ভারতীয় কুস্তিতে অন্যতম সেরা অ্যাথলিট বজরং পুনিয়া। টোকিও অলিম্পিক থেকে ব্রোঞ্জ এনেছিলেন। সেই বজরং পুনিয়াকে চার বছরের জন্য নির্বাসিত করল ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (নাডা)। এই প্রভিশনাল নির্বাসন শুরু হয়েছে এ বছরের ২৩ এপ্রিল থেকেই। গত মার্চে জাতীয় দলের ট্রায়ালের সময় ডোপ পরীক্ষার জন্য মূত্রের নমূনা দিতে মানা করেন বজরং পুনিয়া। নাডার নির্দেশ অমান্য করার জন্যই তাঁকে চার বছরের নির্বাসনের শাস্তি।
এপ্রিলের ২৩ তারিখ বজরংকে প্রভিশনাল নির্বাসন দেওয়া হয়। এরপর বিশ্ব কুস্তি সংস্থাও নির্বাসিত করে বজরংকে। শাস্তির বিরুদ্ধে আবেদন করেছিলেন বজরং। নাডার শৃঙ্খলারক্ষা প্যানেল প্রাথমিক ভাবে নির্বাসন তুলে নিলেও তাঁকে নোটিশ দিয়েছিল। শুনানির পর শাস্তি মুকুবের নির্দেশ তুলে নেওয়া হয়। অর্থাৎ ২৩ এপ্রিল ২০২৪ থেকেই তাঁর চার বছরের নির্বাসনের শাস্তি শুরু হয়ে গিয়েছিল।
বজরংয়ের শাস্তি যে সাময়িক ভাবে তুলে নেওয়া হয়েছিল সেই সময়টুকু তাঁর এই চার বছরের হিসেবে ধরা হবে না। এই চার বছরের নির্বাসনে বজরং পুনিয়া কুস্তির কোনও প্রতিযোগিতাতেই অংশ নিতে পারবেন না। শুধু তাই নয়, কোনও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে কোচিংয়ের ভূমিকাতেও থাকতে পারবেন না।
মূত্রের নমুনা দিতে অস্বীকার করার ক্ষেত্রে বজরংয়ের সাফাই ছিল, নাডার পরীক্ষার উপর তাঁর ভরসা না থাকায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বজরং পুনিয়া আরও দাবি করেছিলেন, ভারতীয় কুস্তি সংস্থার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কুস্তিগিরদের প্রতিবাদে সামিল হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত ভাবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। নাডার তরফে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়, বজরং পুনিয়া ইচ্ছাকৃত ভাবেই নমুনা দেননি।