সনাতন পঞ্জিকা মতে, প্রতি মাসে দুবার করে প্রদোষ ব্রত (Pradosh Vrat 2024) পালিত হয়। সাধারণত এই প্রদোষ ব্রত শৈব ও শাক্তদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্রত। মাসের ত্রয়োদশ দিবসে শুক্লপক্ষে, পূর্ণিমা তিথিতে বা কৃষ্ণপক্ষে অর্থাত্ অমাবস্যা তিথিতে পালন করা হয়ে থাকে। কথিত আছে, এই প্রদোষ ব্রতের উপবাস (Vrat Fasting) পালন করা হলে ভক্তদের সব ইচ্ছে পূরণ হয়ে থাকে। ভোলেবাবারও (Lord Shiva) আশীর্বাদ পাওয়া যায় এই ব্রতের মাধ্যমে। আর এই উপবাস পালনেক সঙ্গে সঙ্গে যদি কোনও একটি কাজে দোষ দেখা দিলে তার প্রভাব পড়ে ভক্তদের উপর। এমনকি রুদ্র মূর্তি ধারণ করেন আদিদেবও।
পঞ্জিকা মতে, মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের ত্রয়োদশী তিথি, অর্থাত্ ২১ফেব্রুয়ারি পালিত হচ্ছে প্রদোষ ব্রত। তবে আজ বুধবার, তাই এটি বুদ্ধ বা বুধ প্রদোষ নামে পরিচিত। কথিত আছে, বুদ্ধ প্রদোষ উপবাসের দিন উপাসনা করলে শিব ও গণেশ, উভয়ের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। প্রদোষ ব্রত পালনেও রয়েছে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা। তাই মহাদেব ও গণেশকে তুষ্ট করতে কী কী একেবারেই করবেন না, তা জেনে নিন …
প্রদোষ ব্রতের সময় কোন কোন নিয়মগুলি মেনে চলবেন…
– জ্যোতিষশাস্ত্রে প্রদোষ উপবাসের বিশেষ গুরুত্ব বলা হয়েছে। প্রদোষ ব্রতের দিনে পুজোর সময় শিবকে সিঁদুর, হলুদ, তুলসী, কেতকী ওনারকেল জল একেবারেই নিবেদন করবেন না। তাতে ভোলেনাথ ভীষণ রেগে যান। ভক্তরা বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হন।
– প্রদোষ উপবাসের দিন মহিলারা যেন শিবলিঙ্গ স্পর্শ না করে। অজান্তে স্পর্শ করা হলে দেবী পার্বতী ক্রুদ্ধ হন।
-জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে এই বিশেষ দিনে ভুলেও মদ, মাংস, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি খাবার খাওয়া উচিত নয়।
– বুধ প্রদোষ ব্রতের দিনে ভুলেও কাউকে অপমান, কটূক্তি বা বাজে কথা বলবেন না। মাথা ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করুন।
– জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, প্রদোষ উপবাসের দিন বেশিক্ষণ ঘুমনো উচিত নয়। সকাল সকাল উঠে শিবের পুজোর আয়োজন করা উচিত।
– প্রদোষ ব্রতের উপবাস পালন করলে এদিন চাল ও লবণ খাওয়া উচিত নয়। প্রদোষের দিনে কালো রঙের পোশাক পরিধান করবেন না।