IPL 2022: গম্ভীর ভাইয়ার জন্যই আজ এই জায়গায়, বলছেন আয়ুষ বাদোনি
আইপিএলে যেন স্বপ্নের উড়ান শুরু হয়েছে তাঁর। প্রথম ম্য়াচে করেছিলেন হাফসেঞ্চুরি। সেটা ছিল তাঁর অভিষেক ম্যাচ। দ্বিতীয় ম্যাচে আবার ৯ বলে ১৯। আয়ুষ বাদোনি ঢুকে পড়ছেন ভারতীয় ক্রিকেটের মূলস্রোতে।
নয়াদিল্লি: তারক সিনহার ক্রিকেটার তৈরির কারখানা থেকেই উঠে আসা। দিল্লির যে বাঙালি কোচ জন্ম দিয়েছিলেন শিখর ধাওয়ান (Shikhar Dhawan), অঞ্জুম চোপড়া, ঋষভ পন্থদের (Rishabh Pant) মতো কোচদের। কয়েক মাস আগেই মারা গিয়েছেন তারক। তবু তাঁর আর এক নতুন ছাত্র এখন হইচই ফেলে দিচ্ছেন আইপিএলে (IPL 2022) । লখনউ সুপার জায়েন্টসের হয়ে প্রথম ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন আয়ুষ বাদোনি (Ayush Badoni)। দ্বিতীয় ম্যাচে দিল্লির বিরুদ্ধে ৯ বলে ১৯ রান করে জেতালেন টিমকে। পেস বোলারদের বিরুদ্ধে সুইপ শট মারতে ওস্তাদ। এবি ডে ভিলিয়ার্সের ভক্ত ২২ বছরের ক্রিকেটার। লখনউ টিমে তাঁকে বেবি এবি বলে ডাকা হয়। তবে তিনি টিমের মেন্টর গৌতম গম্ভীরকে (Gautam Gambhir) কৃতিত্ব দিচ্ছেন। আয়ুষকে শেষ ছয়টা মারতে দেখে সেই গম্ভীরকেই ডাগআউটে নাচতে দেখা গিয়েছিল। ওই দৃশ্য ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ২২ বছরের এই ছেলের উঠে গল্প কিন্তু বেশ চমকে দেওয়ার মতো। এর আগেও বেশ কিছু আইপিএল টিমে ট্রায়াল দিলেও সুযোগ মেলেনি। দিল্লির হয়ে সিনিয়র টিমেও জায়গা পাননি। গম্ভীরই তাঁকে তুলে এনে লখনউ টিমে জায়গা করে দিয়েছেন। সেই মঞ্চকেই কাজে লাগিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ হয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন তিনি।
চাপের মুখেও মাথা ঠান্ডা রাখেন কি করে? আয়ুষ বলছেন, ‘ছেলেবেলা থেকে এটা আমার একটা গুন। যে ম্যাচই খেলি না কেন, শেষ করে আসার চেষ্টা করি। কখনও হারি, কখনও জেতাই টিমকে। ঘরোয়া ক্রিকেটে আমার টিমকে এ ভাবেই প্রচুর ম্যাচ জিতিয়েছি। ওই সব ম্যাচ থেকেই যা শেখার শিখেছি। ওই সব ম্যাচগুলোতে তলার দিকে ব্যাট করার সুযোগ মিলত। অল্প বলে প্রচুর রান করতে হত। ওই ম্যাচগুলো কাজে লাগিয়েই এই জায়গায় এসে পৌঁছতে পেরেছি। লখনউ টিমের হয়ে খেলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য গম্ভীর ভাইয়া আর ক্যাপ্টেন লোকেশ রাহুলের কাছে কৃতজ্ঞ। ওরা দু’জনেই আমার উপর আস্থা রেখেছিল শুরু থেকে।’
ধোনির চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে জেতার পর কী বলেছেন গম্ভীর? ‘ছয় দুটো মারার আগে আমি মাথা ঠান্ডা রেখেছিলাম। যখন ম্যাচ জেতানো ছয়টা মেরে ডাগআউটে ফিরি, গম্ভীর ভাইয়া বলেছে, দারুণ খেলছ, চালিয়ে যাও। গম্ভীর ভাইয়া ম্যাচ জিততে ভালোবাসে। এই জয়ে যে কারণে আরও বেশি উচ্ছ্বসিত ছিল। আসলে আমার কেরিয়ারে ওর প্রচুর অবদান। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে একটা ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু দ্রুত আউট হয়ে যাই। ওই ম্যাচটা গম্ভীর ভাইয়া আর রাহুল ভাইয়া দেখেছিল। ওরা আমার অল্প রানে আউট হওয়াটাকে গুরুত্ব দেয়নি। আমার প্রতিভা, ক্ষমতার উপর আস্থা রেখেছিল। লখনউয়ের ক্যাম্পে হাজির ছিল গম্ভীর ভাইয়া। আমার ব্যাটিং মন দিয়ে দেখত। আমাকে একটা ব্যাট দিয়ে বলেছিল, প্রথম ম্যাচটা তুমি খেলছ। আমার মেন্টর, দাদা সবই ও।’
বেবি এবি নাম কী করে হল? আয়ুষ বলছেন, ‘নেটে প্র্যাক্টিস করছিলাম তখন। একটা সুইপ শট দেখে রাহুল ভাইয়া হাততালি দিয়ে জিজ্ঞেস করেছিল, কার খেলা ভালো লাগে? বলেছিলাম, এবি ডে ভিলিয়ার্স। তার পর থেকে আমাকে এবি বলে ডাকা শুরু করে দেয়। এই ব্যাপারটা আমাকে দারুণ উৎসাহ জুগিয়েছিল। ওখান থেকেই আমার নাম হয়ে গিয়েছে বেবি এবি।’
আরও পড়ুন: IPL 2022: শিবমের ওভারের সঙ্গে উইল স্মিথ-ক্রিস রকের চড় মাড়ার তুলনা টানলেন বীরু