কলকাতা: কেপ অব গুড হোপ। ভারতীয় দল এখন সেই ভালো কিছুরই আশায়। বছর শেষ হয়েছে হার দিয়ে। নতুন বছরে কেপ টাউন ভারতীয় ক্রিকেট দলের কাছে ‘হোপ টাউন’। ঘরের মাঠে ওয়ান ডে বিশ্বকাপে টানা দশ ম্যাচ জিতেও ফাইনাল হারের ক্ষত। সেটা হয়তো কিছুটা ঠিক করা যেত। দক্ষিণ আফ্রিকায় কখনও টেস্ট সিরিজ জেতেনি ভারত। এ বার সেই লক্ষ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকা পাড়ি দিয়েছিলেন রোহিতরা। গত সফরেও সম্ভাবনা তৈরি করেছিল বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারত। লক্ষ্যপূরণ হয়নি। এ বার দু-ম্যাচের সিরিজ। প্রথম টেস্ট হেরে ব্যাকফুটে। দ্বিতীয় টেস্ট জিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবলে উন্নতিই লক্ষ্য। তবে কেপটাউনে একঝাঁক প্রশ্ন নিয়ে নামছে ভারতীয় দল। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
প্রথমেই যেটা ভাবার বিষয়, ভারতের বোলিং কম্বিনেশন কী হবে! প্রথম টেস্টে তিন পেসারের পাশাপাশি পেস বোলিং অলরাউন্ডার শার্দূল ঠাকুরও ছিলেন। সঙ্গে এক স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। গত ম্যাচে ফিটনেসের কারণে পাওয়া যায়নি রবীন্দ্র জাডেজা। তবে এই ম্যাচে ফিরছেন। একাদশে জাডেজা থাকলে অশ্বিনের সম্ভাবনা কম। বিদেশে টেস্টে এমন কম্বিনেশনই দেখা গিয়েছে গত কয়েক বছর। তবে নিউল্যান্ডসের পিচে সেঞ্চুরিয়নের মতো পেস বাউন্স না থাকারও সম্ভাবনা বেশি। অশ্বিন-জাডেজাকে একসঙ্গেও খেলানো হতে পারে।
টেস্ট ক্রিকেটে এখনও সেই অর্থে ছাপ ফেলতে ব্যর্থ শ্রেয়স আইয়ার। শর্টপিচ ডেলিভারিতে তাঁর দুর্বলতা সেঞ্চুরিয়ন টেস্টেও ধরা পড়েছে। দ্বিতীয় টেস্টের আগে রাহুল দ্রাবিড়ের ক্লাসও করেছেন। তাঁর দিকে নজর থাকবে। তেমনই দুই তরুণ ব্যাটার যশস্বী জয়সওয়াল ও শুভমন গিলের দিকেও। ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল যশস্বীর। সেখানকার পরিস্থিতির সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার অনেক পার্থক্য। প্রথম টেস্টে দু-ইনিংসেই হতাশ করেছেন। শুভমন তিনে ব্যাট করছেন। একটা সময় এই জায়গা সুরক্ষিত ছিল চেতেশ্বর পূজারার জন্য়। ডিফেন্সের দিক থেকে আরও মজবুত হতে হবে শুভমনকে।
অভিষেক টেস্টেই ভারতকে চাপে ফেলেছিলেন প্রোটিয়া বাঁ হাতি পেসার নান্দ্রে বার্গার। সাত উইকেট নিয়েছিলেন। তাঁর জন্য বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছেন বিরাট কোহলি। পুরোপুরি না হলেও অনেকটাই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। ম্যাচে তার কতটা ছাপ পড়ে সেদিকেই নজর। বিরাট বনাম বার্গারের লড়াইয়ের পাশাপাশি নজর থাকবে কাগিসো রাবাডার সঙ্গে বিরাট দ্বৈরথেও। প্রোটিয়া শিবিরের কাছে আবেগের ম্যাচও। ডিন এলগারের বিদায়ি টেস্ট এটি। তাঁর মতে, ‘এটাই বিশ্বকাপ’। কেরিয়ারের শেষ টেস্টে নেতৃত্বও দেবেন। ডিন এলগারের পারফরম্যান্সে বিশেষ নজর থাকবে।