কলকাতা: দুটো থিওরি মেলানোর জন্য মাঠে নেমেছিলেন কি? তাই-ই হবে! প্রথমটা, বাজ়বল ভেঙেচুরে দেওয়ার যে রাস্তা বিশাখাপত্তনমে খুঁজে পেয়েছিল ভারত, তা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। দুই, ওপেনার বড় রান করে গেলে প্রাথমিক চাপ কমানো যায়। উল্টে বিপক্ষ শিবিরকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া যায় চাপের চোরাবালিতে। দুটো থিওরি কি মেলাতে পারলেন? নিশ্চিত ভাবেই। আগের দুটো টেস্টে পঞ্চাশও পার করতে পারেননি বাঁ হাতি ওপেনার। এ বার একেবারে সেঞ্চুরির দরজা খুলে ফেললেন। যা ঝড়ঝাপটা বইয়ে দিলেন, বলাই যায়- রাজকোটে দিনেদুপুরে ডাকাতি বেন ডকেটের (Ben Duckett)! দেড়দিন ধরে রোহিত শর্মার টিম তুলেছে ৪৪৫। মাত্র একটা সেশনের গোলাগুলি চালালেন ডকেট। টেস্টে ওভার প্রতি ৬-এর বেশি গড়, বড় বেশি চোখে পড়ে না কিন্তু! ডকেটের জন্য হল।
রাজকোটের দুপুর একটু ঢিলেঢালাই হয়। লাঞ্চের পর যেন ছন্দ পেতে সময় লাগে। ডকেটের জন্য শুক্র-দুপুরটা বড় দোড়ঝাঁপ করেই কাটাতে হল অশ্বিন, কুলদীপ, বুমরা, সিরাজ, জাডেজাদের। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মীরপুরে অভিষেক হয়েছিল ডকেটের। উপমহাদেশের মাটিতে কী ভাবে খেলতে হয়, ভালোই জানেন। চার টেস্ট খেলেছিলেন পর পর। কিন্তু ফিটনেস, মাঠের বাইরের ঘটনায় জেরবার হয়েছেন। পরের ৫ বছরে আর সুযোগ মেলেনি টিমে। ২০২২ সালে আবার ফেরেন পাকিস্তান সফরে। ফিরেই সেঞ্চুরি করেছিলেন। সেই তাঁকেই কেরিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি করতে দেখা গেল।
আগের দুটো টেস্টেও শুরুটা ভালোই করেছিলেন। কিন্তু বড় রান পাননি। এ বার পেলেন রাজকোটে। যেন তৈরি হয়েই নেমেছিলেন। লেন্থ বল পেলেই রান করেছেন। সুইপ, রিভার্স সুইপে মাস্টার ডিগ্রি করে এসেছেন যেন। পেসের বিরুদ্ধে স্ট্রাইকরেট ১০৩। স্পিনের বিরুদ্ধে ১৪৩। বাঁ হাতি বলেই জাডেজাকে সেই অর্থে বলই করানো হল না। জ্যাক ক্রলি ১৫ করে ফিরে গেলেও ডকেটকে আটকানো গেল না। ৮৮ বলে ১০২ করলেন। ১৯টা চার, ১টা ছয় দিয়ে সাজালেন ইনিংস। একটুর জন্য এক অনন্য রেকর্ড করতে পারলেন না। অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ভারতের মাটিতে দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছেন, ৮৪ বলে। ৪ বল বেশি লাগল ডকেটের।
রাজকোট টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ড তুলেছে ২০৭ রান। ১৩৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন ইংল্যান্ডের ওপেনার বেন ডাকেট এবং ৯ রানে অপরাজিত রয়েছেন জো রুট।