Ravan: ‘সোনার লঙ্কা’র নির্মাতা রাবণ! যদি তাই ভাবেন তাহলে এতদিন ভুল জানেন, সত্যিটা জানুন এখানে
Golden City: পুরাণ অনুসারে, এই তথ্য একেবারেই সত্য নয়। লঙ্কা রাবণের জন্য নয়, অন্য কারওর জন্য তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু রাবণ তা পেল কী করে? আসলে সোনার লঙ্কা কে গড়ল? সবটা জানুন এখানে...

রামায়ণ অনুসারে রাবণের লঙ্কা ছিল অত্যন্ত সুন্দর ও সুন্দর। তাই এটি সকলের কাছে ‘গোল্ডেন সিটি’ নামে পরিচিত ছিল। রামায়ণের কাহিনি অনুসারে, রাবণকে লঙ্কাপতিও বলা হয়। অধিকাংশ সোনার লঙ্কাকে রাবণের ঐতিহ্য বলে মনে করেন। কিন্তু পুরাণ অনুসারে, এই তথ্য একেবারেই সত্য নয়। লঙ্কা রাবণের জন্য নয়, অন্য কারওর জন্য তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু রাবণ তা পেল কী করে? আসলে সোনার লঙ্কা কে গড়ল? সবটা জানুন এখানে…
সোনার লঙ্কা কে বানিয়েছিলেন?
শিবপুরাণ অনুসারে, লঙ্কা রাবণ দ্বারা নির্মিত হয়নি, সুন্দর লঙ্কা নগর তৈরি করেছিলেন খোদ মহাদিদেব। দেবী পার্বতীর জন্য পুরো লঙ্কাকে সোনা দিয়ে তৈরি করেছিলেন মহাদেব।
– ভগবান শিবের আদেশে সমুদ্রের মাঝখানে ত্রিকুটাচল পর্বতে কারিগরের দেবতা বিশ্বকর্মা ও ধনকুবের কুবের লঙ্কা তৈরি করেছিলেন।
– হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে, একবার দেবী লক্ষ্মী ও ভগবান বিষ্ণু কৈলাস পর্বতে ভগবান শিব ও দেবী পার্বতীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। সেখানেই দেবী লক্ষ্মীর বেশ ঠান্ডা অনুভব হতে শুরু করে। ঠাণ্ডা থেকে বাঁচার জন্য গোটা পাহাড়ে কোনও জায়গা খুঁজে পায়নি। সেই সময় লক্ষ্মী পার্বতীকে বলেছিলেন, আপনি নিজেই একজন রাজকন্যা ও আপনি কীভাবে কৈলাস পর্বতে এভাবে থাকতে পারেন? এই কথা শুনে দেবী মহাদেবকে এমন একটি প্রাসাদ তৈরি করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন যা ত্রিজগতে কোথাও নেই। মহাদেবের নির্দেশে বিশ্বকর্মা ও কুবের সমুদ্রের মাঝখানে সোনার প্রাসাদ তৈরি করেছিলেন।
শিব ত্রিকুটাচল পর্বতের মাঝখানে পার্বতীর জন্য একটি প্রাসাদ তৈরি করেছিলেন, যাকে সোনার লঙ্কা বা গোল্ডেন সিটি নামে পরিচিত। তথ্য অনুসারে, লঙ্কা তিনটি পর্বতশ্রেণী নিয়ে গঠিত ছিল। প্রথম পর্বতের নাম ছিল সুবেল। সুবেল সেই জায়গা যেখানে ভগবান রাম ও রাবণের মধ্যে ভয়ানক যুদ্ধ হয়েছিল। পর্বতের দ্বিতীয় অংশের নাম নীল, সেখানে অবস্থিত লঙ্কার রাজপ্রাসাদ। এবং তৃতীয় ও সবচেয়ে সুন্দর অংশটি ছিল সুন্দর পর্বত যেখানে অশোক ভাটিকা অবস্থিত ছিল। দেবী সীতাকে এখানেই বব্দি করে রেখেছিলেন রাবণ।
কীভাবে লঙ্কার অধিপতি হলেন রাবণ?
কাহিনি অনুসারে রাবণ একটা সময় লঙ্কার উপর দিয়ে যাচ্ছিলেন। সুন্দর ও বিচিত্র সোনার লঙ্কা দেখে আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলেন। লঙ্কাকে হ্সতক্ষেপ করতে ব্রাহ্মণের রূপ ধারণ করে ভগবান শিবের কাছে পৌঁছান রাবণ। ভিক্ষা হিসেবে তিনি লঙ্কার সোনা চেয়ে বসেন। ভগবান শিব রাবণকে চিনতে পেরেছিলেন কিন্তু তবুও ভগবান শিব তাকে নিরাশ করেননি। তাঁকে সোনার লঙ্কা উপহার হিসেবে দান করেছিলেন। তবে হিন্দুদের বিশ্বাস রাবণ জোর করে ধনপতি কুবেরের কাছ থেকে সোনার লঙ্কা ছিনিয়ে নিয়েছিলেন।
কোন অভিশাপে ভস্মে পরিণত হয় সোনার লঙ্কা
রাবণকে লঙ্কা দান করার কথা শোনার পর দেবী পার্বতী অত্যন্ত রেগে যান। ক্রোধে সোনার লঙ্কা পুড়ে ছাই হয়ে যাবে বলে অভিশাপ দেন তিনি। তাঁর অভিশাপের জেরে সোনার লঙ্কা পুড়িয়ে ছাই করে দেন রামভক্ত হনুমান।
