অপেক্ষা করতে হবে আরও হয়তো কয়েকটা বছর। বাংলা থেকে বুমরা, সামির মতো এক পেসারকে পেতেই পারে ভারতীয় ক্রিকেট। প্রতিভা অনেকেরই থাকে। অনেকে হারিয়ে যান। কথায় আছে যে সয়, সে রয়। ধারাবাহিক ভাবে পারফর্ম করে বাংলার এক তরুণ পেসার যেন বুঝিয়ে দিচ্ছেন, তিনি থাকার জন্যই লড়াই করছেন। সেই ৯ বছরে হাতে বল তুলে নিয়েছেন। সময়ের সঙ্গে ধার বেড়েছে। গতি, সুইং সবই রয়েছে। উচ্চতাকে কাজে লাগিয়ে শর্টপিচও দুর্দান্ত ব্যবহার করতে পারেন। যাঁর বোলিংয়ে ১৮ বছরেই এত বৈচিত্র তাঁকে তো এগতেই হবে! সব কিছু ঠিকঠাক চললে আগামী বছর বিশ্বকাপেও খেলতে দেখা যেতে পারে বাংলার পেসারকে। মনে হতেই পারে, আগামী বছর বিশ্বকাপ! হ্যাঁ, তবে সেটা অনূর্ধ্ব ১৯। আর ভারতীয় দলের ভরসা হয়ে উঠতে পারেন বাংলারই এক পেসার।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ঋদ্ধিমান সাহা দীর্ঘ সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাফল্যের সঙ্গে খেলেছেন। পুরুষদের ক্রিকেটে বাংলা থেকে সাম্প্রতিক সময়ে আরও অনেকেই খেলেছেন। তবে আদ্য়োপান্ত বাঙালি। মনে করা যায় না। অনূর্ধ্ব ১৯ প্রসঙ্গ এলে বলতে হয় ঈশান পোড়েলের কথা। ২০১৮ সালে রাহুল দ্রাবিড়ের কোচিংয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। পৃথ্বী শ-র নেতৃত্বাধীন সেই টিমে বোলিংয়ে অন্যতম ভরসা ছিলেন ঈশান। কিন্তু সিনিয়র জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়তে পারেননি। তা হলে যুধাজিৎকে নিয়ে এত আলোচনা কেন?
আগামী বছর অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ। ভারতীয় বোর্ড সারা দেশ থেকে প্রতিভা খোঁজার কাজ শুরু করে দিয়েছে আগেই। আঞ্চলিক স্তরে নজর কেড়েছেন বাংলার পেসার যুধাজিৎ। ইশান্ত শর্মার মতো উচ্চতা। তেমনই গতি ও সুইং। বোলিংয়ে কতটা নিয়ন্ত্রণ, পরিসংখ্যানেই যেন পরিষ্কার। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির তরফে ২০২৫ সালের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের যে পরিকল্পনা হয়েছে, তারই অংশ হিসেবে কয়েকটি দল গড়ে টুর্নামেন্ট করা হয়েছে। তাতে ৪ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়েছেন বাংলার তরুণ পেসার যুধাজিৎ। ইকোনমি মাত্র ৪.২৩! জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির হাইপারফম্যান্স শিবিরেও সুযোগ পেয়েছেন যুধাজিৎ। হয়তো এখান থেকেই ধীরে ধীরে সাফল্যের বড় দরজা খুলতে চলেছে!