কলকাতা: আইপিএলের মিনি অকশনের আগে থেকেই ‘হাওয়া গরম’। রিটেনশন লিস্ট জমা দেওয়ার ঘণ্টাদুয়েকের মধ্যেই দলবদল হার্দিক পান্ডিয়ার। গুজরাট টাইটান্স শিবিরে জোড়া ধাক্কা। প্রথমত অধিনায়ক প্রয়োজন, দ্বিতীয়ত হার্দিক পান্ডিয়ার মানের একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার। হার্দিক যাওয়ার এক দিনের মধ্যেই শুভমন গিলকে নতুন অধিনায়ক ঘোষণা করা হয়। যাঁর নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা সেই অর্থে নেই। ঘরোয়া ক্রিকেটে হাতে গোনা ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আইপিএলের বড় মঞ্চে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি নেতৃত্বের বড় দায়িত্ব শুভমনের কাঁধে। তবে নিলামে বাকি দিকগুলি ভালো ভাবেই গুছিয়ে নিয়েছে টাইটান্স, এমনই মনে করা হচ্ছে। আর কী দরকার ছিল GT-এর! বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ভারতের মাটিতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপে নজর কেড়েছে আফগানিস্তান। এর আগের দুটি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের ঝুলিতে সর্বসাকুল্যে জয়ের সংখ্যা ছিল দুই! ভারতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপে চারটি ম্যাচ জিতেছে আফগানিস্তান। ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিরও যোগ্যতা অর্জন করেছে। হয়তো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালও খেলতে পারত। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জয়ের খুব কাছ থেকে ফিরেছিল আফগানরা। বলা যায়, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের কাছে হেরেছিল।
বিশ্বকাপে আফগানিস্তান যেমন দল হিসেবে নজর কেড়েছে, ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে বেশ কয়েকজন। এর মধ্যে রয়েছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার আজমতুল্লা ওমরজাই। নতুন বলে বোলিং করতে পারেন। তেমনই মিডল অর্ডারে ভরসাও দিতে পারেন। বিশ্বকাপে ভারত সহ তিন ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি। এর মধ্যে একটি অপরাজিত ৯৭ রানের ইনিংসও রয়েছে। উইকেট নিয়েছেন ৭টি। আফগানিস্তানের ফিল্ডিং আরও ভালো হলে উইকেট সংখ্যা বাড়তে পারত আজমতের। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির পাশাপাশি বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আইপিএলে অবশ্য প্রথম বার। গুজরাট টাইটান্সে সতীর্থ হিসেবে পাবেন রশিদ খান, নুর আহমেদকে।
ওমরজাই একাদশে প্রতি ম্যাচেই সুযোগ পাবেন, এমনটা বলা যায় না। একাদশে মাত্র চার বিদেশী খেলানো যাবে। সেদিক থেকে রশিদ খান, ডেভিড মিলার এবং মিনি অকশনে কেনা বাঁ হাতি পেসার স্পেন্সার জনসন কিংবা রিটেন করা জশ লিটলের মধ্যে একজনকে খেলানো হবে। চার নম্বর স্পটের জন্য ম্যাথিউ ওয়েড, কেন উইলিয়ামসনদের সঙ্গে লড়াই ওমরজাইয়ের।
নিলামে বোলিং আক্রমণ আরও শক্তিশালী করেছে টাইটান্স। মহম্মদ সামির সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন উমেশ যাদব। প্রয়োজনে ১৫০-এর বেশি গতিতে বোলিং করতে পারা তরুণ পেসার কার্তিক ত্যাগীকেও খেলাতে পারবে। তেমনই ফিনিশারের ভূমিকায় অভিনব মনোহরের পাশাপাশি সদ্য যোগ দেওয়া শাহরুখ খানও রয়েছেন। বাঁ হাতি স্পিন বোলিংয়ের ক্ষেত্রে সাই কিশোরের ব্যাক আপ নেওয়া হয়েছে মানব সুথারকে।
একটা দিক গুজরাটের মাথা ব্যাথা হতে পারে। অভিজ্ঞ ঋদ্ধিমান সাহার ব্যাক আপ কিপার। নিলামে নেওয়া হয়েছে তরুণ সেনসেশন রবিন মিঞ্জকে। বড় মঞ্চে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। ব্যাটিংয়ে বিধ্বংসী হতে পারেন, কিন্তু কিপার ঋদ্ধিমান সাহার বিকল্প হতে পারবেন না। সেফ কিপার হিসেবে ঋদ্ধির নিয়মিত খেলার সম্ভাবনাই বেশি। ব্যাটিংয়ে জোর দিতে হলে রবিনকে খেলানো হতে পারে। সামি, উমেশ, রশিদ খানের মতো বোলারদের বিরুদ্ধে কিপিং করা খুবই কঠিন।
গুজরাট টাইটান্স যাঁদের রিটেন করেছিল- অভিনব মনোহর, সাই সুদর্শন, দর্শন নালকান্ডে, ডেভিড মিলার, হার্দিক পান্ডিয়া (ট্রেডিংয়ে মুম্বইতে যোগ দেন), জয়ন্ত যাদব, জশ লিটল, কেন উইলিয়ামসন, ম্যাথিউ ওয়েড, মহম্মদ সামি, মোহিত শর্মা, নুর আহমেদ, সাই কিশোর, রাহুল তেওয়াটিয়া, রশিদ খান, শুভমন গিল, বিজয় শঙ্কর, ঋদ্ধিমান সাহা
মিনি অকশনে যাঁদের নেওয়া হল- স্পেন্সার জনসন (১০ কোটি টাকা), শাহরুখ খান (৭.৪ কোটি টাকা), উমেশ যাদব (৫.৮ কোটি টাকা), রবিন মিঞ্জ (৩.৬ কোটি টাকা), সুশান্ত মিশ্র (২.২ কোটি টাকা), কার্তিক ত্যাগী (৬০ লক্ষ টাকা), আজমতুল্লা ওমরজাই (৫০ লক্ষ টাকা), মানব সুথার (২০ লক্ষ টাকা)