TV9 বাংলা ডিজিটাল: ২৯ আসনে লড়ে ১৬ আসনে জয়। বিহার নির্বাচনে (Bihar Election Result 2020) বামেদের স্ট্রাইকরেট ৫০ শতাংশেরও বেশি। সব থেকে নজরকাড়া ফল সিপিআইএমএল-লিবারেশনের। ১৯ আসেন লড়ে দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের দল জিতেছে ১২ আসনে। বিহারে মার্ক্স ও লেনিনপন্থীদের এই জয় বেনজির। পরিসংখ্যানের নিরিখে লাল উত্থানে খানিক অবদান রেখেছে সিপিআই ও সিপিএম-ও। ২টি করে আসন গিয়েছে দুই বাম (LEFT) শরিকের দখলে। বিহারের এই সাফল্যেই আশায় বুক বাঁধছে বঙ্গ সিপিএম-ও ।
একুশের বিধানসভায় বাম-কংগ্রেস জোটই বিকল্প, বলছেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানকে পাশে নিয়ে এদিন সুজন চক্রবর্তী বলেন, “বিহার নির্বাচন দেখিয়ে দিল, যেখানেই মৌলিক ইস্যুগুলো নিয়ে লড়াই হয়েছে মানুষ বিজেপিকে বর্জন করেছে। বেছে নিয়েছে বাম ও কংগ্রেসকে।” যদিও বিহারে এবারও আসন কমেছে কংগ্রেসের। ৭০ আসনে লড়ে মাত্র ১৯টি আসনে জয় পেয়েছে রাহুল গান্ধীর দল। শতাংশের বিচারে ভোট বেড়েছে ঠিকই, কিন্ত গত বারের তুলনায় এবার কংগ্রেসের আসন কমেছে ৮টি। অন্যদিকে উল্টোটা হয়েছে বামেদের ক্ষেত্রে। লিবারেশন ৩ থেকে ১২। সিপিএম এবং সিপিআই, দুই বাম শরিকই এবার বিহারে খাতা খুলেছে।
সিপিএম নেতার যুক্তি, “২০১৯-এর লোকসভায় প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে এবার এনডিএ-র (NDA) ভোট কমেছে। মহারাষ্ট্রে ২২ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পেয়েছে। ঝাড়খণ্ডেও তাই। বিহার নির্বাচনেও ১৩ থেকে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত ভোট কমেছে। উপনির্বাচনগুলোতেও একই অবস্থা। গোটা দেশেই বিজেপি-র জনপ্রিয়তা কমছে।”
विभूतिपुर विधानसभा क्षेत्र से कॉमरेड अजय कुमार चुनाव जितने के बाद जनता से मुलाकात करते हुए।#BiharElectionResults pic.twitter.com/ksmT6W8CAQ
— CPI (M) (@cpimspeak) November 12, 2020
আরও একধাপ এগিয়ে লিবারেশন নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্যর বক্তব্য, বাংলায় বামেদের প্রধান ‘শত্রু’ বিজেপি। এই শক্তিকে পরাস্ত করতে হলে প্রয়োজনে তৃণমূলের সঙ্গেও সন্ধি করতে হতে পারে। অর্থাৎ বৃহত্তর ধর্মনিরেপক্ষ রাজনৈতিক জোটে বাম, কংগ্রেসর সঙ্গে তৃণমূল থাকলেও কোনও অসুবিধা নেই।
২০১৯ লোকসভা ভোটের নিরিখে বিজেপি বিহারে ২২৩টি আসনেই এগিয়ে ছিল। অন্যদিকে আরজেডি ও কংগ্রেস এগিয়ে ছিল মাত্র ১৫টি আসনে। সেখান থেকে ফলাফল যা দাঁড়াল, মহাজোট ১১০। এনডিএ ১২৫। তার ওপর আসন কমেছে আরজেডি-র। আবার এটাও ঠিক, ভোট কমলেও এবারের বিধানসভায় বিহারে ২১টি আসন বাড়িয়েছে বিজেপি।
লোকসভার নিরিখে পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপি অন্তত একশো আসনে এগিয়ে। এই মওকা বুঝে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছে কেন্দ্রের শাসক দল। ছক সাজাতে শুরু করেছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। এমন পরিস্থিতিতে বাম-কংগ্রেস জোটকে বিকল্প হিসেবে তুলে ধরে লড়াইয়ে থাকতে মরিয়া বাম নেতারা। সুজন চক্রবর্তীর কথায়, “তৃণমূল ও বিজেপিতে অতিষ্ঠ হয়ে থাকলে আমাদের সঙ্গে আসুন। বাংলায় (Bengal) বাম-কংগ্রেসই (Left Congress Alliance) বিকল্প এবং ভবিষ্যতও।”