Prithvi Shaw: ‘এতে আদৌ কিছু যায় আসে?’ কাদের নিশানা করলেন ত্রিশতরানকারী পৃথ্বী

ঘরোয়া ক্রিকেটে যতই ধারাবাহিক থাকুন, পৃথ্বী শ-এর সামনে ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তনে দরজা যেন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। হতাশা ঘিরে ধরলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে পৃথ্বীর ব্যাটে রানের বর্ষণ থেমে থাকেনি।

Prithvi Shaw: 'এতে আদৌ কিছু যায় আসে?' কাদের নিশানা করলেন ত্রিশতরানকারী পৃথ্বী
Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 11, 2023 | 1:24 PM

নয়াদিল্লি: ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করছেন এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন পৃথ্বী শ (Prithvi Shaw)। রঞ্জি ট্রফিতে (Ranji Trophy) অসমের বিরুদ্ধে প্রথমে সেঞ্চুরি, তারপর দ্বিশতরান ও বুধবার সকালে তা পৌঁছে গিয়েছিল ত্রিশতরানে। ৪০০ রানের বিশ্বরেকর্ডের দিকে অনেকটাই ঝুঁকেছিলেন মুম্বইয়ের ব্যাটার। যদিও ৪০০-র গণ্ডি ছোঁয়ার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। ২৩ বছরের ডানহাতি ব্যাটারের রানের খিদে যেন কমছেই না। জাতীয় দলের নির্বাচকরা যতই উপেক্ষা করছেন ততই যেন আরও ধারালো হয়ে উঠছে পৃথ্বীর ব্যাট। মাত্র ১৮ বছর বয়সে জাতীয় দলে প্রবেশ। সচিন তেন্ডুলকরের যোগ্য উত্তরসূরী ভাবা হচ্ছিল তাঁকে। সেই পৃথ্বী চোট আঘাত ও নির্বাচকদের দ্বারা উপেক্ষিত হয়ে দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সেও জাতীয় দলের দরজা তাঁর জন্য যেন খুলছেই না। হতাশ হয়েছেন, ভেঙে পড়েছেন। প্রতিবারই আশা করেন ভারতীয় স্কোয়াডে ডাক পাওয়ার। দলে নিজের নাম না দেখে ভেঙে পড়েন। রঞ্জিতে ত্রিশতরানকারী পৃথ্বী বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন ভারতীয় দলে টি-২০ ফরম্যাটে ওপেনিংয়ের জন্য তিনিই যোগ্য। কী বলেছেন পৃথ্বী? তুলে ধরল TV9 bangla

যেভাবে ব্যাটিং করছেন তাতে খুশি এই বিধ্বংসী ওপেনিং ব্যাটার। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পৃথ্বী বলেছেন, “যেভাবে ব্যাট করছি তাতে আমি খুশি। শুধু বড় স্কোর গড়া মিস করছিলাম। সেটাও হয়ে গেল। যখন আপনি বড় স্কোর গড়ার জন্য ক্ষুধার্ত এবং নিজের কাজটা ঠিকভাবে করতে পারলে পরিশ্রমের ফল অবশ্যই পাবেন। গত কয়েকবছর ধরে আমি যা পরিশ্রম করেছি তারই ফল এই ইনিংস।”  তরুণ খেলোয়াড়রা ফর্ম ফিরে পেতে সিনিয়র ক্রিকেটারদের দ্বারস্থ হন। কিন্তু পৃথ্বী শ কারও কাছে কাছে যাননি। বরং অন্তরাত্মার কথা শুনেছেন তিনি। পৃথ্বীর কথায়, “আমি খুব বেশি লোকজনের সঙ্গে কথা বলিনি। শুধু চোখ বন্ধ করে নিজের খেলাটাকে ভাবার চেষ্টা করতাম। নিজেরই ব্যাটিংয়ের পুরনো ফুটেজ দেখতাম। একা বসে কোন জায়গায় গলদ থেকে যাচ্ছে তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতাম। আমি জানি যে সবসময় বড় রান তোলা সম্ভব নয়।  ”

যতই বাইশ গজে প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটান, সমালোচকরা তির ছোড়ার জন্য সবসময় তৈরি থাকেন। পৃথ্বীর এখন আর তাঁদের দিকে মনোযোগ দেওয়ার সময় নেই। তিনি বলেন, “রান করতে না পারলে লোকজন সমালোচনা করতে থাকেন। এমন লোকজনকে পাত্তা না দেওয়াই ভালো। ওরা কি বলছে তাদের আদৌ কিছু যায় আসে না। আমি জানি, কোনটা সঠিক আর কোনটা ভুল। কঠিন সময়ে যাঁরা আমার পাশে দাঁড়াননি, এখন আর আমার জীবনে তাঁদের কোনও স্থান নেই। “