কলকাতা: গত তিন বছর ধরে ধারাবাহিক ভাবে রান করে চলেছে ঘরোয়া ক্রিকেটে। রঞ্জি ট্রফিতে গত মরসুমে করেছিলেন সর্বোচ্চ রান। মাধবরাও সিন্ধিয়া পুরস্কারও পেয়েছেন কিছুদিন আগে। দক্ষিণ আফ্রিকার সফরে গিয়েছে খেলেছেন বেসরকারি টেস্ট। দেশের মাঠে ইংল্যান্ডের এ টিমের বিরুদ্ধে ১৬১ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেছেন। তারই পুরস্কার জুটেছে এ বার। সরফরাজ খানের (Sarfaraz Khan) জন্য খুলে গিয়েছে জাতীয় টিমের দরকার। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশাখাপত্তনমে দ্বিতীয় টেস্টে কি অভিষেক হবে তাঁর? বলা হচ্ছে, প্রথম একাদশে ঢোকার জন্য সরফরাজের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী রজত পাতিদার (Rajat Patidar)। তারই মধ্যে বাংলার প্রাক্তন টেস্ট ক্রিকেটার দীপ দাশগুপ্ত এক জোড়া প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন সরফরাজ খানকে।
দীপ নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন, ‘সরফরাজ গত তিন বছর ধরে দারুণ ফর্মে রয়েছে। এর কৃতিত্ব ওকে দিতেই হবে। ইংল্য়ান্ডের এ দলের বিরুদ্ধে ও সম্প্রতি রান করেছে। ধারাবাহিক ভাবে রান করছে ঠিকই, কিন্তু দুটো প্রশ্ন ওকে নিয়ে থেকেই যাচ্ছে। প্রথম প্রশ্নটাই সবচেয়ে বড়, কার জায়গায় খেলবে সরফরাজ? আমরা খুব সহজে বলে দিই যে, অমুক প্লেয়ারকে টিমে নেওয়া উচিত। কিন্তু এটা ভুলে যাই, ১১ প্লেয়ার টিমে। স্কোয়াডেও ১৫-১৬র বেশি প্লেয়ার নেওয়া যায় না। দ্বিতীয়ত, বড় ম্যাচে কত রান করেছে সরফরাজ? এটা কিন্তু অনেকের কাছেই আমি শুনেছি। কোনও টিমকে ছোট করছি না। কিন্তু ৩৭টা টিম খেলে রঞ্জিতে। কিছু টিম তো গড়পড়তা হবেই। কোনও টিমকে ছোট করছি না। অথবা সরফরাজের বিরুদ্ধও বলছি না। কিন্তু কোয়ালিটি রান সব সময় আলাদা গুরুত্ব পায়।’
অনেকেই এখন সরফরাজ খানের সঙ্গে তুলনা করছেন শুভমন গিলের। যা মানতে পারছেন না দীপ। আসলে টেস্ট ক্রিকেটে সম্প্রতি রানের মধ্যে নেই। বাঁ হাতি স্পিনারের বিরুদ্ধে দুর্বলতা আবার ধরা পড়েছে শুভমনের। যা নিয়ে কথা উঠছে। দীপের কথায়, ‘প্লেয়ার এবং প্রতিভা হিসেবে কে কেমন, সেটা টিম ম্যানেজমেন্টকে বুঝতে হয়। শুভমন ভার্সাস সরফরাজ বলা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু ওরা দু’জন কি সমান সুযোগ পেয়েছে? না। আমরা অনেক সময়ই কাউকে খুব প্রতিভাবান মনে করি। মনে হয়, সফল হবে। কিন্তু ক্যাপ্টেন, টিম ম্য়ানেজমেন্টকে সেই প্লেয়ারের উপর আস্থা রাখতে হবে।’