Adhik Maas Amavasya 2023: ৩ বছর পর মলমাস অমাবস্যা! ৫ কাজেই খুশি হবেন একসঙ্গে তিন দেবতা
Hindu Rituals: হিন্দুদের বিশ্বাস অনুসারে, অধিক মাস অমাবস্যায় বেশ কিছু উপায় মেনে চললে পূর্বপুরুষরা তো বটেই, ভগবান বিষ্ণু, সূর্যদেব ও চন্দ্রদেবেরও আশীর্বাদ পাওয়া যায়।

হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, চলতি মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। আগামী ১৬ অগস্ট, বুধবার পালিত হবে অধিকমাস অমাবস্যা। দর্শ অমাবস্যা পালিত হবে ১৫ অগস্ট, মঙ্গলবার । ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, অমাবস্যার দিনে, পূর্বপুরুষরা পৃথিবীতে নেমে আসেন। এই সময় মনে করা হয়, পরিবারের উত্তরসূরিরা তর্পণ, শ্রাদ্ধ, দান ইত্যাদি দিয়ে পিতৃপুরুষদের সন্তুষ্ট করতে চাইবেন। অধিক মাস অমাবস্যা প্রতি ৩ বছরে একবার আসে। এই বছর, অধিক মাস অমাবস্যা তিথি পালিত হবে ১৫ অগস্ট মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৪২ মিনিট থেকে ১৬ অগস্ট বুধবার বিকেল ৩টে ৭ মিনিট পর্যন্ত। হিন্দুদের বিশ্বাস অনুসারে, অধিক মাস অমাবস্যায় বেশ কিছু উপায় মেনে চললে পূর্বপুরুষরা তো বটেই, ভগবান বিষ্ণু, সূর্যদেব ও চন্দ্রদেবেরও আশীর্বাদ পাওয়া যায়। অধিক মাস অমাবস্যায় ৫টি গুরুত্বপূর্ণ কাজ কেন করবেন, তা জেনে নিন এখানে…
অধিক মাস অমাবস্যায় ৫ কাজ
১. অমাবস্যার দিনে স্নান করে অশ্বত্থ গাছের পুজো করুন। ভগবান বিষ্ণু, মহাদেব, ব্রহ্মা-সহ বহু দেবতা এই গাছেই বাস করেন। অমাবস্যার দিন অশ্বত্থ গাছের শিকড়ে জল নিবেদন করে সন্ধ্যের সময় গাছের নীচে প্রদীপ জ্বালিয়ে তার আশীর্বাদ নিতে পারেন। পূর্বপুরুষরাও এতে খুশি হন।
২. অমাবস্যার দিন সকালে স্নান করে সূর্যদেবকে জল দিয়ে অর্ঘ্য নিবেদন করুন। সেই জলে লাল ফুল, লাল চন্দন ও গুড় দিন। অর্ঘ্যের সময় সূর্য মন্ত্র জপ করতে পারেন। এতে করে দারিদ্র্য দূর হয় ও ধন-শস্যে ভরে ওঠে ঘর।
৪. অধিক মাস অমাবস্যায় তুলসীর পূজা করুন এবং ১০৮ বার প্রদক্ষিণ করুন। সন্ধ্যের সময় ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালাতে পারেন। বাড়িতে সুখ ও শান্তি বজায় থাকবে।
৫. অধিক মাসের প্রতিনিধি দেবতা হলেন ভগবান বিষ্ণু। মলমাসের প্রতিটি দিন বিষ্ণু পুজোর জন্য নিবেদিত। এই পরিস্থিতিতে আরও মাস অমাবস্যায় শ্রী হরি বিষ্ণুর পুজো করা উচিত। তাঁর আশীর্বাদে সকল কষ্ট দূর হয়ে যাবে মুহূর্তের মধ্যে।
৬. যদি চন্দ্র দুর্বল হয় বা আপনার রাশিতে চন্দ্র দোষ থাকে, তাহলে অমাবস্যার দিন গরুকে ভাত ও দই খাওয়াতে পারেন। এতে গ্রহের দোষ দূর হবে, মন স্থির হবে ও মানসিক শান্তি লাভ হবে।
৭. যে কোনও অমাবস্যার দিনে নদীতে স্নান করে দান করলে পুণ্য লাভ হয়। পূর্বপুরুষের জন্য এই দান করলে পিতৃপুরুষরা তৃপ্ত হযন। এর মাধ্যমে যে কোনও কাজে উন্নতির জন্য আশীর্বাদ করবে। পরিবারে কলহেরও অবসান ঘটে।
