
ঘুম থেকে উঠে রাজার মতো খাবার খাওয়া উচিত। রাতের খাবার কম ক্যালোরির ও হালকা হওয়া দরকার। প্রতিদিন রুটিন মেনে চলাও জ্যোতিষশাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে। জ্যোতিষশাস্ত্র মেনে দৈনন্দিন রুটিনে পরিবর্তন করলেই জীবনে সুখ আনতে পারে।

শাস্ত্রমতে, মন ও শরীর উভয়ই জীবনে গুরুত্বপূর্ণ। মন ও স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সবার আগে প্রয়োজন সুষম ও সুস্বাদু খাবার। তাই স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মনকে শান্ত রাখতে খাবার খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। সঠিক নিয়ম মেনে চললে ভাগ্যের চাকাও বদলাতে থাকে।

ভারতীয় খাবার মানেই মশলাদার, সুস্বাদু, মজাদার খাবারদাবার। তবে রোজকার খাওয়াদাওয়ায় তেল-মশলা কমই পছন্দ করেন অধিকাংশ ভারতীয়। ব্যস্ততার মধ্যে খাবার খাওয়ার সঠিক সময় কেটে যায়। কিন্তু উন্নতি ও সাফল্যের জন্য সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া উচিত।

খাবার নিয়ে ভারতীয়দের মধ্যে রয়েছে বিশাল খুঁতখুঁতানি। তাই খাবার গ্রহণ করার ব্যাপারেও রয়েছে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলেন। প্রথা মেনে প্রবীণরা এখনও ভাত খাওয়ার আগে জলছড়িয়ে দেন। সঠিক সময়ে খাওয়ার খাওয়া গ্রহণ করলে জীবনে অনেক পরিবর্তন দেখা দেয়। স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও, ভাগ্যের ব্যাপারেও।

শাস্ত্র মতে, রাতের খাবার খাওয়ার সঠিক সময় কখন? কখন রাতের খাবার খাওয়া উচিত? ডায়েট নয়, ভাগ্যের চাকা বদলাতে ডিনার কখন খাওয়া উচিত, তা জানলে আখেরে লাভবান হতে পারেন আপনি।

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, গ্রহগুলির শক্তি প্রতিদিন প্রতিটি মানুষের উপরই প্রভাবিত করে। সেই শক্তিগুলি অনেকের উপর পজিটিভ প্রভাব ফেলে, তাই রাতের খাবার শাস্ত্রের সঙ্গে জড়িত। শুধু জ্যোতিষশাস্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, বিজ্ঞান ও আয়ুর্বেদেও রাতের খাবারের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়ে স্বাস্থ্যের ওপর।

গভীর রাতে খাবার খাওয়া জ্যোতিষশাস্ত্রে নিষিদ্ধ। খাওয়ার সঠিক সময় হল সূর্যাস্তের আগে। খাবার খাওয়ার পর হজম করাও দরকার। তাই সূর্যাস্তের আগে খাবার খেলে হজমশক্তি স্বাভাবিক ও সুস্থ থাকে।

রাত ১২টার পর কখনওই খাবার খাওয়া উচিত নয়। স্বাস্থ্যের উপর চরম প্রভাব পড়ে। শুধু তাই নয়, মানসিক স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে তোলে। পাশাপাশি এই সময়ে খাবার খেলে নেতিবাচক শক্তির প্রভাবও পড়তে পারে।

রাতে সবসময় হালকা খাবার খাওয়া উচিত। রাতে বেশি পরিমাণ ও ভারী খাবার খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। তাতে ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটে, স্বাস্থ্যের উপরও কুপ্রভাব পড়ে। তাই সবসময় এমন খাবার খান যা হালকা হয়, তারপর রাতে ভালো ঘুমও হয়।

খাওয়ার সময় সঠিক দিকের উপরও খেয়াল রাখা উচিত। দক্ষিণ দিকে মুখ করে কখনও খাবার খাবেন না। খাওয়ার সময় আপনার মুখ উত্তর, পূর্ব বা পশ্চিম দিকে হওয়া উচিত। সঠিক পথে ও সঠিক সময়ে খাবার খাওয়া স্বাস্থ্য যেমন থাকে সবল, তেমনি মন থাকে খুশিতে ভরপুর।