লিডস: অ্যাসেজ সিরিজে ঘুরে দাঁড়াল ইংল্যান্ড। এজবাস্টন ও লর্ডস টেস্ট জিতে সিরিজে ২-০ এগিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। হেডিংলিতে দারুণ জয়। অ্যাসেজের শুরু থেকেই প্রশ্ন ছিল বাজবল নিয়ে। ব্যর্থ হলেও বাজবলে আস্থা রেখেছিল ইংল্যান্ড শিবির। তৃতীয় টেস্টে সাফল্য এল। সিরিজ আপাতত ২-১। হেডিংলিতে ৩ উইকেটে জয় ইংল্যান্ডের। যদিও মিচেল স্টার্কের অনবদ্য বোলিংয়ে ম্যাচে ফিরেছিল অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের ব্যাটিং ব্যর্থতাই পার্থক্য গড়ে দিল। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
হেডিংলি টেস্টের ফয়সালা হয়তো তৃতীয় দিনই হয়ে যেত। তবে গতকাল বৃষ্টিতে প্রথম দুটি সেশনের খেলা ভেস্তে যাওয়ায় ম্যাচ গড়াল চতুর্থ দিন। ইংল্যান্ডের লক্ষ্য ছিল ২৫১ রান। তৃতীয় দিনই বিনা উইকেটে ২৭ রান তুলে নিয়েছিল তারা। এ দিন প্রয়োজন ছিল আরও ২২৪ রান। প্রথম সেশনে অনবদ্য বোলিং করেন মিচেল স্টার্ক। ইংল্যান্ড চাইলে বাজবল পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে পারত। তাহলে হয়তো আরও বড় ব্যবধানে জয় আসতে পারত। বেন ডাকেটকে ফেরান স্টার্ক। জো রুটকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলেন প্যাট কামিন্স। ইংল্যান্ড শিবিরে তখনও ভরসা, বিধ্বংসী মেজাজে ক্রিজে হ্যারি ব্রুক। প্রথম দু-টেস্টে তার থেকে ভালো পারফরম্যান্স পাওয়া যায়নি। প্রয়োজনের সময় জ্বলে উঠলেন। ৭৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন ব্রুক।
মিচেল স্টার্কের পারফরম্যান্স অজি শিবিরে ক্রমশ ভরসা দিচ্ছিল। হ্যারি ব্রুকের উইকেট নিয়ে ফের আশা দেখান স্টার্ক। তখনও ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ২১ রান বাকি। হাতে তিন উইকেট। স্টার্কের বোলিংয়ে ব্রুকের মিস হিট। বোলিং প্রান্তে অনেকটা উচুঁতে ক্যাচ উঠেছিল। স্টার্ক এবং প্যাট কামিন্স দু-জনেই ক্যাচের জন্য রেডি ছিলেন। অল্পের জন্য ধাক্কা লাগেনি। শেষ অবধি কামিন্স ক্যাচ নিতেই হাসি ফোটে অজি শিবিরে। তাতেও অবশ্য ৩-০ করা যায়নি। ক্রিস ওকস ৪৭ বলে ৩২ এবং মার্ক উডের ৮ বলে ১৬ রানের ক্যামিও ইনিংস। ৭ উইকেট হারিয়ে লিডস টেস্টে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছয় ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেন স্টার্ক।