Guru Purnima date 2024: ২০ না ২১ জুলাই, কবে পড়েছে এবারের গুরু পূর্ণিমা? শুভ সময়ে এই কাজ করলে ফল পাবেন চারগুণ

Jul 19, 2024 | 12:02 PM

Importance: গুরু পূর্ণিমা একটি সনাতনী বৈদিক রীতি-প্রথা। এদিন সকল শিষ্য নিজ নিজ গুরুকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। প্রাচীন আর্য সমাজে শিক্ষক ও গুরুর স্থান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। গুরুর কথাই শেষ কথা। গুরু নির্দেশকে অমান্য করা কঠোর শাস্তির সমান।

Guru Purnima date 2024: ২০ না ২১ জুলাই, কবে পড়েছে এবারের গুরু পূর্ণিমা? শুভ সময়ে এই কাজ করলে ফল পাবেন চারগুণ

Follow Us

হিন্দুধর্মে প্রতিটি পূর্ণিমা তিথিকে গুরুত্বের সঙ্গে পালন করার উল্লেখ রয়েছে। তবে সব পূর্ণিমার মধ্যে অন্যতম ও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হল গুরু পূর্ণিমা উৎসব। প্রতি বছর আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই উৎসব পালিত হয়। গুরু শব্দটি সংস্কৃত গু ও রু- এই দুটি শব্দ দিয়ে গঠিত। গু শব্দের অর্থ হল অন্ধকার ও অজ্ঞতা, অন্যদিকে করু শব্দের অর্থ হল আলো বা আশার আলো। যিনি অন্ধকার থেকে আলোয় দেখান,তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ গুরু। মনের অন্ধকার কাটিয়ে শিষ্যকে আলোর পথপ্রদর্শক হিসেবে ভূমিকা পালন করেন গুরুরা।পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, গুরু পূর্ণিমার দিন ঋষি বেদ ব্যাস জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাই এদিনকে ব্যাস পূর্ণিমা নামেও পরিচিত। শাস্ত্রমতে, গুরুকে ঈশ্বরের মর্যাদা দেওয়া হয়। ‘গুরু’ শব্দের অর্থ ‘অন্ধকার দূরীকরণকারী’।

এবছর গুরু পূর্ণিমা কখন ও কবে পড়েছে?

হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, প্রতি বছর আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিতে পালিত হয় গুরু পূর্ণিমা উৎসব। পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, এ বছর আষাঢ় পূর্ণিমা তিথি পালিত হবে ২০ জুলাই, বিকেল ৫টা ৫৯ মিনিটে শুরু হবে। ২১ জুলাই বিকেল ৩টে ৪৬ মিনিটে শেষ হবে এই তিথি।  জন্মতারিখ অনুযায়ী ২১ জুলাই পালিত হবে গুরু পূর্ণিমা উৎসব। এদিন পুজো করার শুভ সময় সকাল ৭টে ১৯ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ২৭মিনিট পর্যন্ত পালিত হবে। পূর্ণিমার দিনে, চন্দ্র দেবতারও পূজা করা হয়, চাঁদকে অর্ঘ্য নিবেদন করা হয়। এই পূর্ণিমায় চন্দ্রোদয়ের সময় সন্ধ্যা ৬.৪৭ মিনিট।

গুরুত্ব ও তাত্‍পর্য

গুরু পূর্ণিমা একটি সনাতনী বৈদিক রীতি-প্রথা। এদিন সকল শিষ্য নিজ নিজ গুরুকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। প্রাচীন আর্য সমাজে শিক্ষক ও গুরুর স্থান কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। গুরুর কথাই শেষ কথা। গুরু নির্দেশকে অমান্য করা কঠোর শাস্তির সমান। প্রাচীনকাল থেকেই গুরু ও শিষ্যের মধ্যে এক সম্মানজনক পারস্পরিক সম্পর্ক ছিল, সেই সম্মান ও শ্রদ্ধার অনুভূতিকে জাগ্রত করতে এইদিনকে বিশেষ রীতিতে পালন করা হয়। গুরুকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে, বৈদিক যুগ থেকেই আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা তিথিকেই বিশেষ দিন হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

প্রসঙ্গত, গুরুকে ঈশ্বরের স্থানে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। জীবনে গুরুর স্থান একটি বিশেষ পর্যায়ে রাখা হয়েছে। কারণ পিতা-মাতার পরে, গুরুই একমাত্র ব্যক্তি যিনি শিষ্যকে সঠিক পথ দেখান। গুরু তার শিষ্যকে অন্ধকার থেকে বের করে এনে সাফল্যের দিশা দেখান। ধর্মীয় শাস্ত্রমতে, গুরু পূর্ণিমার দিনে, ভগবান শিব তাঁর প্রথম সাত শিষ্য, সপ্তঋষিদেরকে সর্বপ্রথম যোগ-বিজ্ঞানের শিক্ষা দিয়েছিলেন, অন্যদিকে, বৈদিক জ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা মহর্ষি বেদব্যাস জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

Next Article