রক্তিম ঘোষ
চেন্নাই: চিপকের(M.A. Chidambaram Stadium) গেট যখন খুলল, সেখানে অবশ্য ‘মহব্বতে’ ফিল্মের গুরুকুলের দরজা খুলে তারুণ্যের উদ্দাম উৎসবের ছবি অবশ্য দেখা মেলেনি। শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে, তাপমাত্রা মেপে, স্যানিটাইজড হয়ে এদিন চিপকে ঢোকানো হয় ৫০ শতাংশ দর্শককে। চিপক থেকেই যে করোনা পরবর্তী ‘নতুন’ পৃথিবীতে দেশের মাটিতে প্রথমবার ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দর্শক ঢুকতে শুরু করল। ক্রিকেটপ্রধান দেশে গ্যালারিতে দর্শক ফেরার দিনেই নতুন তর্ক চেন্নাই জুড়ে।
ঠিক ১ মাস আগে চেন্নাইয়ের হলে মুক্তি পয়েছে বিগবাজেটের ফিল্ম মাস্টার(Master)। ১৩৫ কোটি টাকা দিয়ে তৈরি হওয়া এই মাস্টারে রয়েছে দক্ষিণী সুপারস্টার বিজয় (Vijay)। ১৩ই জানুয়ারিতে বিগবাজেটের মাস্টার রিলিজ হওয়ার সময় দর্শকাসন ৫০ শতাংশ ব্যবহার করা যাবে। সরকারি এই নির্দেশিকা ছিল তখন। আর সেই টিকিটের জন্য যে হাহাকার ফিরেছিল দক্ষিণী ফিল্মের দর্শকদের মধ্যে, তা যেন পুরনো ছবিই ফিরিয়ে এনেছিল তামিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। ৫০ শতাংশ দর্শকেও বক্স অফিস(Box Office) বলছে ১৩৫কোটির মাস্টার নাকি রোজগার করবে দ্বিগুণ।
আর এই পরিস্থিতিতে চিপকে দ্বিতীয় টেস্ট। আর দর্শক পেল স্টেডিয়ামে ঢোকার ছাড়পত্র। ৫০ শতাংশ দর্শক। তার মানে ৫০ হাজারের চিপকে স্থান পেলেন ২৫ হাজার। তার জন্য তো সোমবার থেকে কম হাহাকার হচ্ছেনা। রোজই টিকিট কাউন্টারের সামনে সাপের মত লম্বা লাইনের দেখা মিলত। ১টা টিকিটের জন্য। কারন, এই স্টেডিয়ামের ইতিহাসই তো বলে ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটের বহু সাফল্যের কাহিনী রচিত হয়েছে চিপকের বাইশ গজেই। চেন্নাইয়ের অনেক ক্রিকেটপ্রেমীই মনে করেন, এখানকার বেশিরভাগ দর্শকই আইপিএল ছাড়া ভালবাসে ৫দিনের ক্রিকেট।
টেস্টের শহর চেন্নাইয়ে (Chennai) ৫ বছর পর ফিরেছে টেস্ট। তাই ক্ষোভ তো ছিলই। কিন্তু শনিবার যখন এম এ চিদম্বরম স্টেডিয়ামের দরজা খুলে দেওয়া হল দর্শকদের জন্য, তখন মেরিনা বিচের ধার যেন আনন্দে আত্মহারা। প্রথম দিনেই ৫০ হাজারের চিপকে অর্ধেক আসন ভর্তি। অর্থাৎ ২৫ হাজার প্রথম দিনেই। এই হিসেবই থাকবে রবিবারও। আশায় আয়োজকরা। আগামি সপ্তাহের শুরুতেও চিত্রটাও যে খুব বদল হবেনা, এমনটাই মনে করছে টেস্ট আয়োজকরা। ৫দিন খেলা গড়ালে ১ লক্ষ ২৫ হাজার দর্শক হবে।
এই হিসেব আসার পরেই মেরিনার ধারে নতুন তর্কের ইন্ধন, বিজয়ের ‘মাস্টার’ নাকি চিপকের দ্বিতীয় টেস্ট- টিকিট বিক্রির গড়ে মাস্টার স্ট্রোক মারবে কে?