AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Vaastu Tips: আপনার বাড়িতে দানা বাঁধছে না তো অশুভ শক্তি? কোন লক্ষণ দেখলেই সাবধান?

Bad Energy: হঠাৎ করে অশান্তি, অসুস্থতা, আর্থিক ক্ষতি, সম্পর্ক ভাঙন বা মানসিক অবসাদ যেন ঘন ঘন দেখা দিচ্ছে। এমনকি পরিবারের সদস্যদের আচরণেও অকারণ রাগ, ক্লান্তি বা আতঙ্কের ছাপ থাকে। এই ধরনের ঘটনা যদি নিয়মিত ঘটে, তাহলে অনেকেই মনে করেন, বাড়িতে কোনও অশুভ শক্তি বা ছায়া বাসা বেঁধেছে।

Vaastu Tips: আপনার বাড়িতে দানা বাঁধছে না তো অশুভ শক্তি? কোন লক্ষণ দেখলেই সাবধান?
| Updated on: Jul 31, 2025 | 11:47 PM
Share

অনেক সময় আমরা অনুভব করি, বাড়ির পরিবেশে যেন অদ্ভুত ভারী ভাব আছে। হঠাৎ করে অশান্তি, অসুস্থতা, আর্থিক ক্ষতি, সম্পর্ক ভাঙন বা মানসিক অবসাদ যেন ঘন ঘন দেখা দিচ্ছে। এমনকি পরিবারের সদস্যদের আচরণেও অকারণ রাগ, ক্লান্তি বা আতঙ্কের ছাপ থাকে। এই ধরনের ঘটনা যদি নিয়মিত ঘটে, তাহলে অনেকেই মনে করেন, বাড়িতে কোনও অশুভ শক্তি বা ছায়া বাসা বেঁধেছে। জ্যোতিষশাস্ত্র ও বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, এর কিছু লক্ষণ ও প্রতিকার রয়েছে।

অশুভ ছায়ার লক্ষণ (জ্যোতিষ ও বাস্তুশাস্ত্র মতে): ১. হঠাৎ করে মন্দ স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন: ঘন ঘন ভূতের স্বপ্ন, আত্মীয়স্বজনের মৃত্যুর দৃশ্য বা ভয়ঙ্কর কিছু দেখা—এগুলো জ্যোতিষ মতে নেতিবাচক শক্তির ইঙ্গিত।

২. পোষ্যর অস্বাভাবিক আচরণ: পোষ্য কুকুর বা বিড়াল হঠাৎ করে ঘেউ ঘেউ করে বা নির্দিষ্ট কোনায় তাকিয়ে ভয় পায়, কামড়ায়, লেজ গুটিয়ে নেয়—এটি অশুভ শক্তি উপস্থিতির লক্ষণ হতে পারে।

৩. ধূপ, প্রদীপ বা ঘণ্টার শব্দে অস্বস্তি হওয়া: ধূপ দিলে বারবার নিভে যাওয়া, প্রদীপ না জ্বলা, কিংবা মন্দিরে ঘণ্টা বাজালে কানে ব্যথা হওয়া ইত্যাদিকে বাস্তুশাস্ত্রে অশুভ শক্তির উপস্থিতির ইঙ্গিত বলা হয়।

৪. হঠাৎ করে ফুল, গাছ বা তুলসী গাছ শুকিয়ে যাওয়া: তুলসী গাছ নিয়মিত জল দেওয়ার পরও শুকিয়ে গেলে বা বাড়ির গাছপালা একের পর এক শুকিয়ে গেলে ধরে নেওয়া হয়, চেতনা শক্তি দুর্বল হচ্ছে।

৫. অর্থনৈতিক ক্ষতি ও কাজের ব্যর্থতা: বারবার কাজ নষ্ট হয়ে যাওয়া, ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, টাকা আটকে যাওয়া ইত্যাদি অশুভ ছায়ার সম্ভাব্য প্রভাব বলে মনে করা হয়।

৬. সম্পর্কের অবনতি ও ঘন ঘন ঝগড়া: পরিবারে হঠাৎ করে সন্দেহ, ঝগড়া, মানসিক অস্থিরতা বেড়ে গেলে বুঝতে হবে, মানসিক ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে।

জ্যোতিষশাস্ত্র কী বলে?

জ্যোতিষ মতে, শনি, রাহু ও কেতু গ্রহের অশুভ দৃষ্টি অনেক সময় বাড়িতে অস্থিরতা আনে। জন্মছক অনুযায়ী যদি কোনও সদস্যের উপর শনির সাড়ে সাতি বা রাহুর কালসার্প দোষ থাকে, তাহলে সেই ব্যক্তি বাড়িতে নেতিবাচক শক্তির বাহক হতে পারেন।

এই বিষয়গুলি খেয়াল রাখতে বলা হয়:

১। উত্তর-পশ্চিম কোণে যদি অন্ধকার হয় বা আবর্জনা জমে থাকে, তাহলে অশুভ শক্তি বাসা বাঁধে।

২। ঘরে শোওয়ার সময় মাথা উত্তর দিকে থাকলে নেতিবাচক শক্তি প্রবেশের আশঙ্কা বাড়ে।

৩। বন্ধ ঘর, ভাঙা দরজা-জানালা, পুরনো ও অপ্রয়োজনীয় জিনিসের জঞ্জালও ছায়াশক্তিকে আমন্ত্রণ জানায়।

প্রতিকার কী?

১। প্রতিদিন গঙ্গাজল ছিটিয়ে ঘর শুদ্ধ করা।

২। শনিবার শনি মন্দিরে দান ও প্রদীপ জ্বালানো।

৩। ঘরের উত্তর-পূর্ব কোণ পরিষ্কার ও আলোকিত রাখা।

৪। পঞ্চধাতুর হনুমানজি বা রুদ্রাক্ষ রাখলে রক্ষাকবচের কাজ করে।

৫। সপ্তাহে একদিন তুলসী গাছে প্রদীপ জ্বালানো ও ভগবতের পাঠ করা।

বাড়িতে অশুভ ছায়া আছে কি না, তা বোঝা যায় পরিবেশ ও আচরণের সূক্ষ্ম পরিবর্তন থেকে। জ্যোতিষ ও বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী সঠিক নিয়ম মেনে চললে এই ধরনের নেতিবাচক শক্তির প্রভাব অনেকটাই কমানো যায়। ভয় নয়, বিশ্বাস ও সাধনার মাধ্যমে ঘরকে করা যায় পবিত্র ও ইতিবাচক।