AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sourav Ganguly: কেন নেতা রোহিত? কী বললেন বোর্ড সভাপতি সৌরভ

টি-টোয়েন্টির ক্যাপ্টেন্সি ছেড়েছিলেন নিজেই। কিন্তু ওয়ান ডে-র নেতৃত্ব থেকে কেন সরানো হল বিরাট কোহলিকে? গত চব্বিশ ঘণ্টায় এই প্রশ্ন নিয়ে চলছে তোলপাড়। শুধু তাই নয়, নানা মহল থেকে নানা যুক্তি আসছে। এ বার বিরাট-বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন খোদ বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।

Sourav Ganguly: কেন নেতা রোহিত? কী বললেন বোর্ড সভাপতি সৌরভ
Sourav Ganguly: কেন নেতা রোহিত? কী বললেন বোর্ড সভাপতি সৌরভ
| Edited By: | Updated on: Dec 09, 2021 | 7:49 PM
Share

মুম্বই: টি-টোয়েন্টির ক্যাপ্টেন্সি ছেড়েছিলেন নিজেই। কিন্তু ওয়ান ডে-র নেতৃত্ব থেকে কেন সরানো হল বিরাট কোহলিকে? গত চব্বিশ ঘণ্টায় এই প্রশ্ন নিয়ে চলছে তোলপাড়। শুধু তাই নয়, নানা মহল থেকে নানা যুক্তি আসছে। এ বার বিরাট-বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন খোদ বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ওয়ান ডে ক্যাপ্টেন্সি থেকে তাঁকে সরানোর যুক্তি হিসেবে কাজ করেছে টি-টোয়েন্টি নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত। বোর্ড চায়নি, টি-টোয়েন্টি নেতৃত্ব থেকে নিজেকে সরিয়ে নিন বিরাট। কিন্তু ভিকে তা মানতে চাননি। আর তাতেই যথেষ্ট বিরক্ত হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সেই কারণেই ওয়ান ডে নেতৃত্ব থেকে সরানো হল তাঁকে। সেই সঙ্গে বোর্ড চেয়েছিল, সাদা বলের ক্রিকেটে দেশকে নেতৃত্বে দিক একজনই, রোহিত শর্মাকে (Rohit Sharma) ভারতীয় একদিনের দলের অধিনায়ক করা হয়েছে।

রোহিতকে অধিনায়ক করা নিয়ে সৌরভ (Sourav Ganguly) বলেছেন, “টি-২০ দলের অধিনায়কত্ব ছাড়তে বারণ করা হয়েছিল বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli)। কিন্তু ও সেটা মানেনি। নির্বাচকদের মনে হয়েছে, সাদা বলের ক্রিকেটে দু’জন অধিনায়কের প্রয়োজন নেই। তাই একদিনের ক্রিকেটেও অধিনায়ক পদ থেকে কোহলিকে সরিয়ে রোহিত শর্মাকে নেতা করা হয়েছে। বিসিসিআই (BCCI) ও নির্বাচকরা সম্মিলিত ভাবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

রোহিত শর্মার অধিনায়কত্বে সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে বোর্ডের। সৌরভ বলেছেন, “রোহিত শর্মার অধিনায়কত্বে আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। টেস্ট ক্রিকেটে দেশকে নেতৃত্ব দেবে বিরাট। বিসিসিআই বিশ্বাস করে, ভারতীয় ক্রিকেট সুরক্ষিত হাতেই আছে। একদিনের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে বিরাটের অবদানকে কুর্নিশ জানাই আমরা।”

ব্যাটন বদলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বোর্ড সভাপতি সৌরভ ও নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান চেতন শর্মা (Chetan Sharma) দু’জনই বিরাটের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে তাঁকে। অধিনায়ক হিসেবে ৯৫টি একদিনের ম্যাচে ৬৫টি ম্যাচ জিতেছেন বিরাট কোহলি। হার ২৭টি ম্যাচে। আইসিসি টুর্নামেন্টে সাফল্য না এলেও ম্যাচ জয়ের হিসেবে দেশের অন্যতম সেরা অধিনায়ক বিরাট। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট জিতে তিন ধরনের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে ৫০টি ম্যাচ জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করেছেন বিরাট।

টি-২০ বিশ্বকাপের আগে বিরাটের অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত মোটেও ভালো ভাবে নেয়নি বিসিসিআই। বোর্ডের পক্ষ থেকে তাঁকে নাকি বলা হয়েছিল, বিশ্বকাপের পর ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানাতে। কিন্তু বিরাট সেটাও শোনেননি। মোটের ওপর একরোখা মনোভাব নিয়ে বিরাটের ওপের বেশ ক্ষুব্ধ ছিল বিসিসিআই। এমনটাও শোনা যাচ্ছে, বিরাটকে নিজের সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য বা অধিনায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য ৪৮ ঘন্টা সময়ও দেওয়া ছিল। কিন্তু বিরাট সেই কথাও কানে তোলেনি। তিনি ওই দু’দিন সম্পূর্ণ নীরব ছিলেন। বোর্ডের সঙ্গো যোগাযোগই করেননি।

যদিও নতুন অধিনায়ক প্রসঙ্গে কোনও বিতর্ক উস্কে দিতে রাজি নন বোর্ড সভাপতি। ব্যাটন বদলের প্রক্রিয়াকে খুব স্বাভাবিক ভাবেই বর্ণনা করেছেন সৌরভ। ২৬ ডিসেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বক্সিং ডে টেস্টে মাঠে নামবে ভারত। তিন টেস্টের সিরিজ শেষে হবে তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজ। অর্থাত্‍, প্রোটিয়াদের দেশে ক্যাপ্টেন হিসেবে শুরুটা করবেন বিরাট। শেষটা করবেন রোহিত।

আরও পড়ুন: বিরাটের মতো ব্যাটার টিমের দরকার, বলছেন রোহিত