যের সময়য় প্রসাদ হিসেবে গুড়ের ক্ষীর তৈরি করা হয়। সারাদিন ধরে উপবাস রাখার পর সন্ধ্যের সময় এই সুস্বাদু খাবারটি খেয়ে উপবাস ভঙ্গ করা যায়। এরপর সেই প্রসাদ সকলের কাছে বিতরণ করা হয়। এই প্রসাদ খাওয়ার পর মোট ৩৬ ঘণ্টা নির্জলা উপবাস রাখা নিয়ম। এই দিন যা যা নৈবেদ্য তৈরি হবে, তা একটি নতুন মাটির উনুন গড়ে, তারপর রান্না করা হয়।

মহাপর্বের দ্বিতীয় দিনের উপবাসের সময় খরনা অনুষ্ঠিত হয়। খরনার অর্থ হল শুদ্ধিকরণ। এদিন সন্ধ্যের সময়য় প্রসাদ হিসেবে গুড়ের ক্ষীর তৈরি করা হয়। সারাদিন ধরে উপবাস রাখার পর সন্ধ্যের সময় এই সুস্বাদু খাবারটি খেয়ে উপবাস ভঙ্গ করা যায়। এরপর সেই প্রসাদ সকলের কাছে বিতরণ করা হয়। এই প্রসাদ খাওয়ার পর মোট ৩৬ ঘণ্টা নির্জলা উপবাস রাখা নিয়ম। এই দিন যা যা নৈবেদ্য তৈরি হবে, তা একটি নতুন মাটির উনুন গড়ে, তারপর রান্না করা হয়।

8 / 9
উত্‍সবের তৃতীয় দিনে সূর্যাস্তের সময় সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন করে পুজো করা হয়। এদিনেই পালিত হয় ছটপুজোর প্রধান অনুষ্ঠান। তাই একে সন্ধ্যে অর্ঘ্যও বলা হয়। এদিন থেকে নির্জলা উপবাস রাখা উচিত। উপোস রেখেছেন যাঁরা, তাঁরা সূর্য ওঠার আগের রাতে রাখা চিনি-মিছরির জল খেতে পারেন। এরপর সন্ধ্যের সময় বা সূর্যাস্তের পর সূর্যদেবকে পুজো করে অর্ঘ্য নিবেদন করা হয়। এদিন ঠেকুয়া, মরসুমি ফল, আখ, কলা ইত্যাদি ফল ও সবজি দিয়ে সূর্যদেবকে নিবেদন করা হয়।

উত্‍সবের তৃতীয় দিনে সূর্যাস্তের সময় সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন করে পুজো করা হয়। এদিনেই পালিত হয় ছটপুজোর প্রধান অনুষ্ঠান। তাই একে সন্ধ্যে অর্ঘ্যও বলা হয়। এদিন থেকে নির্জলা উপবাস রাখা উচিত। উপোস রেখেছেন যাঁরা, তাঁরা সূর্য ওঠার আগের রাতে রাখা চিনি-মিছরির জল খেতে পারেন। এরপর সন্ধ্যের সময় বা সূর্যাস্তের পর সূর্যদেবকে পুজো করে অর্ঘ্য নিবেদন করা হয়। এদিন ঠেকুয়া, মরসুমি ফল, আখ, কলা ইত্যাদি ফল ও সবজি দিয়ে সূর্যদেবকে নিবেদন করা হয়।

9 / 9
ছট পুজোর চতুর্থ দিন উপবাসের শেষ দিন। এদিন সকলেই ছঠি মাইয়া ও সূর্যদেবের কাছে সন্তানসুখ  ও পরিবারের সুখ-শান্তি বজায় রাখার জন্য প্রার্থনা করে থাকেন।  সূর্যোদয়ের সময় সূর্যের দিকে মুখ করে অর্ঘ্য নিবেদন করা হয়। তারপর উপবাস ভঙ্গ করা যায়।

ছট পুজোর চতুর্থ দিন উপবাসের শেষ দিন। এদিন সকলেই ছঠি মাইয়া ও সূর্যদেবের কাছে সন্তানসুখ ও পরিবারের সুখ-শান্তি বজায় রাখার জন্য প্রার্থনা করে থাকেন। সূর্যোদয়ের সময় সূর্যের দিকে মুখ করে অর্ঘ্য নিবেদন করা হয়। তারপর উপবাস ভঙ্গ করা যায়।

Next Photo Gallery