পুরুষদের অ্যাসেজে এজবাস্টন টেস্টের শেষ দিন মহাকাব্যিক জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। মেয়েদের অ্যাসেজ টেস্টেও অস্ট্রেলিয়ার দাপুটে জয়। শেষ দিন ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১৫২ রান। হাতে পাঁচ উইকেট থাকলেও ব্যাকফুটে ছিল ইংল্যান্ড। তাদের ত্রাস হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার অ্যাশলে গার্ডনার। তাঁর রেকর্ডেই অস্ট্রেলিয়ার দাপুটে জয়। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ট্রেন্টব্রিজে পঞ্চম দিনের শুরুতে ম্যাচ যে কোনও দিকেই যেতে পারত। প্রথম ইনিংসে দু-দলই প্রায় সমান জায়গায় ছিল। অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে করে ৪৭৩ রান। জবাবে ট্যামি বোমন্টের রেকর্ড ডবল সেঞ্চুরিতে ৪৬৩ রান করে। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে ২৫৭ রানে অলআউট করে ইংল্যান্ড। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন বাঁ হাতি স্পিনার সোফি এক্লেস্টন। দু-ইনিংস মিলিয়ে তাঁর ঝুলিতে ১০ উইকেট।
শেষ দিন ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১৫২ রান। অস্ট্রেলিয়ার দরকার পাঁচ উইকেট। চতুর্থ দিনের শেষে ক্রিজে ছিলেন ড্যানি ওয়্যাট ও কেট ক্রস। তখনও ব্যাটিং বাকি কিপার অ্যামি জোনসের। তাঁর ব্যাটিংও শক্তিশালী। ইংল্যান্ড শিবিরে ড্যানি ওয়্যাট এবং অ্যামি জোনসের ওপর বাড়তি প্রত্যাশা ছিল। কেট ক্রসকে ফিরিয়ে দিনের প্রথম সাফল্য দেন অ্যাশ গার্ডনার। ড্যানি ওয়্যাট দারুণ ব্যাট করছিলেন। অর্ধশতরানের ধৈর্যশীল ইনিংস খেলেন। ব্যক্তিগত ৫৪ রানে ড্যানিও ফেরেন গার্ডনারের ডেলিভারিতেই। তাঁর আউটেই ইংল্যান্ড ইনিংসের ইতি হয়। ড্যানি এক দিক আগলে রাখলেও উল্টোদিক থেকে নিয়মিত ভাবে উইকেট হারাতে থাকে ইংল্যান্ড।
প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন অ্যাশ গার্ডনার। দ্বিতীয় ইনিংসে রেকর্ড ৮ উইকেট। মেয়েদের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্টে সেরা পারফরম্যান্স ছিল ব্রেটি উইলসনের। ১৯৫৮ সালে ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছিলেন। গার্ডনার ট্রেন্টব্রিজ টেস্টে নিলেন ১২ উইকেট। ২০১৫ সালের পর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট জিতল অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৮ রানেই অলআউট ইংল্যান্ড। ৮৯ রানের দাপুটে জয় অজিদের।