TV9 বাংলা ডিজিটাল – কোভিড আতঙ্কে গোটা বিশ্ব, শেষ কয়েক মাসে বদলে গেছে। অর্থনীতি, সমাজনীতি থেকে খেলা বিনোদন, কোনও ক্ষেত্রকেই ছেড়ে কথা বলেনি করোনা। কিন্তু আতঙ্ককে পাশ কাটিয়ে ছন্দে ফেরার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সবাই। আর তাই নতুন একাধিক নিয়ম এখন সবার দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্রিকেটও তার ব্যাতিক্রম নয়। যে কোনও সিরিজে তাই এখন বায়ো-বাবলের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে সবাইকে। আর এটাই মাথা ব্যথার করাণ হয়ে দঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়ার কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারের। নভেম্বরে ঘরের মাঠে ভারতের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে তাই ক্রিকেটারদের মানসিক স্বাস্থ্যই সব থেকে বেশি ভাবাচ্ছে অজি কোচকে।
এক ইন্টারভিউতে ক্যাঙ্গারু দলের কোচ জানিয়েছেন, ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে যখন ক্রিকেটারদের আগামী দিনের সূচি জানানো হয়, তখন অনেক ক্রিকেটারের চোখে মুখেই আতঙ্ক দেখতে পেয়েছিলেন তিনি। ইংল্যান্ডে গিয়ে একটা লম্বা সময় কোয়ারেন্টিন পর্বে থাকতে হয়েছিল ক্রিকেটারদের। একই ভাবে, ওযার্নার, কামিন্স, হ্য়াজেলউডরা আইপিএলেও মঞ্চে নামার আগেও কোভিড বিধির কবলে পরে কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। একই ভাবে ভারতের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে সিরিজ খেলার আগে দুবাই থেকে দেশে ফিরেও আইসোলেশন পর্বে থাকতে হবে ওয়ার্নারদের। আর এই আইসোলেশন পর্বেই মানসিক ভাবে ধাক্কা খাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। মত অজি কোচের।
তবে বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এটা ছাড়া কোনও উপায়ও নেই দলগুলির কাছে। তাই এবারের মরসুমে ক্রিকেটারদের মানসিক ভাবে চাঙ্গা রাখাটাই সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন অস্ট্রেলিয়ার কোচ। ভারতের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে সিরিজের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন অজি কোচ। আইপিএল পর্ব শেষ করে ওয়ার্নাররা দেশে ফিরলে শুরু হবে চুড়ান্ত পর্বের প্রস্তুতি। নভেম্বরের ২৭ তারিখ থেকে শুরু হতে চলা ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফরের শুরুতেই থাকছে তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজ। তারপর তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ। এবং সব শেষে ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ থেকে শুরু হবে চার ম্যাচের চেষ্ট সিরিজ বর্ডার গাভাসকার ট্রফি। অস্ট্রেলিয়ার কাছে এই টেস্ট সিরিজটাই সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিরাটের দল শেষবারে যে টিম পাইনদের তাদের ঘরের মাঠেই সিরিজে হারিয়ে অজি দর্প চুর্ণ করেছিল। ক্যাঙ্গারুদের কাছে এবার তাই সম্মানের লড়াই।