নয়াদিল্লিতে চলছে PWR DUPR ইন্ডিয়া মাস্টার্স পিকলবল টুর্নামেন্ট। আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন আরমান ভাটিয়া। টুর্নামেন্টে ধারাবাহিক ভালো পারফর্ম করেছেন বললেও কম হয়। অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সে তিনটি ইভেন্টের ফাইনালে! ত্রিমুকুটের হাতছানি আরমান ভাটিয়া। পিকলবলে ভারতের সেরা প্রতিভা মানা হয় ২৫ বছরের আরমান ভাটিয়াকে। সেটা তিনি আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন। পুরুষদের সিঙ্গলস, পুরুষদের ডাবলস এবং মিক্সড ডাবলসের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছেন আরমান।
মিক্সড ডাবলসে আরমান জুটি বেঁধেছেন নেদারল্যান্ডসের রুস ভ্যান রিকের সঙ্গে। ভারত-অস্ট্রেলিয়ার বিশাল মাসান্দ ও সারাহ বার জুটিকে ১১-৫, ১১-১ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেন আরমানরা। এ বারের টুর্নামেন্টে আরমানই একমাত্র যিনি ত্রিমুকুট জেতার সামনে রয়েছেন। মিক্সড ডাবলসের ফাইনালে আরমান-রুসের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার জর্জ ওয়াল-ড্যানি টাউনসেন্ড জুটি। এ বারের টুর্নামেন্টে কোয়ার্টার ফাইনালেও বিধ্বংসী পারফর্ম করেছিল আরমান-রুসের ইন্দো-ডাচ জুটি। তাঁরা অস্ট্রেলিয়ার ক্যাথলিন হার্ট ও মিচেল হারগ্রেভস জুটিকে স্ট্রেট গেমে হারিয়েছিল।
কে এই আরমান ভাটিয়া?
গত সেপ্টেম্বরেরই পেশাদার পিকলবলে প্রবেশ আরমান ভাটিয়ার। ভারতে পিকলবলে উন্নতি দেখেই এই স্পোর্টসে এগনোর পরিকল্পনা আরমানের। তাঁর আগে পুরোপুরি টেনিসেই মনসংযোগ করেছিলেন। যদিও পেশাদার টেনিস সার্কিটে সেই অর্থে উল্লেখযোগ্য কোনও সাফল্য মেলেনি। মুম্বইয়ের খার জিমখানা ক্লাবে নেহাৎই পছন্দের তাগিদে পিকলবল খেলতেন। কোভিড ১৯-এর সময় নিজেকে ফিট রাখতেই এই খেলাকে বেছে নিয়েছিলেন আরমান। আউটডোর স্পোর্টস তখন বন্ধ। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের জন্যও খেলতে পারছিলেন না। রিকোভারির জন্য পিকলবলকে বেছে নেন। পরবর্তীতে এই খেলারই পেশাদার সার্কিটে প্রবেশ।
হিন্দুস্তান টাইমসে এক সাক্ষাৎকারে আরমান বলেন, ‘যখনই বৃষ্টি হত, বাইরে বেরোতে পারি না, ইন্ডোরে পিকলবল খেলতাম। খুবই মজা লাগত। তবে পেশাদার হওয়ার ভাবনা অনেক পরে। প্রায় দু-বছর ভাবনা-চিন্তার পর সিদ্ধান্ত নিই। তবে টেনিস থেকে পিকলবলে মানিয়ে নিতে কোনও সমস্যা হয়নি। ইন্ডিয়া মাস্টার্সে পদকের হ্যাটট্রিকই আপাতত লক্ষ্য।’ পুরুষদের সিঙ্গলসে তাঁর প্রতিপক্ষ প্রতিযোগিতার শীর্ষবাছাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডাস্টি বয়ার।