রক্তিম ঘোষ
কলকাতা: নেদারল্যান্ডস ম্যাচে ৭০ রানে ৬ উইকেট পড়তেই স্টেডিয়াম ছাড়তে শুরু করেছিল বাংলাদেশ সমর্থকরা। তখন বেজেছিল রাত ৮টা। লক্ষ্মীপুজোতে রাত গড়াতেই খালি হতে শুরু করেছিল ইডেন গার্ডেন্স। আর পাকিস্তান ম্যাচে আরও আধঘন্টা আগে থেকেই হোটেলমুখো বাংলাদেশ সমর্থকরা। ম্যাচের ভবিষ্যত তখনই টের পেয়ে গিয়েছেন সমর্থকরা। অগত্যা ইডেন ছেড়ে দর্শকরা রেড রোডে জমালেন ভিড়। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
পাকিস্তান ম্যাচের আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের দাবি ছিল, এখন তাঁদের মোটিভেশন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। বাকি ৩টি ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য নিজেদের জায়গা পাকা করা তাঁদের টার্গেট। হোক না বিশ্বকাপে তাঁদের বিজয়া দশমী হয়ে গিয়েছে। পরবর্তী টার্গেট তাঁরা কলকাতায় বসেই তৈরি করে নিয়েছেন। কিন্তু বাকি ম্যাচেও যে দলের কোনও মোটিভেশনই নেই, তা যেন মঙ্গলবার সন্ধেয় হাড়ে হাড়ে টের পেল বাংলাদেশ অধিনায়ক। নিজে ব্যাট হাতে লড়লেন। লড়লেন মাহমুদ্দুলাহ। কিছুটা মিরাজ। ২০৪ রান করে যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জল গরমও হবে না, তা বোধহয় সূর্য ডুবু ডুবু ইডেনে বুঝে গিয়েছিলেন সাকিবরা। পাকিস্তান ইনিংসের শুরুতে তা হল স্পষ্ট। মুস্তাফিজুর, শরিফুলরা যা বল করলেন, তাতে ফখর-শফিকরা খেললেন অনায়াসে। ইডেনের এপ্রান্তে ওপ্রান্তে তখন বাউন্ডারির ফুলঝুরি।
সন্ধে তখন সাড়ে ৭টা। মিরাজের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে প্যাভিলিয়নের পথে শফিক। পাকিস্তানের স্কোর ১ উইকেটে ১২৮। বাবর তখন ২২গজের পথে। আর ম্যাচের ভবিতব্য বুঝে যাওয়া বাংলাদেশের বহু সমর্থক তখন ইডেনে ছেড়ে রেড রোডের পথে। বিশ্বকাপ আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। এ বার কি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যোগ্যতাটাও গেল? কলকাতায় এমনভাবে খালি হাতে ফিরতে হবে কল্পনাতীত ছিল বাংলাদেশ সমর্থকদের। কেন ছিল, সেটা তাঁরাই বলতে পারবেন।
বাংলাদেশ বা এ বাংলার মানুষের ভাষা এক। দুই বাংলার একে অপরের প্রতি সাংস্কৃতিক সম্মানও অগাধ। দুই বাংলায় সাংস্কৃতিক আদান প্রদানও ঘটে নিয়মিত। কিন্তু….এ বাংলার ইডেন গার্ডেন্সে যে কোনওদিন বাংলাদেশ কোনও ম্যাচ জেতেনি। তা সে টেস্ট হোক বা একদিনের ম্যাচ কিংবা টি২০। কোথাও কখনও ইডেনে জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ। এবারও সেই ইতিহাসের পরিবর্তন হল না। ইডেন থেকে এবারও খালি হাতে ফিরতে হল টাইগারদের। আর তার অনেক আগেই স্টেডিয়াম ছাড়ল টাইগারদের সমর্থকরা। বিশ্বকাপে ইডেন সফর এভাবেই শেষ হল সাকিবদের।