কলকাতা: ২০০৮ সালে যখন শুরু হয়েছিল আইপিএল, আটটা টিমের স্যালারি ক্যাপ ছিল ২০ কোটি। অর্থাৎ, ওই ২০ কোটি টাকায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সচিন তেন্ডুলকরদের তৈরি করতে হয়েছিল তাঁদের প্রথম আইপিএল টিম। ১৬টা সংস্করণ পেরিয়েছে আইপিএলের। এখন স্যালারি ক্যাপ বেড়ে ১০০ কোটি। কিন্তু এই ১৬ বছরে আইপিএলের বাজারে তাও খুব বেশি দর চড়েনি প্লেয়ারদের। সবচেয়ে দামি ছিলেন স্যাম কারান। ১৮.৫ কোটি টাকায় পঞ্জাবে গিয়েছিলেন ইংলিশ অলরাউন্ডার। কারান এখন অতীত আইপিএলে। তাঁকে টপকে গিয়েছেন দুই অস্ট্রেলিয়ান। ঘটনা হল, প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্ক দু’জনেই টপকে গিয়েছেন ২০ কোটি। দুবাইয়ে মিনি অকশনে ২০.৫ কোটিতে বিকিয়েছেন কামিন্স। এক ঘণ্টার মধ্যে ২৪-৭৫ কোটিতে কেকেআর কিনে নেয় স্টার্ককে।
বছর দেড়েক আগে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ২০০ মিলিয়ন ডলারে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড থেকে সই করেছিলেন আল নাসেরে। মাস, সপ্তাহ, ম্যাচ, ঘণ্টা, মিনিট, এমনকি সেকেন্ড প্রতি সিআর সেভেনের আয় দেখে চমকে উঠেছিল বিশ্ব ফুটবল। প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্করাও কিন্তু চমকে দিচ্ছেন। আগামী বছরের আইপিএল ধরলে গ্রুপ পর্যায়ে মোট ১৪টা করে ম্যাচ খেলবে টিমগুলো। একজন বোলার যদি প্রতি ম্যাচে কোটা অনুযায়ী বল করেন, তা হলে সবচেয়ে বেশি ৪ ওভার করবেন। সেই হিসেব ধরলে, গ্রুপ পর্যায়ে মোট ৩৩৬টা করে বল করবেন কামিন্স ও স্টার্ক। সেই হিসেব অনুযায়ী স্টার্কের আগামী আইপিএলে এক বলে আয় ৭ লক্ষ ৩৬ হাজারের সামান্য বেশি। আর কামিন্স পাবেন ৬ লক্ষের মতো। কেকেআর কিংবা সানরাইজার্স হায়দরাবাদ যদি ফাইনালে ওঠে, তা হলে বল প্রতি আয় সামান্য কমবে। তাতে যে বিরাট কিছু ক্ষতি হবে না, তা আর বলে দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে আরও তিন ম্যাচ যোগ হলে, অর্থাৎ ১৭ ম্যাচে মোট ৪০৮ বল করতে হবে স্টার্ককে। তাতে ৬ লক্ষের সামান্য বেশি আয় হবে অজির। স্টার্ক আগামী আইপিএলে প্রতি ওভারে ৪৪ লক্ষের সামান্য বেশি আয় করবেন। কামিন্স সেখানে কামাবেন
অস্ট্রেলিয়াকে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জেতানো কামিন্স হয়তো আগামী মরসুমে হায়দরাবাদেরও নেতা হবেন। ভারতের পিচ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল কামিন্সের হাত ধরেই সূর্য উঠবে কিনা হায়দরাবাদে, সময় বলবে। স্টার্ক কেকেআরের হয়ে নামার আগেই কিন্তু আশঙ্কার চোরাস্রোত বইছে। চোটপ্রবণ ক্রিকেটারের জন্য এত টাকা কেন খরচ করলেন গৌতম গম্ভীর?