Image Credit source: BCCI
মুম্বই: ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে ভারতের মহিলা ক্রিকেট দল। তার অন্যতম কারণ ফিল্ডিং। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট দুটি জিতে সেই ধারনা বদলে ফেলার চেষ্টা একটা হয়েছিল। কিন্তু টেস্ট ম্যাচ দুটো জয়ের ইতিহাসে যেন টিমের মধ্যে আত্মতুষ্টিও ঘিরে ধরেছে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ শুরু হয়েছিল হার দিয়ে। বোর্ডে ২৮০-র ওপর রান নিয়েও ডিফেন্ড করতে পারেনি ভারত। একঝাঁক ক্যাচ মিসে অজিদের জুটি মজবুত হয়েছে। ম্যাচ জিতেছে তারাই। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতের সামনে লক্ষ্য ছিল মাত্র ২৫৯ রান। তাতেও অবশ্য জিততে পারেনি। এই লক্ষ্যটা আরও অনেক অনেক কম হতে পারত। সাতটি ক্যাচ ফেলেছে ভারত। কোন ওভার, কত নম্বর ডেলিভারিতে, কে ক্যাচ ফসকেছেন, বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
দেখে নিন সাত’ক্যাচ মিস’কাহন
- ০.২ ওভার: রেনুকা সিংয়ের বোলিংয়ে শর্ট এক্সট্রা কভারে বাঁ দিকে ঝাঁপিয়েছিলেন অমনজ্যোত কৌর। তালুতে বল লেগে তা মিড অফের দিকে চলে যায়। রানের খাতা খোলেন শূন্যতে জীবন পাওয়া ফোয়েবে লিচফিল্ড।
- ৪.৬ ওভার: মিড অফে ক্যাচ ফসকান ভাইস ক্যাপ্টেন স্মৃতি মান্ধানা। ব্যাটারের নাম এ বারও ফোয়েবে লিচফিল্ড। প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছিল, আগেই ড্রপ হয়েছে। স্মৃতি ফরোয়ার্ড ড্রাইভেও নাগাল পাননি! যদিও স্মৃতির হাতেই বল পড়েছিল। কিন্ত বল আটকায়নি।
- ৭.৩ ওভার: এ বারও ব্যাটারের নাম লিচফিল্ড। তৃতীয় বার জীবন পান স্লিপে। পূজা বস্ত্রকারের ওভারে স্লিপে ছিলেন যস্তিকা ভাটিয়া। কিপার ছিলেন রিচা ঘোষ। প্রায় ষষ্ঠ স্টাম্পের বল তাড়া করেন লিচফিল্ড। প্রথম স্লিপে ক্যাচ উঠলেও মিস যস্তিকা ভাটিয়ার।
- ১৬.৫ ওভার: নিজের বোলিংয়ে অজি অলরাউন্ডার এলিস পেরিকে ফেরানোর সুযোগ ছিল স্নেহ রানার। যদিও কঠিন ক্যাচ ছিল। অনেকটা ওপরে কট অ্যান্ড বোল্ডের সুযোগ, ডান হাত ওপরে তুলে ক্যাচ নেওয়ার চেষ্টা, বল আঙুলে লেগে লং অফে চলে যায়। পেরির অনেকটাই জোরালো শট ছিল।
- ৪৩.২ ওভার: দীপ্তি শর্মার বোলিংয়ে অ্যানাবেল সাদারল্যান্ডের ক্যাচের সুযোগ। মিড উইকেটে হাতের ক্যাচ মিস সহ অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানার।
- ৪৭.২ ওভার: পূজা বস্ত্রকারের বোলিংয়ে অ্যালানা কিংয়ের ক্যাচ মিস খোদ অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের। মিড উইকেটে হাঁটু মুড়ে বসেও দু-হাতে ক্যাচের মরিয়া চেষ্টাও ব্যর্থ।
- ৪৮.১ ওভার: ইনিংসের সপ্তম ক্যাচ মিস ভারতের পাঁচ উইকেট নেওয়া দীপ্তি শর্মার। ডিপ মিড উইকেট থেকে অনেকটা দৌড়ে এসে বল অবধি পৌঁছলেও জমাতে পারেননি।