Cheteshwar Pujara-Sourav Ganguly: দাদার সঙ্গে কথা হয়েছে… পূজারার ফোন পাল্টে দিয়েছিল এক পেসারের জীবন
Cheteshwar Pujara Retires: অচেনা একটা ছেলেকে স্রেফ নেটে দেখে কেউ সরাসরি ফোন করেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে? সৌরভ তখন কেকেআরের ক্যাপ্টেন। তাঁকে যিনি ফোন করেছিলেন, তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম শান্তশিষ্ট ছেলে চেতেশ্বর পূজারা। আর ওই বোলার কে?

কলকাতা: দাদার সঙ্গে কথা হয়েছে… এই ক’টা কথা জীবনটাই পাল্টে দিয়েছিল এক বাঁ হাতি পেসারের। তার আগে তাঁকে চিনতই না কেউ। ধারণাই ছিল না, এই বোলার কেমন বল করেন? সেই বোলারই দীর্ঘদিন খেলেছেন ক্রিকেট। জাতীয় দলেও সুযোগ পেয়েছেন। তবে আইপিএলে বা ঘরোয়া ক্রিকেটে যতটা সফল, দেশের হয়ে ততটা নন। তা না হোন, অচেনা একটা ছেলেকে স্রেফ নেটে দেখে কেউ সরাসরি ফোন করেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে? সৌরভ তখন কেকেআরের ক্যাপ্টেন। তাঁকে যিনি ফোন করেছিলেন, তিনি ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম শান্তশিষ্ট ছেলে চেতেশ্বর পূজারা। যিনি সদ্য বিদায় জানিয়েছেন ক্রিকেটকে। আর ওই বোলার কে? জয়দেব উনাদকট।
সৌরাষ্ট্রের হয়ে একসঙ্গে খেলেছেন পূজারা, উনাদকট। দু’জনের গভীর বন্ধুত্ব। কিন্তু যখন সৌরভকে সরাসরি ফোন করেছিলেন পূজারা, তখন উনাদকট নেট বোলার। রঞ্জি টিমের সঙ্গে প্র্যাক্টিস করেন। রাজ্য দলে সুযোগ পাবেন কিনা, জানা নেই। তবে পূজারার নজর কেড়ে নিয়েছিলেন। কেকেআর ক্যাপ্টেন সৌরভকে সরাসরি ফোন করে বলেছিলেন উনাদকটের কথা। বলেছিলেন, ট্রায়ালে একবার দেখতে উনাদকটকে। বাঁ হাতি পেসার নিরাশ করবেন না। বাকি গল্প তুলে ধরেছেন খোদ উনাদকট।
পূজারা অবসর নেওয়ার পর উনাদকট বলেছেন, ‘হঠাৎ একদিন একটা ফোন আসে। ওপার থেকে বলে হাই জয়দেব, দিস ইজ় চেতেশ্বর। আমি দাদার সঙ্গে কথা বলেছিল। তোমাকে কেকেআরে ট্রায়াল দিতে হবে। তুমি খুব ভালো বোলিং করছ। চালিয়ে যাও।’ ওটাই ছিল ফোনে আমাদের প্রথম কথা। ২০১০ সালে আমি তখন স্রেফ নেট বোলার। পূজারা সম্পর্কেও বিশেষ কিছু জানি না। ওই ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছিল আমার সেরা বন্ধু।’
