Vishwakarma Puja 2022: প্রতিবছর একই তারিখে বিশ্বকর্মা পুজো হয়, কেন জানেন? শেষ মুহুর্তে পুজো সামগ্রীগুলি জেনে নিন
Lord Vishwakarma: হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী বিশ্বকর্মা পূজার দিনটি 'কন্যা সংক্রান্তি' তে পড়ে। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী অনুসারে এটি সাধারণত প্রতি বছর ১৬ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে উদযাপিত হয়।
হিন্দু স্থাপত্য দেবতা বিশ্বকর্মার সন্তুষ্টি লাভের আশায় এই পূজা করা হয়। বিশ্বের স্রষ্টা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তিনি দেবতা কৃষ্ণের রাজধানী পবিত্র দ্বারকা শহরটি নির্মাণ করেছিলেন। এছাড়াও তিনি রামায়ণে বর্ণিত লঙ্কা নগরী, পাণ্ডবদের মায়া সভা, রামায়ণে উল্লিখিত ব্রহ্মার পুষ্পক রথ, দেবপুরী এবং বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র, শিব এর ত্রিশূল, কুবের এর অস্ত্র, ইন্দ্রের বজ্র, কার্তিকের শক্তি সহ দেবতাদের জন্য বহু কল্পিত অস্ত্রের স্রষ্টা। বিশ্বকর্মার ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে তিনি এই বিশ্বের সব কর্মের সম্পাদক। তিনি সব ধরনের শিল্পের প্রকাশক। বিশ্বকর্মা পূজা মূলত কারখানা শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পালন করা হয়। প্রায়ই দোকানের মেঝেতে পূজার আয়োজন করা হয়।
বিশ্বকর্মার সন্তুষ্টি অর্জন ও তার প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে কেবল প্রকৌশলী কিংবা স্থপতি সম্প্রদায় নয়, সব ধরনের কারিগর, সূতার, মিস্ত্রি, কামার-কুমার, স্বর্ণকার, শিল্প কর্মী, কারখানার শ্রমিক, ঢালাইকর সহ অনেক ধরনের পেশার মানুষ এদিন তাঁর পূজা করে। তারা আরও উন্নত ভবিষ্যতের জন্য, নিরাপদ কাজের পরিস্থিতি এবং নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সর্বোপরি নিজ নিজ ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করে। সব দেব -দেবীর পুজো তিথি মেনেই করার রীতি হিন্দু ধর্মে। আর সেই তিথি অনুযায়ী পড়ে পুজোর তারিখ।
হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী বিশ্বকর্মা পূজার দিনটি ‘কন্যা সংক্রান্তি’ তে পড়ে। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী অনুসারে এটি সাধারণত প্রতি বছর ১৬ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে উদযাপিত হয়। দিনটি ভারতীয় সৌর বর্ষপঞ্জি এবং বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসের শেষ দিন। সৌর ক্যালেন্ডারে ভারতীয় ভাডো মাসের শেষ দিন। বাংলাদেশ, ভারতের অসম, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং ত্রিপুরা রাজ্যে সৌর বর্ষপঞ্জী অনুসারে দিনটি পালিত হয়। প্রতিবেশী দেশ নেপালেও এই উৎসব উদযাপিত হয়। তবে কোন কোন অঞ্চলে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে দীপাবলির একদিন পর গোবর্ধন পূজার সঙ্গেও বিশ্বকর্মা পূজা পালন করা হয়।
বিশ্বকর্মা পূজা সমগ্রী
আরেকা বাদাম, রোলি, হলুদ অষ্টগন্ধা চন্দন, হলুদ, লবঙ্গ, মলি, কাঠের পদ,হলুদ কাপড়, মাটির পাত্র, নবগ্রহ সমিধা, পৈতে, এলাচ, সুগন্ধি, শুকনো খোল, মোটা নারকেল, ধূপকাঠি, অক্ষত, ধূপ, ফল, মিষ্টি, প্রদীপ, কর্পূর, দেশি ঘি, যজ্ঞ কুণ্ড, আম কাঠ, দই, ফুল ইত্যাদি।
বিশ্বকর্মা পূজার গুরুত্ব
ভগবান বিশ্বকর্মাকে ভগবান ব্রহ্মার পুত্র বলে মনে করা হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে ভগবান বিশ্বকর্মার আরাধনা করলে প্রকৌশলী, রাজমিস্ত্রি, ওয়েল্ডার, ছুতারের মতো কাজের সাথে যুক্ত সমস্ত মানুষ আরও দক্ষ হয়ে ওঠে। কারুশিল্পের বিকাশ ঘটে। ধন-সম্পদ ও সমৃদ্ধি ও সুখের আগমনের পাশাপাশি ব্যবসায় বৃদ্ধি হয়। ভগবান বিশ্বকর্মাকে বিশ্বের প্রথম মহান প্রকৌশলী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই দিনে দোকানে, কর্মশালায়, কারখানায় যন্ত্র ও যন্ত্রের পুজো করলে কাজে কখনও বাধা হয় না এবং অনেক উন্নতি হয়।
তথ্য সৌজন্যে উইকিপিডিয়া