প্রতি বছর বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত হয়। এই উত্সব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পবিত্রতম উত্সব। ইতিহাসের তথ্য অনুসারে, এই পবিত্র তিথিতে গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শুধু তাই নয়, এদিনেই তিনি বোধি বা সিদ্ধিলাভ করেছিলেন, পরবর্তীকালে মহাপরিনির্বাণ লাভ করেছিলেন। শুধু বৌদ্ধদের জন্যই নয়, এই বিশেষ বা পবিত্র দিনটি হিন্দুদের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হিন্দু ধর্ম মতে, গৌতম বুদ্ধ হলেন শ্রীবিষ্ণুর নবম অবতার হিসেবে মনে করা হয়। এই বিশেষ পূর্ণিমা তিথিতে গৌতম বুদ্ধের জন্মবার্ষিকী হিসেবেও পালিত করা হয়। বৌদ্ধ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন গৌতম বুদ্ধ। এই উত্সব সারা দেশজুড়েই পালিত হয়। ভারত ছাড়াও শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভূটানে ধুমধাম করে পালিত হয়। এদিন মহাত্মা গোতম বুদ্ধের বাণী ও শিক্ষাকে স্মরণ করেন বৌদ্ধরা। বৌদ্ধমন্দিরগুলিতে এদিন প্রচুর মানুষ ভিড় করেন। বুদ্ধকে পুজো করে অধিকাংশ বৌদ্ধ ধ্যানে লিপ্ত থাকেন। তাই পঞ্চাঙ্গ অনুসারে কবে পালিত হবে বুদ্ধ পূর্ণিমা। এদিনের শুভ সময়, তাৎপর্য ও পূজার নিয়ম জানেন না অনেকেই। বুদ্ধ পূর্ণিমার মত শুভ ও পবিত্র দিনে অনেক বাঙালি বাড়িতে লক্ষ্মী-নারায়ণ পুজোও করে থাকেন।
বুদ্ধ পূর্ণিমার শুভ সময়
ক্যালেন্ডার অনুসারে, বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমা তিথিতে বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত হয়।
এবারে পূর্ণিমা তিথির সূচনা – ২২ মে বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৭ মিনিট।
পূর্ণিমা তিথির সমাপ্তি – ২৩মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে।
বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত হবে ২৩ মে।
বুদ্ধ পূর্ণিমা পুজোর নিয়ম
বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠা উচিত। ঘুম থেকে উঠে বাড়ির সব জায়গা পরিষ্কার করে সুন্দর করে সাজিয়ে নিতে হবে। এরপর স্নান সেরে পরিষ্কার বা নতুন পোশাক পরতে পারেন। এদিন গঙ্গা স্নান করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।
এরপর একটি মোমবাতি বা প্রদীপ জ্বালিয়ে বাড়ির সর্বত্র ঘুরিয়ে আনতে পারেন। বাড়ির প্রবেশদ্বারের সামনে হলুদ, লাল সিঁদুর বা রঙ ব্যবহার করে স্বস্তিকা চিহ্ন আঁকতে পারেন। বোধি গাছের কাছে দুধ ঢেলে বুদ্ধের বাণী ও শিক্ষাকে স্মরণ করতে পারেন। দানকর্মেরও বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে এদিন। বস্ত্র ও খাদ্য বিলি করলে পূণ্যলাভ করতে পারেন আপনি।