হাতে রয়েছে আর মাত্র একটি দিন। তারপরেই চতুর্দিকে বেজে উঠবে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর শোরগোল। সারা বিশ্বের আকাশ জুড়ে আলো করবে আতসবাজি, সমবেত গলায় একটাই আওয়াজ শোনা যাবে, হ্যাপি নিউ ইয়ার। নতুন বছর শুরু হওয়ার আগেই সকলের প্রার্থনা, আনন্দ, সুখ-শান্তিতে যেন কাটে গোটা বছর। নতুন বছরেই আসুক অর্থপ্রাপ্তির বন্যা, শুভ সময়ের ঝড়। তাই নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই চেষ্টা করুন সারা বছর স্বাচ্ছন্দ্যে থাকার। শুধু নিজেকে ভাল রাখার জন্য, সেই আনন্দ, সুখ অপরের সঙ্গে ভাগ করতে পারেন। তাতে সংসারে ভরে উঠবে সমৃদ্ধি ও সাফল্য।
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, নতুন বছরের আগে দুঃস্থ ও গরিবদের মধ্যেও সুখ-শান্তি ভাগ করে নিলে মিলবে অপার আনন্দ। সংসারে সমৃদ্ধির জোয়ার আনতে নতুন বছরের প্রথম দিন, সোমবারেই পুজো করুন ভোলেবাবার। পাশাপাশি নিঃস্ব যারা, তাদেরকে কিছু বিশেষ কিন্তু দরকারি জিনিস দান করা ভীষণ শুভ। এছাড়া নতুন বছর পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই পাড়ায় পাড়ায় নানা অনুষ্ঠান হয়, চলে রক্তদান শিবির, কম্বল দান করার অনুষ্ঠান ইত্যাদি।
নববর্ষে দান করার উপকারিতা
১. নতুন বছরের শুরুতে ডাল-শস্য পালনের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, নতুন বছরের প্রথম দিনে দান করলে সারা বছরই শুভ ফল পাওয়া যায়।
২. আসন্ন বছরে বাড়িতে সুখ ও শান্তি বজায় রাখতে চাইলে, নতুন বছরের প্রথম দিনে ভক্তি মেনে গবির ও দুঃস্থদের নিজের পছন্দের জিনিস দান করা উচিত।
৩. ঘরে কি নিত্য অশান্তি? বিতর্ক, মারামারি, ঝামেলা ইত্যাদি যদি রোজকার নিয়ম হয়ে থাকে, তাহলে নতুন বছরের প্রথম দিনে নিঃস্বদের চাল, ডাল ও প্রয়োজনীয় জিনিস দান করা উচিত। এতে ঘরে সুখ-শান্তি বজায় থাকে।
৪. নতুন বছরের শুরু থেকেই কাটুক ভাল। প্রথম দিনে গোয়ালের গরুদের জন্য ঘাস ও ভুসি দান করুন। তাতে ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মী আপনার প্রতি অত্যন্ত প্রসন্ন হন ও তাতে আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন।
৫. জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হন, তাহলে বুঝবেন শনিদেবের প্রকোপের পড়েছেন। নতুন বছরের প্রথম দিনে শনিদেবকে যে কোনও কালো জিনিস দান করা উচিত। শনিদেব তাতে প্রসন্ন হয়ে বর দান করেন।
দানের ধর্মীয় গুরুত্ব
হিন্দু শাস্ত্রে দানকে একটি অত্যন্ত পুণ্যের কাজ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। অতএব, যে ব্যক্তি সর্বদা দান করে তার সর্বদা ভগবানের আশীর্বাদ থাকে যার কারণে তার জীবন সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ হয়।
আধ্য়াত্মিকতার সব প্রতিবেদন পড়তে ক্লিক করুন এখানে…