Kho Kho World Cup: ফুল-মালায় চুঁচুড়াবাসী বরণ করল খো খো বিশ্বকাপ জয়ী সুমন বর্মনকে

Ashique Insan | Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

Jan 24, 2025 | 4:29 PM

সুমন বর্মন খো খো বিশ্বকাপ জেতায় তাঁর পরিবারের পাশাপাশি প্রতিবেশীরাও খুব খুশি। ফুল মালা দিয়ে সুমনকে বরণ করে নেন তাঁর প্রতিবেশীরা।

Kho Kho World Cup: ফুল-মালায় চুঁচুড়াবাসী বরণ করল খো খো বিশ্বকাপ জয়ী সুমন বর্মনকে
সুমন বর্মন
Image Credit source: নিজস্ব চিত্র

Follow Us

চুঁচুড়ার মিলন পল্লীতে ঠিক যেন উৎসব শুরু হয়েছে। ১৩-১৯ জানুয়ারি দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে বসেছিল উদ্বোধনী খো খো বিশ্বকাপের (Kho Kho World Cup) আসর। সেখানে পুরুষদের ২০টি দল এবং মহিলাদের ১৯টি দল অংশ নিয়েছিল। টুর্নামেন্টের ফাইনালে নেপালের বিরুদ্ধে ভারতের পুরুষ ও মহিলা টিম জিতেছে। পুরুষদের যে টিম নেপালকে হারিয়েছে, সেই  দলে বাংলা থেকে একমাত্র প্রতিনিধিত্ব করেছেন সুমন বর্মন। সেই সুমন এ বার ফিরলেন বাড়ি। তাঁকে ঘিরে উৎসবে মেতে উঠেছেন চুঁচুড়ার মিলন পল্লীর মানুষজন।

সুমন বর্মনের বাবা দিনমজুর। ছেলে খো খো বিশ্বকাপ জেতার পর আবেগে ভেসেছিলেন সুমনের বাবা রামদেব বর্মন এবং মা সুজাতা বর্মন। সুমন খো খো বিশ্বকাপ জেতায় তাঁর পরিবারের পাশাপাশি প্রতিবেশীরাও খুব খুশি। ফুল মালা দিয়ে সুমনকে বরণ করে নেন তাঁর প্রতিবেশীরা। সেখানেই শেষ নয়। বাজনা বাজিয়ে পাড়ার ছেলের সাফল্যে জড়ো হন অনেকে।

চুঁচুড়ায় সুমন বর্মনকে স্বাগত জানাতে হাজির গ্রামবাসীরা।

অনেক কষ্ট করে সুমনকে বড় করেছেন তাঁর মা-বাবা। এ বার তিনি একটা চাকরির আশা করছেন। খো খো বিশ্বকাপ ফাইনালে সুমনের পারফরম্যান্স ভালো ছিল। তার পাড়ার ক্লাব বাঘাযতীন মাঠে জায়ান্ট স্ক্রিন বসিয়ে খো খো বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখেছিলেন তাঁর বন্ধু ও প্রতিবেশীরা। সেই সময় সুমনের দিনমজুর বাবা রামদেব বর্মন রান্নার কাজের জন্য ছিলেন কেরলে। আর পরিচারিকার কাজে মা সুজাতা ছিলেন কালনায়। ফলে ছেলের সাফল্য তাঁরা টিভিতে দেখতে পাননি। তবে সকলের মুখে তা শুনেছেন। এবং পরবর্তীতে আনন্দে ভেসেছেন।

একটা দশ ফুট বাই দশ ফুট ঘরে সুমনের পরিবারের ৫ সদস্য থাকেন। খেলা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সুমন পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চান। সুমনের এই সাফল্যে খুশি তাঁর কোচ কৃষ্ণরঞ্জন চক্রবর্তী এবং সহকারী কোচ সুজিত সাহা। এ বার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একটা চাকরির আশায় দিন গুনছেন সুমন।

খো খো বিশ্বকাপজয়ী সুমন বর্মনকে ঘিরে চুঁচুড়াবাসীরা।

Next Article