Shikhar Dhawan: স্ত্রীর নির্যাতন থেকে অবশেষে মুক্তি, শিখর ধাওয়ানের বিচ্ছেদে সিলমোহর আদালতের
Shikhar Dhawan's divorce case: ২০১২ সালের অক্টোবরে খুব ঘটা করে বিয়ে করেছিলেন শিখর ধাওয়ান ও আয়েশা মুখোপাধ্যায়। এরপর আট বছর একসঙ্গে ঘর করার পর শিখর ও আয়েশা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। অবশেষে শিখর ধাওয়ানের বিবাহবিচ্ছেদে সম্মতি দিল দিল্লির আদালত।

নয়াদিল্লি: অবশেষে স্বস্তি পেলেন ভারতের সিনিয়র তারকা ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ান (Shikhar Dhawan)। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর ও আয়েশা মুখোপাধ্যায়ের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল। অবশেষে বুধবার দিল্লির এক পারিবারিক আদালত এই বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় রায় দিল। শিখর ধাওয়ানের স্ত্রী আয়েশা মুখোপাধ্যায় (Ayesha Mukherjee) তাঁর উপর দিনের পর দিন মানসিক নির্যাতন করেছেন। এই কারণে শিখরের বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন মেনে নিয়েছে আদালত। পাতিয়ালা হাউস কোর্টের বিচারক হরিশ কুমার ভারতের ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের সব অভিযোগকে মান্যতা দিয়েছেন। ধাওয়ানের স্ত্রী সেই সকল অভিযোগের বিরোধিতা করেননি বা আত্মপক্ষ সমর্থনে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে এ বার স্বস্তি মিলল শিখরের। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
শিখর ধাওয়ানের বিবাহবিচ্ছেদের অনুমোদন দেওয়ার সময়, দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কমপ্লেক্সের পারিবারিক আদালত উল্লেখ করেছে যে, শিখর ধাওয়ানের স্ত্রী আয়েশা মুখোপাধ্যায় বছরের পর বছর ধরে তাঁকে তাঁদের একমাত্র ছেলের থেকে আলাদা থাকতে বাধ্য করেছেন। যার ফলে শিখরকে মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে। বিচারক হরিশ কুমার ভারতের সিনিয়র ক্রিকেটার শিখরের বিবাহবিচ্ছেদের আবেদনে তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে করা সমস্ত অভিযোগ গ্রহণ করেছেন। পূর্বে ধাওয়ান তাঁর বিবাহবিচ্ছেদের আবেদনে বলেছিলেন যে, তাঁর স্ত্রী তাঁকে মানসিক ভাবে নির্যাতন করেছেন।
ফেসবুক থেকে আলাপ… দুই সন্তানের মায়ের প্রেমে পড়েছিলেন শিখর ধাওয়ান। সেই প্রেমকে পরিণতিও দেন তিনি। ২০১২ সালে শিখর যখন আয়েশাকে বিয়ে করেছিলেন, সেই সময় তাঁর স্ত্রীর দু’টি কন্যা ছিল। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে শিখর ও আয়েশার ছেলে জোরাবরের জন্ম হয়। উল্লেখ্য, আয়েশা ২০২১ সালে সোশ্যাল মিডিয়া মারফত তাঁর ও শিখর ধাওয়ানের বিবাহবিচ্ছেদের কথা সকলকে জানান।
এ বার শিখর ও আয়েশার সন্তান জোরাবর কার কাছে থাকবে? এই নিয়ে অবশ্য আদালত সরাসরি কোনও রায় দেয়নি। তবে শিখরকে তাঁর ছেলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় এব ভারতে দেখা করার অনুমতি দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে ভিডিয়ো কলে ছেলের সঙ্গে শিখরকে কথা বলার অনুমতি দিয়েছে দিল্লির আদালত। পাতিয়ালা কোর্টের বিচারক বলেছেন, ‘আবেদনকারী এক নামকরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার এবং দেশের গর্ব। তিনি যেহেতু দেশের প্রশাসন ও আইনি ব্য়বস্থার দ্বারস্থ হয়েছেন, তাই নিজের ছেলের সঙ্গে দেখা করার, ভিডিয়ো কলে কথা বলার বা আংশিক কিংবা সম্পূর্ণ কাস্টডি নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করার জন্য তাঁকে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কথা বলার অনুরোধ করা হচ্ছে।’
একইসঙ্গে বিচারক বলেন, ‘নিজের কোনও দোষ না থাকা সত্ত্বেও প্রচুর মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে শিখর ধাওয়ানকে। নিজের সন্তানের থেকে বছরের পর বছর দূরে থাকতে হয়েছে তাঁকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে ভারতে থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন শিখরের স্ত্রী আয়েশা, কিন্তু নিজের দুই কন্যাসন্তানের প্রতি দায়বদ্ধতার জন্য তা করতে পারেননি।’
