Anant Chaturdashi 2023: কবে অনন্ত চতুর্দশী? গণেশ বিসর্জনের দিন উপবাস রাখার উপকার পাবেন ১৪ জন্মের, পদ্ধতি ও গুরুত্ব জানুন
Lord Ganesha: শুধু গণেশের বিসর্জন নয়, এদিন শ্রীহরিরও পুজো করা হয়ে থাকে। হিন্দু ও জৈনরা এই ইতক্সব পালন করে থাকেন। অগ্নিপুরাণ মতে, ভক্তদের পাপ থেকে মুক্ত করার জন্য এদিন শ্রীহরির অন্যতম অবতার অনন্তকে বিশেষ আচার মেনে পুজো করা হয়ে থাকে।

১০দিন পর অনন্ত চতুর্দশীকে গণেশ চতুর্থীর উত্সবের শেষ দিন বলে মনে করা হয়। এদিন গণেশ চৌদাসও বলা হয়ে থাকে। এদিন গঙ্গা বা সমুদ্রের জলে গণেশ মূর্তিকে বিসর্জন দিয়ে গণপতি বাপ্পাকে বিদায় জানানো হয়। কিংবদন্তি অনুসারে, অনন্ত চতুর্দশীর উল্লেখ পাওয়া যায় মহাভারতেও। হিন্দু পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, প্রতিবছর ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে অনন্ত চতুর্দশীর উপবাস পালন করা হয়।
এ বছর পঞ্চাঙ্গ মতে, ২৮সেপ্টেম্বর অনন্ত চতুর্দশী উপবাস পালন করা হবে। সাধারণত, ভাদ্রপদ শুক্লা চতুর্দশীতে এই উপবাস পালন করা হয়। এদিন গণপতি বাপ্পার মূর্তি বিসর্জনের মাধ্যমে দশদিনের গণেশ চতুর্থীর উত্সব শেষ হয়। শুধু গণেশের বিসর্জন নয়, এদিন শ্রীহরিরও পুজো করা হয়ে থাকে। হিন্দু ও জৈনরা এই ইতক্সব পালন করে থাকেন। অগ্নিপুরাণ মতে, ভক্তদের পাপ থেকে মুক্ত করার জন্য এদিন শ্রীহরির অন্যতম অবতার অনন্তকে বিশেষ আচার মেনে পুজো করা হয়ে থাকে। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দশ দিনের গণেশ উৎসব।
তাৎপর্য
উদয়ে ত্রিমুহুর্তাপি গ্রহানন্তব্রতে তিথিঃ।
এবং ভাদ্রপদস্যন্তে চতুর্দশ্যন দ্বিজোত্তম:।
পূর্ণমস্যঃ সমযোগে ব্রতম্ চনন্তকান চরেৎ।।
অনন্ত চতুর্দশী উপবাস পড়ুয়াদের জন্য অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। যে বিষয়েই পরীক্ষা বা পড়াশওনা করুক না কেন, সেই বিষয়ে ও পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা দারুণ সাফল্য লাভ করেন। এছাড়া অর্থলাভের সম্ভাবনা বেড়ে যায় দ্বিগুণ। অনন্ত চতুর্দশীর উপবাস হল সুখ ও মোক্ষ, উভয়ই পাওয়ার শ্রেষ্ঠ উপায়। বিশেষ উপকার পেতে চৌদ্দ বছর অখন্ড ব্রত পালন করতে পারেন।
পুজোবিধি
অনন্ত চতুর্দশীর দিন সকালে স্নান করার পরে, “মামখিলপাক্ষ্যূর্কে শুভফলবর্ধয়ে শ্রীমদনন্তপ্রীতিকামনায় অনন্তব্রত অহম করিষে।” এই মন্ত্রটি উচ্চারণ করার সময় উপবাসের সংকল্প নিতে হবে।
যেকোনও নদী, হ্রদ বা বাড়ির পুজোর স্থান পরিষ্কার করে সর্বতোভদ্র মণ্ডল তৈরি করা উচিত।
এর পরে, একটি ধাতু বা মাটির পাত্র স্থাপন করে ভগবান শ্রী বিষ্ণুর শেশনাগময়ী মূর্তির চিরন্তন রূপের মূর্তি স্থাপন করা উচিত।
মূর্তির সামনে চৌদ্দটি গ্রন্থি সম্বলিত একটি সিল্ক বা কাঁচা তুলার পাত্র রাখুন। আসলে, চৌদ্দ গিঁটে চৌদ্দ দেবতার স্থান, তাই এই উপবাসে চৌদ্দ গ্রন্থি দেবতার পুজো করা হয়।
“ওম অনন্তায় নমঃ” স্মরণ করে ষোড়শপচারে ভগবান বিষ্ণু ও অনন্তসূত্রের আরাধনা করা উচিত।
তিল, ঘি, চিনি, শুকনো ফল ও ক্ষীর নিবেদন করুন। এদিন যজ্ঞও করতে পারেন। এরপর গরু, বিছানা ও খাদ্য দান করার বিধান রয়েছে।
এর পরে কলা গাছেরও পুজো করা উচিত। সামর্থ্য অনুযায়ী চৌদ্দ ব্রাহ্মণকে খাওয়ানোর মাধ্যমে উপবাস শেষ করুন, এ দিনে ভুলেও লবণ গ্রহণ করবেন না।
পুজোর পর পুরুষদের ডান বাহুতে ও মহিলাদের বাম হাতে অনন্তসূত্র বা লাল সুতো বাঁধা উচিত।
